পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা সাৰ্ব্বভৌমমহাশয়ের সেই প্রশান্ত দৃষ্ট ও সহাস্ত মুখ তেমনি থাকিলেও সে অটুট স্বাস্থ্য আর নাই। জরা যেন অতি প্রবলবেগেই তাহাকে আক্রমণ করিয়াছে। তখন সে নিজের জন্ত ভীত হইল। এমনি ভাঙ্গা কপাল লইয়। সে এই জগতে আসিয়াছে যে, যে আশ্রয়ট সে অবলম্বন করিতে যায় তাহাই তাহার হস্ত স্পর্শে খসিয়া পড়ে । মধ্যরাত্রি । জ্যোৎস্নালোকে জনমন্দিত রাজপথ বিশ্বনাথের কণ্ঠভূষণ বিশ্রামশীল মুবৃহৎ অজগবের দ্যায় নিঃসাড়া পড়িয়া আছে । ওদিকে অন্নপূর্ণ মতাব রজতমেঘল'সন্নিভ শুভ্র বারিবাশি জ্যোৎস্নাব সঙ্গে মিশিয়। গিয়াছে। তীবস্থ মন্দির, হৰ্ম্ম্যমালা তদপেক্ষ সুষমাময়ী । কমলা ছাতে বসিয়াছিল । তখন চরাচর নিদ্রামগ্ন, কেবল বঁীতনিদ্র প্রকৃতি তাহাৰু অনন্ত সৌন্দর্ঘ্যের ডালি সাজাইরা বিশ্বনাথের চবণ প্রাস্তবে বহিয়া স্তব্ধ হইয়াছিলেন ! দুবে অদূরে, ইতস্ত ত কোথাও মন্দিবের উচ্চ চুড়, কোথাও মসজিদের সুউচ্চ গম্বুজ কোথাও সমুন্নত প্রাসাদচুড়া স্ফট জ্যোংস্নায় অভিমত্ত হইতে হইতে শত পেী বাণিক ঐতিহাসিক যুগের সাক্ষ্য দিতেছে। পবপারে ঘনবিন্যস্ত ধূসব বৃক্ষশ্রেণীর মধ্য হইতে রাজদুর্গ রামনগর প্রকাশ পাইতেছিল । বহুক্ষণ কমলা অগণ্য নক্ষত্রপচিত অসীমের পানে তাকাইয়া রহিল, তাছার পর প্রতিদিনকাব মতই অবোধ্য দৃষ্টি, নামাষ্টয়া সম্মুখে সলিলরেখাব দিকে চাহিয়৷ দেখিল, উন্মদিনাহীন স্থির লক্ষ্যে সে এক পথেই প্রবাহমান। সে সুগভীর নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া মৃদু মৃদু কহিল, আমার মনে অমনি 8 বাগদত্ত > Rbr電 একনিষ্ঠা কেন থাকতে পেলে না ?” মুহূৰ্ত্তে সে এক ধাব উদ্ভব পাইল, অতি স্নিগ্ধকণ্ঠে কে উত্তর দিলেন “ক্ষুদ্র কমলা সেই এক পাবাবাবে মন ডুবিয়ে দাও, একনিষ্ঠ হবে, কেন হবে না ।” একি দৈববাণী, কমলাব দুৰ্ব্বল দেহমন বিস্ময়পুলকে অকস্মাৎ আলোড়িত হইয়া উঠিল, সে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের দ্যায় চমকিয়া ঈষদুসচকণ্ঠে কহিয়া উঠিল “কে সে এক ? বলে দা ও ওগো বলে দাও, আব এসন্দেহ সহ্য হয় না, আমায় বল আমি জন্মেব সকল সম্বন্ধ কেমন করে মুছে ফেলব, আমার কি হলে !” * জলেও যেমন স্থলেও তেমনি চন্দ্রচ্ছায়া থবথব করিয়া কঁাপিতেছিল, সেই কম্পিত আলোকে সাৰ্ব্বভৌম মহাশয় তাহার নিকটে আসিয়া দাড়াইলেন । রাত্রে তিনি অধিকাংশকাল ছাদে ই কাটান, কমল তাহ জানিত ন, অথবা মনে পড়ে নাই । তিনি কহিলেন, “মা কমল ! তোমার মনের সন্দেহ আমি জানি ; যদি নিষ্ঠ দান করতে পার তবে ক্ষুদ্র নশ্বর পদার্থেব উপব এ ঐকাস্তিকতার অপব্যয় কেন মা ? যাহাকে পাইলে পাইবার কিছু বাকি থাকে না, যাহাকে একবার পাইলে অব হার(পাব ভয় নাই যদি যথার্থ কিছু পাইতে চাও, কিছু দিতে পার, তবে র্তাকেই কেন চাও না, তারি পায়ে দাও না মা !” 命 কমল সেই হৈমজ্যোৎস্নায় তাহার পানে চাহিল। সেই সৌম্য শাস্তমূৰ্ত্তি দুঃখীর দুঃখহরণ অশরণের শরণ দয়ালরূপ ! যে সন্দেহে ংশয়ে তাহার বিশ্বস্তুচিত্ত কঠিন শীতল হিমশিগায় পরিবর্ধিত হইয়া গিয়াছিল তাহ যেন