পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s२१8" করিতে পারে ? এ বিষয়ে একটা কৌতুহলজনক উদাহরণ দেওয়া যাইতে পারে। এক ব্যক্তি র্তাহার গুণকীর্তনে মোহিত হইয়া পরিচয় লাভের উদ্দেশে বাটতে র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যান। শাস্ত্রী মহাশয় তাহার ডেক্সে ভর দিয়া কি এক দুরূহু প্রবন্ধ লিখিতেছেন এমন সময় সেই ব্যক্তি গিয়া উপস্থিত । লেখকটিই যে বালশাস্ত্রী র্তাহার ভাবসাবে বুঝিতে না পারিয়া আগন্তুক জিজ্ঞাসা করিলেন “শাস্ত্রী মহাশয়ের সহিত কখন সাক্ষাৎ হইবে । তিনি তখন কাজে ভয়ানক ব্যস্ত, সময় নষ্টের ভয়ে উত্তর আর কতক ঘণ্টা বিলম্বে আসিলে অমুক সময়ে সাক্ষাৎ হইতে পারে । আগস্তুকের প্রস্থান ও যথা নির্দিষ্ট সময়ে পুনঃ প্রবেশ । বালশাস্ত্রী সেইখনেই বসিয়া—কেবল সামনে গ্রন্থ কাগজ কলম নাই । আগন্তুক ব্যক্তি যখন জানিতে পারিলেন যে এই সামান্ত বেশধারী থৰ্ব্বকায় ব্যক্তিই সেই বালশাস্ত্রী তখন কিঞ্চিৎ অপ্রস্তুত হইলেন । বালশাস্ত্রীর যত্নে বোম্বায়ে একটি নৰ্ম্মাল স্কুল স্থাপিত হয় । মফস্বলেব নানাস্থান হইতে বিদ্যাথ আহরণ করা—নিজ গৃহের নিকট তাহদের বাস। ভাড়া করিয়া দেওয়া—তাহাদেব যথাযোগ্য শিক্ষাদান ও সৰ্ব্বতোভাবে তত্ত্বাবধাম করা, এই সকল বিষয়ে তাহাব যত্ন ও পরিশ্রমের ক্রটি ছিল লা। " এই সকল বিদ্যার্থীদিগকে শিক্ষা দান, জ্ঞাম ও ধৰ্ম্ম প্রচারে ব্র ঠী করা তাহার উদ্দেশু। তিনি সমাজসংস্কৰ্ত্ত বলিয়া আপনার পরিচয় দিতেন না ও সমাজ বিপ্লবকারী সেকালের শিক্ষিত যুবকদের সঙ্গেও যোগ দিতেন না। বিশুদ্ধ ধৰ্ম্মপ্রচার করিলেন ভারতী . দ্বারের সাহাধ্যে চৈত্র, ১৩২• । করিয়া অল্পে অল্পে সমাজসংস্কার করা তাহার মনোগত অভিপ্রায় । তিনি বলিভেন ধৰ্ম্মভিত্তির উপর সমাজসংস্কার স্থাপন কর, নতুবা । স্থায়ী ফলের প্রত্যাশা নাই ! এই বিষয়ে রাজ রামমোহন রায়ের সহিত র্তাহার মতের - ঐক্য। তিনি এত সাবধানে কাৰ্য্য করিয়াও গোড় হিন্দুদের কটাক্ষ এড়াইতে পারেন নাই । জাতিতে কহাড় ব্রাহ্মণ কিন্তু ব্রাহ্মণের। তাহাকে ব্রাহ্মণবিদ্বেষী বলিয়া ঘৃণা করিত । তাহার কারণ এই ষে জাতির অনুরোধে কৰ্ত্তব্য পালনে তিনি পরায়ুথ ছিলেন না । তাহার দৃষ্টান্ত, খেবরেগু নারায়ণ শেষাদ্রির ভ্রাতা ঐপাদ শেষাদ্রি অকারণে জাতিচু্যত হন। জাতে উঠিবার আবেদন করিলে একদল গোড়াহিন্দু তাহার বিপক্ষে দাড়াইলেন, এই বিবাদে হিন্দু সমাজে মহা হুলুস্থূল বাধিয়া গেল। শাস্ত্রী মহাশয় প্রাণপণে পতিতেতৎপর হইলেন ও নিজে অশেষ উৎপীড়ন সহ করিয়৷ শ্ৰীপাদের বহিস্কার-কলঙ্ক মোচনে কৃতকাৰ্য্য হয়েন । ওদেশে কুসংস্কার ও ধৰ্ম্মান্ধতার উপর জয়লাভের এই প্রথম দৃষ্টান্ত । দুর্ভাগ্য বশতঃ বালশাস্ত্রী অকালে কালগ্রাসে পতিত হইলেম—তিনি ১৭ই মে ১৮০০ অব্দে ৩৫ বৎসর বয়ঃক্রমে মামৰলীলা সম্বরণ করেন। তাহার ধৰ্ম্ম সংস্কারের যে ইচ্ছ—সে মনের ইচ্ছ। মনেই রন্থিরা গেল । তাহার অকাল মৃত্যুতে সমাঞ্জ সংস্কারের বিস্তর হালি জন্মে—লে ক্ষতি পূরণ করে अॉछ *ईjख ५थमें पञछ 'cणांकहे cनथl क्रिॉब्रॉ८छ् ।