পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ミリr● পিত্রস্ত জাগরণের দ্যায় কোথা হইতে কি একটা রুদ্র তাণ্ডব জাগিয়া উঠয়াছে। গৃহ স্তব্ধ গম্ভীর ; গভীর নিস্তব্ধ গৃহে কেবল মাত্র বাতাসের অতি মৃদ্ধ বিলাপপুর্ণ নিশ্বাস মাত্র শুনা যাইতেছিল । কমলা অধোমুখে মৃত্তিকার দিকে চাহিয়া আছে, সাৰ্ব্বভৌমমতাশয়েব শাস্ত ললাটে গভীর চিস্তারেথা দেদীপ্যমান । ডাক্তার বাবু কি বলিয়া বিদায় গ্রহণ করিপেন তাছাই ভাবিতেছিলেন । বহুক্ষণ কাটিয় গেলে তিনি কছিলেন *আপনাকে আর কি বলিব, জীবনদাতা পিতা স্বর্গে গিয়াছেন, জননীকে এখানে রেপে গেলাম, গৃহ আমার শ্মশান হয়ে গেছে। এ হতভাগ্যের জন্ত মায়ের অtঞ্জ এই অবস্থা একথা এজন্মে ভূলতে পারবে না। প্রণাম, প্রণাম করি মা, অপরাধী ছেলে তবে বিদায় নেয় ।” ডাক্তার চলিয়া গেল, শোকের ছায়া এই কটা কথায় যেন নিবিড় করিয়া দিয়া গেল, ” তাহার পদশ অন্মুট মৰ্ম্মযাতনার বুকফট। ক্রমনের মত মুহূৰ্ত্তকাল ঘরের মধ্যে সুব্যক্ত হুইয়া রহিল। আবার কতকক্ষণ চলিয়া গিয়াছে, সহসা কমলা শুনিল, কি অভয় মন্ত্রই শুনিল, “কমল৷ কাছে এস, বড়ই দুঃখ পেয়েছ মা !” কমলার মাথাটা নিঃশব্দে লেই পা দুখানার উপর নামিয়া সেইখানেই লুটাইয়া পড়িল, এমন একটি স্নেহের স্বর এখনও তাহার শুনিবার ছিল । তাহার মুখ দিয়া আকুল মৰ্ম্মধাতলার বিলাপধ্বনির মত বাহির হইল, “মামি খুন করে এসেছি তাকে, আমি খুন করেছি, খুনী আমি, সাৰ্ব্বভৌম মহাশয় ভারতী চৈত্র, ১৩২• অতি ধীরে তাহার মাথার রাশীকৃত রুক্ষ চুলের উপর হাত রাখিয়া মৃহ গম্ভীর স্বরে কহিলেন, “না তুমি তাকে রক্ষা করেছ ! নরকের দ্বাব হতে স্বর্গের দ্বারে পৌঁছে দিয়েছ একে হত্যা বলে না ।” “আপনি বল্‌চেন ?” কমলা বড় আশ্বাসে সবেগে উঠিয়া বসিল । একি ! সৌম্য সবল মূৰ্ত্তি দুৰ্ব্বল রুগ্ন বৃদ্ধের রূপে যে পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছে ? মুখে চোখে সেই শান্তি, সেই দীপ্তি, তথাপি কি বিষঃ সে মুখ ! হঁ্য আমি বলচি মা, তুমি তার ভাল করেচ । সে জীবনের পরিণামে অবনতি, হয় তো দুটো জীবনেরই ক্রমিক অধঃপতন, তার শেষ যদি এই রকম ত্যাগের মধ্য দিয়াই ঘটে সে কি ভাল নয় ?” কমলা আবার তাহার পা দুখানির উপর লুটাইয় পড়িয় বলিল, “বাবা আমার কি হবে ?” “তোমার ভাল হবে মা আমার ! এসে তুমি আমার কাছে এস ৷ সন্তানের প্রায়শ্চিত্ত পিতার দ্বারা যদি কিছু হয় দেখি ” আমার কি ভাল হবার কিছু আছে ?” একথা কমলা মুখ ফুটিয়া বলিল না কিন্তু দিনেরণত্রে এই এক কাতর প্রশ্ন তাহার মনটাকে ঘিরিয়া বাজিতে লাগিল । যাহার আশা করিবার কিছুই নাই তাহার আবার ভtল কি হইবে ? তথাপি মন যেন আবার কি আশা করিতে চাহিতেছিল। তীব্র দুঃখের মধ্যেও বারেকের জন্ত মন যেন বলিতেছিল তোমার ভাল হইবে । উনি যখন বলিয়াছেন তখন ভাল হইবে। . তার উপর এতদিন পরে সে আবার একটা কাজও পাইয়াছে। সে যখন দেখিল