পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা তাহার উদ্দেশু ছিল সন্দেহ নাই কিন্তু সে উদ্দেশু সিদ্ধ হয়েছে বলা যায় না, কেন না এই আন্তর্জাতিক বিবাহ যে প্রচলিত দেশীচার বিরুদ্ধ তা অস্বীকার করা যায় না । সমাজসংস্কার সভা সমিতিতে এই শাখা ত্রয়ের ঐক্যবন্ধন একটা প্রধান আলোচ্য বিষয় । বোম্বাই অঞ্চলে সেনই বা সারস্বত নামে এক জাতীয় ব্রাহ্মণ আছেন । স্ববিখ্যাত জষ্টিস্ তেলঙ্গ এই জাতীয় ব্রাহ্মণ ছিলেন, এইক্ষণকার হাইকোর্ট জজ চন্দবারকরও সারস্বত ব্রাহ্মণ । ইহাদের জাতিতে আমিষ ভক্ষণ, বিশেষত মৎস্তাহার নিষিদ্ধ নহে । উচ্চকুলাভিমানী ব্রাহ্মণের সেনইকে আমিবঁাশী আচারভ্রষ্ট ব’লে অবজ্ঞা করেন, তাদের চোখে সেনই ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণই নয়। আমার একটি সেনই বন্ধু কোন মফস্বল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন, তার সঙ্গে আমার ঐ বিষয়ে একবার কথা হচ্ছিল । তিনি বল্লেন, এ অঞ্চলে আমার স্বজাতীয় কেহই নাই, এক প্রকাব নিৰ্ব্বাসন যন্ত্রণ ভোগ করছি । কখনো কোন ব্রাহ্মণেব বাড়ী নেমন্ত্রণে যেতে হয়, গিয়ে দেখি তাদের সঙ্গে আমাদের মেলামেশা সস্তবে না । ব্রাহ্মণ মহিলারা আমার স্ত্রীকে দূরে রাখতে চেষ্ট করেন, তাকে যেন ছোয়াতেও দোষ । ভোজনে আমাকে সমাম পংক্তিতে বসতে দেন না, আমার স্বতন্ত্র আসন, স্বতন্ত্র বাসন হতে পরিবেশন। নেমন্ত্রণে গিয়ে এরূপ অপমান সহ হয় না । তাই আমি মনে মনে প্রতিজ্ঞ করেছি বামন বাড়ীতে আর নেমন্ত্রণ খাওয়া নয়”। এই উদাহরণ হতেও দেশের জাতিভেদের কঠোরতা উপলব্ধি করা যায়। আমার বোম্বাই প্রবাস ) &や" 。 কিন্তু বোম্বায়ে জাতিবন্ধন যতই কঠিন. হোক না কেন, কালের স্রোতে তার বাধন অনেক শিথিল হয়ে আসছে, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই । জাতীয় শিকড়েরচেয়ে ঘটনার স্রোত ৰলবত্তর, তাই দেখা যায় তীব ভাঙ্গন-দশা আরম্ভ হয়েছে । শে1চাশৌচ বিচাব, ভিন্ন জাতির মধ্যে পরম্পর প্রতিভোজন ইত্যাদি অনেক বিচাবে আমরা পুৰ্ব্বাপেক্ষা কুসংস্কার বর্জিত স্বীকার করতেই হবে । বিচারের সঙ্গে সঙ্গে আচারের পরিবর্তন অবশুম্ভাবী। কতক গুলি বাহিরের ঘটনাও এই পরিবর্তনের অনুকুল । আমাদের জাতীয় কঙ্গে স তার চিরন্তন মন্তব্য গুলি বৎসরান্তে একবার আবৃত্তি করে আমাদের পোলিটিকাল উন্নতি কতদুব সাধন করেছেন বলতে পারি না কিন্তু সেই একক্ষেত্রে নানা জাতির একস্থত্রে) মেলামেশার অবশু একটা উপকারিত আছে । তার ফলে হোকৃ বা অন্ত যে কারণেই হোকৃ, অস্ত্যজ জাতি-সমস্তার প্রতি আমাদের কৃতবিদ্য যুবকদের মল পড়েছে, এ একটা শুভলক্ষণ বলতে হবে । আমরা আমাদের রাজপুরুষদের সমকক্ষ হবার জন্তে চীৎকার ক’রে আকাশ ফাটিয়ে তুলছি কিন্তু আমাদের ভাইদের মধ্যে যে অসংখ্য লোক হিন্দুসমাজের পদদলিত ঘৃণিত ত্যজ্য পুত্র হয়ে পড়েছে তাদের প্রতি একবার ক্রক্ষেপও করি না, একি সামান্ত লাঞ্ছনার বিষয় ? এই হীন জাতির উদ্ধারের জন্তে আৰ্য্যসমাজের উদ্যমশীলতা দেখে আশ্বাস হচ্ছে যে এখনে আমাদের প্রাণ আছে ; এই সাধু দৃষ্টান্তে যদি সমগ্র