পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা ভাষায় ‘ভরতসমুচ্চয়’ বলে ! কুমাবসম্ভব হইতে ইহার অনেক উদাহবণ পাওয়া যায়। বিবাহ-অনুষ্ঠানের পর, শিব পাৰ্ব্বতী দেবতাদিগেব অনুষ্ঠিত উংসবে উপস্থিত হইলেন । “স্বস্বতী স্বকীয় বাক্যকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়া এই দম্পতিব গুণকীৰ্ত্তন কবিলেন ; পতিব গুণকীৰ্ত্তন সংস্ক ত ভাষায় ও পত্নীব গুণকীৰ্ত্তন সহজবোধ্য প্রাকৃত ভাষায় কবিলেন । এই দম্পতি কিয়ৎকালেব জন্ত এমন একটি উৎকৃষ্ট নাটকের অভিনয় দর্শন কবিলেন,--যাহাতে বিবিধ নাট্যরীতি নাট্য সন্ধিগুলিব সহিত সম্মিলিত হইয়াছিল, যাহাতে বিচিত্র বসের অনুরূপ সঙ্গীত ছিল এবং যাহ!তে অপসবাগণ শোভন ভাবভঙ্গী প্রদর্শন কবিয়াছিল।” রঘুবংশে, বাজ অগ্নিলক্ষ্ম তাহাব প্রাসাদে নাট্যকলায় আসক্ত – এইরূপ বর্ণিত হইয়াছে। “এই নাট্যকলায়-মুশিক্ষিত বমণীগণে পবিবেষ্টিত থাকিয়া তিনি, বস ভাব, ভাবভঙ্গী ও কণ্ঠস্বব সহযোগে নাটক দিব অভিনয় কবিতেন এবং স্বকীয় বন্ধুগণেব সমক্ষে, খ্যাতনামা নটদিগেব সহিত প্রতিদ্বন্দ্বিতীয় প্রবৃত্ত হইতেন !” পরিশেষে অঞ্চ বা উৰ্ব্বণীব সেই নাট্যাভিনয় পাঠককে স্মরণ ক বাইয়া দিতেছি—যে অভিনয়ে উৰ্ব্বশী ভরত মুনির দ্বারা অভিশপ্ত হইয়াছিল। সেই নাটকের রচয়িত্রী—সবস্বতী, এবং সেই নাটকের নাম —“লক্ষ্মীস্বয়ম্বব” ! দেবতাদিগেব দূত, অথবাগণকে এই বলিয়া আহবান করিলেন ;–“ভরত মুনি তোমাদিগকে অষ্টরসাত্মক একটি নাটকের অভিনয় শিখাইয়াছেন ; মরুৎপতিগণ, দিকৃপালগণ, সেই সুললিত নাট্যভিনয় দেখিবার জন্ত অভিলাষী হইয়াছেন।” বিক্রমে বর্বশী ፃፂቖ এই সকল প্রমাণ হইতে স্পষ্টই উপলব্ধি হয়, কালিদাসেব যুগে, এই সকল নাটকের প্রয়োগ দ্বারা, তৎকালে অনুষ্ঠিত মহোৎসবাদির মহিমাবৰ্দ্ধন কবা হইত। বিশেষত, তাহার রচিত মহাকাব্যাদিতে তিনি যেরূপ নাট্যশাস্ত্রজ্ঞানের পবিচয় দিয়াছেন, তাহা হইতেই বুঝা যায় যে র্তাহাব নাট্যবচনাগুলি কতটা নাট্য শাস্ত্রেব নিয়মানুগত ৷ কালিদাসের সমসাময়িক অণব এক নাট্যকাবেব নাম আমবা অবগত হই ঃ—তিনি ভল্লুমেন্থ–মাতৃ গুপ্তের আশ্রিত ব্যক্তি । তিনি কাশ্মীরের অধিবাসী ছিলেন। তাছবি রচিত মহাকাব্য “হয়গ্ৰীব-বধ” পাঠে পবিতুষ্ট হইয়া মাতৃ গুপ্ত তাছাকে প্রভূত অর্থ প্রদান কবেন। কহলন, বাজতবঙ্গিণীব এক স্থানে এই মহাকাব্যেব উল্লেখে যাহ বলিয়াছেন, প্রথমব্যাখ্যাকাবীগণ র্ত্যহাব সেই বাক্যে প্রভাবিত হইয়াছিলেন । তাহাব ঐ বাক্য নাটকেব প্রতি প্রযুক্ত হইয়াছে এইরূপ তাঙ্গাদেব মনে হইয়াছিল। কিন্তু পবে ঐ গ্রন্থের আবিষ্কৃত খণ্ডাংশ হইতে ঐ গ্রম্ভেব প্রকৃত স্বরূপ নিদ্ধারিত হয়। তথাপি ভভূমেন্থ নাট্যকাবেরই শ্রেণীভুক্ত হইয়াছেন। কবি-রাজশেখর বাল-রামায়ণের প্রস্তাবনায় ভৰ্ত্তমেস্থকে তাহার সাহিত্যিক পূৰ্ব্বপুরুষ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন ঃ – “পুবাকালে বাল্মীকির এক গায়ক পুত্র ছিল, সেই পুত্র পরে ভভূমেন্থ নামে এই ধরাধামে পুনবাধিভূত হয় ; পাবে আবাব ভবভূতির নাম ধবিয়া এই পৃপিপাতে আগমন কবে ; আর, আজ সে-ই আবাব রাজশেখর নাম ধাবণ করিয়াছে।” রামায়ণের গ্রন্থকারের পবেষ্ট যে রাজশেখব ভর্তৃমেন্থেব নামোল্লেখ