পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭৭ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা কৰ্ত্তব্য। প্রথম এই যে, স্ত্রী পুরুষের যোগ্য বয়সে স্বেচ্ছাপূৰ্ব্বক বিবাহ করা ; দ্বিতীয়, স্ত্রীপুত্র ভরণপোষণের সামর্থ্য বুঝে দারপরিগ্রহ করা । আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমাদের দেশের বিবাহ প্রণালী এই দুই মূলস্থত্রের উপরেই কুঠাবাঘাত করে । এই যে বিষম কীট যা আমাদের জাতীয় জীবনকে ক্রমিকই অবসাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এর উচ্ছেদের একটা উপায় না করলে আমাদের আর নিস্তার নেই । ব্যাধি যে সাজঘাতিক হয়ে দাড়িয়েছে তার আশু চিকিৎসার প্রয়োজন, সময় প্রতীক্ষা করে থাকলে চলবে না । গৃহকৰ্ত্তারা এ বিষয়ে মনোযোগ করুন, বিশেষতঃ আমাদের ছাত্রবৃন্দ সচেষ্ট হোন, তাদের উপবেই দেশের ভবিষ্যং আশা ভরসা,—র্তারা দল বেঁধে দাড়ালে আমাদের অভীষ্ট সিদ্ধির আর কালবিলম্ব হবে না । বিধবা বিবাহ বিধবা বিবাহের দ্যtয়ান্তায় আমাদের দ্বিতীয় আলোচ্য বিষয়, আমার মতে সামাজিক অনুশাসনে বিধবা বিবাহ বন্ধ করা যুক্তিসিদ্ধ নয় ; অপ্রাপ্ত বয়স্কের কথা ছেড়ে দিলে, বিবাহ বিষয়ে স্ত্রী পুরুষেব স্বাধীন অধিকার সমান থাকা উচিত । পুরুষের বিধবার ব্রহ্মচৰ্য্য ব্রত পালনের উচ্চ উপদেশ দিতে বিলক্ষণ পটু কিন্তু আপনাদের বেলায় কি করেন ? বহুদারগ্রস্ত বিলাসীর মুখে সতীত্ব ধৰ্ম্মের ব্যাখ্যা যেরূপ বিসঙ্গত তাদের উপদেশও কতকটা সেইরূপ। উপদেষ্টাগণ বিধবার ব্রহ্মচৰ্য্য যতই সমর্থন করুন না কেন, আমার বোম্বাই প্রবাস >&やの র্তারা যখন নিজেদের বেলায় মৃতপত্নীর অস্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে নববধূর পরিণয়ে একটুও ইতস্ততঃ করেন না, তখন তাদের কথার মুল্য কি ? স্ত্রী পুরুষের ব্রহ্মচর্য্যে কি বিধাত নির্দিষ্ট এতই প্রভেদ ? বিধবা স্ত্রীদের মধ্যে ব্রহ্মচারিণী আদর্শ-সতী অনীেকে আছেন স্বীকার করি, তাই বলে বিধবার উপর জোর জবরদস্তী ক’রে ব্রহ্মচৰ্য্য চাপানো -- এটা কি ঠিক ? প্রাকৃতিক নিয়মের বিপক্ষতাচরণে কি সুফল প্রত্যাশ করা যায় ? এ থেকে আমাদের সমাজে যে ক্রণহত্যাদি কুফল ফলছে, হে ভগুতপস্বি, তা কি তুমি দেখেও দেখবে না ? একবার ভেবে দেখ বালবিধবার চিরবৈধব্য কি মমতাহীন নিষ্ঠুর বিধান ! বোম্বায়ে সাধারণ হিন্দুসমাজ যে বিধবা বিবাহের বিরোধী তা নয়। এমন অনেক জাতি আছে যাদের মধ্যে বিধবাবিবাহ প্রচলিত । ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণ্যের অনুকরণশীল জাতিবর্গেই এই বিবাহ নিষিদ্ধ। এই নিষেধের আনুষঙ্গিক এক ভয়ানক কুপ্রথা আবহমান কাল চলে আসছে—সে কি না বিধবার মস্তক-মুণ্ডন। বঙ্গবিধবাদের অনেকগুলি কঠোর নিয়ম পালন করতে হয়, এক সন্ধ্য আহার, নিজ লা উপবাস, অলঙ্কার বজন কিন্তু ভাগ্যক্রমে তার উপর শিরোমুগুন প্রথা নেই। বোম্বায়ে বিধবা রমণীদের এসব ত আছেই, তার উপর বেশীর ভাগ ঐ এক উৎপীড়ন। ভবিষ্যতে বিধবা স্ত্রীদের অদৃষ্টে যে সকল জাল যন্ত্রণ আছে, পতিবিয়োগের পরক্ষণেই নাপিতের হাতে কেশচ্ছেদন তার পুর্বাভাস। যাতে