পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>&sや、 তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই কাৰ্য্য করা না হয়, তাদের সম্মতি প্রকাশের কোম উপায় নির্দিষ্ট হয়, সমাজ সংস্কাবকদের তাহ বিবেচ্য। আমি জানি স্বৰ্গীয় মহাদেব গোবিন্দ রাণীডে এই নৃশংস প্রথার বিরুদ্ধে রাজবিধি প্রয়োগ করবার উদ্যোগে ছিলেন, কতদূব কৃতকাৰ্য্য হয়েছিলেন বলতে পারি না। les দেবদাসী এই প্রসঙ্গে অপ্রৌঢ় বালিকাদের প্রতি আর এক প্রকার অত্যাচাবের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে । বোম্বাই প্রদেশে ‘নায়িকা’ নামে একদল বারাঙ্গন আছে (অন্ত নাম দেবদাসী), তার দেবমন্দিরে নৰ্ত্তকী রূপে নিযুক্ত। তাদের বিবাহ হয় না, বেগুণবৃত্তিই তাদের জীবনের প্রধান অবলম্বন । এই কার্য্যে দীক্ষিত হবার একটা বিশেষ অনুষ্ঠান আছে তাকে বলে ‘সেজ । সে অনুষ্ঠান বিবাহের ভড়ং মাত্র । বরের ' ঠিকানায় একটা খড়গ রাখা হয় তার উপর ফুলের মালা সাজিয়ে পুরোহিত মন্ত্র পাঠ করে ও বালিকা তাকে পতিত্বে বরণ করে । সেই অবধি দেবতার কার্য ও আনুষঙ্গিক অকাৰ্য্যে তার জীবন উৎসর্গীকৃত হয় । বোম্বাই মফস্বল কোর্টে এইরূপ অত্যাচার-সম্পৰ্কীয় মকদ্দম কখন কখন উপস্থিত হয়, আমি কারওয়ারে থাকতে এইরূপ মকদ্দমা আমার কাছে মাঝে মাঝে আসত। আসামীর বক্তব্য এই “এ আমাদের চিরন্তর প্রথা, মেয়েকে আমাদের কুলধৰ্ম্মে দীক্ষিত করাতে দোষ কি?” কিন্তু দেশাচার যাই হোক, স্বারা কিশোরবয়স্ক বালিকাদের মতিভ্রষ্ট ও ভারতী 5ே5, 39டி. অfজীবন সে গুৰ্বিত্তি অবলম্বনে বাধ্য করে তাদেব পিধিমতে দ গুনীয় হওয়া উচিত, তার আiব কোন সন্দেহ মেই । এই অত্যাচার নিবাবণ উদ্দেশে বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভায় যে নূতন আইন প্রবর্তনের প্রস্তাব উঠেছে তা আমার মতে নিতান্ত প্রয়োজনীয় । তাই হোক কিম্বা প্রচলিত আইনের পরিবৰ্ত্তনই হোক যে কোন উপায়ে সুকুমারমতি বালিকাদের প্রতি এই অত্যাচাবের প্রতিকার হয় তাহাই প্রার্থনীয়। এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ ক’রে যারা হিন্দুধৰ্ম্মের দোহাই দিয়ে চীৎকার আবিস্ত করেছেন তার প্রকৃতপক্ষে হিন্দুধৰ্ম্মের কলঙ্ক রটন করছেন তা কি বোঝেন না ? আমি দেখতে পাই দক্ষিণে জাতিভেদের নিয়ম নিরতিশয় কঠোর, আমাদের জাতীয় একতা বন্ধনের পথে বিষম কণ্টক ! এক এক জাতির ভিতরে যে কতগুলি শাখা তাব অন্ত নেই। এক ব্রাহ্মণবর্ণ দেখ, স্থান ভেদে তার মধ্যে কত শাখা ভেদ, এমন কি নদীব এপার ওপার হলে পরম্পর আদান প্রদান বন্ধ । মারাঠী ব্রাহ্মণের প্রধান তিন শাখা-দেশস্থ, কোকনস্থ ও কহাড় । জাত একই, কেবল মূল নিবাস আলাদা । তাদের পরস্পর পান ভোজন চলে কিন্তু বিবাহ সম্বন্ধ হয় না, আমাদের রাঢ়ী বারেঞ্জে যেমন । পেশওয়াদের আমলে একবার এই দলাদলি ভাঙ্গ বার চেষ্টা হয়েছিল, কেন না দেখা যায় যে বালাজী বাজিরাও পেশওয়া যদিও কোক শস্থ ব্রাহ্মণ তবুও দেশস্থ ব্রাহ্মণ কন্যার পাণিগ্রহণ করেছিলেন । এই তিন শাখার একীকরণ