পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা ক্ষুব্ধ হইলেও আর বেশি কিছু বলিতে সাহস কৰিলেন না। পাছে সে মনে করে যে ইহার তাহকে ভার বোধ করিতেছে । কিছু দিন গত হইলে একদিন অতর্কিত আপন আপনিই তাহার মনে হইল, কাজটা ভাল হইতেছে না। তাহাকে লইয! এই গৃহস্থদম্পতি বড় বিব্রত হইয়া আছে, সে তাহীদের কে যে এমন করিয়া গরীবের ঘাড়ে চড়িয়া থাকে। গৃহিণী গৃহকৰ্ম্মের অবসরে কাছে আসিয়া বসেন, দুএকটা দুঃখের কথা পাড়েন, মৃতের উদ্দেশে কৃতজ্ঞত|পূর্ণ অশ্রু প্রেরণ করেন আবার চোখের জল মুছিয়া উঠিয়া যান। কমলা কেবলমাত্র অর্থহীন দৃষ্টিতে একদিকে চাহিয়া থাকে । সে কিছুই ভাল করিয়া যেন অমুভব করিতে পারে না । একমাত্র এই বিভীষিকাব ছায়া সেই পৃষ্ঠ নয়নতলৈ নগ্ন প্রেতের মত কেবল বলিয়া বেড়ায়, যে তাহার সব গিয়াছে। ডাক্তার বাবুর স্ত্রী এই প্রথম তাহার মুণে এতগুলা শব্দ উচ্চারিত হইতে শুনিলেন এবং সেই সঙ্গে তাহাকে নিজের জন্ত ভাবিতে দেখিয়া মনে মনে একটু আশ্বস্তও হইলেন, তিনি কছিলেন “কেন মা, আমাদের মা হয়ে চিরদিন এই খানে থাকবে না।” কমলা নিঃশবে ঘাড় নাড়িল। “থাকবেন না ? বলুন কোথা যাবেন ? তাই আমরা রেখে আসি।” কোথা যাইবে ? এ বিশাল বিশ্বসাম্রাজ্যে তাহার এতটুকু স্থান কোথায় ? সে কোথায় যাইবে ? বহুক্ষণ পরে সে মৃদ্ধ স্বরে সংশয়জড়িত কণ্ঠে উত্তর করিল “কাশী” । “কাশী ?” ও বেশ তাই যাবেন । সেখানে কে আছেন মা ?” বাগদত্তা እ:br9 আমার দাদা মশাই ?” “র্তার নাম ? বাসা জানেনতো ?” কমল এবার একটা ক্ষুদ্র নিশ্বাস ফেলিয়া কহিল “জানি ।” সেই ঘর। ঘরে কম্বলাসনে পুস্তক বেষ্টনী মধ্যে সেই গেীর কান্তি সৌম্যমূৰ্ত্তি ঋষি সে দিনও অধ্যাপনানিরত। কমলার জীবনে ষড়ঋতু বহিয়া গিয়াছে, স্থিতির পর প্রলয় হইয়৷ গিয়াছে, কিন্তু এই পৃথিবীর বাহিরে শিবত্ৰিশুখস্থ কাশীধামে কি কালের প্রবেশাধিকার নাই ? ডাক্তার বাবু ভিতরে প্রবেশ করিলেন, কমলা দ্বারের বাহিবে দেওয়াল ধবিয়া দাড়াইল । অনাদি অনন্ত, এবং অনাদি সান্ত ব্ৰহ্ম ও জীব চৈতন্ত স্বরূপ, ও মায়ার বিষয়ে কথা হইতে ছিল। ডাক্তার একপাশে বসিয়া থাকিয়। অবসব ক্রমে কহিল “ আমি আপনার পুত্র স্বৰ্গীয় ডেপুটি বাবুর স্ত্রীকে আনিয়াছি।” ছা এটি চলিয়া গেল। সাৰ্ব্বভৌমমহাশয় চমকিয়া উঠিয়া বসিলেন । র্তাহাব পুত্ৰ ! শচী ! স্বগীয় সে ? বিশ্বনাথ ! তোমার হিসাবধাবী চিত্রগুপ্ত কি অন্ধ হইয়া গিয়াছে ! ন। এরা স্বর্গের অর্থ জানে না ? ডাক্তার বাবু ধরভাবে শোকপূর্ণ স্বরে সমস্ত কাহিনী বিবৃত করিতে লাগিলেন, বলিতে বলিতে একবার উঠিয়া দ্বারের নিকটবৰ্ত্তিনী কমলার উদ্দেশ্যে কছিলেন, “ভিতরে এসো ম|” কমলা কম্পিতচরণে প্রবেশ করিয়া, অনতিদূরে বসিয়া পড়িল, প্রণমি পৰ্য্যন্ত করিতে তাহার মনে হইল না। দুরন্ত পূৰ্ব্বস্তুতি তরঙ্গীত সমুদ্রতরঙ্গের স্তায় তাহার মূৰ্ছিত হৃদয়বেলার উপর মুহুঃ মুহুঃ আঘাত করিতেছিল। প্রলয়াবসানের পুর নব হষ্টিক্স উন্মেষে উল্কাপিওসকলের প্রথম বিশৃঙ্খল