পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

até এই মুখের আদেশবাণীতে গলাইয়া দিল । সে কথা কহিল না, নীরবে দূরে সেই জ্যোংস্নাজাল জড়িত গঙ্গাজলে চাহিয়া রহিল। ওই সুশীতল পবিত্র সলিল কাহার চরণে আপনাকে উৎসর্গ করিতেছে ? উদ্ধে চাহিল সচন্দ্র তারকাদগ নীলাম্বরে চিবহাস্যময় ; সেই বা কাহার প্রেমে ? এই দৃশ্ব অদৃষ্ঠ— বিশাল ব্ৰহ্মাণ্ডের প্রত্যেক ছোট বড় জীবন সেই এক জনেব পানে নির্নিমিষে চাঙ্গিয়া বাচিয় আছে। কে বলে তিনি নাই ? তিনি আছেন —তিনি আছেন বই কি ! ফুলের কলিটি যেমন উষার মৃদুবাতাসে অত্যন্ত ধীরে ফুটয় উঠে তেমনি করিয়া তাহার অন্ধকার হৃদয়মধ্য হইতে একটী ক্ষীণ আলোকরেখা সস্তপণে ফুটিয়া উঠিতে আরম্ভ হইল। সে রুদ্ধনিশ্বাসে ডাকিল “বাবা! আমি কিছু জানি না, আমার শেখান ! কেমনকবে ডাকতে হয় ভুলে গেছি বাবা, নিষ্ঠুব পাষাণ বলে অবিচারক বলে তাকে ডাকা ছেড়ে দিয়েছিলাম, তিনি কি সে পাপ ক্ষমা করবেন ?” “ক্ষমা করবেন না ? তিনি যে ক্ষমাময়। ভুল, পাপ সব তিনি ক্ষমা করে থাকেন, ক্ষমা করাই তাৰ ধৰ্ম্ম । শুধু ডাকতে হবে । ব্যাকুল হয়ে শুধু ডাকতে হবে, সৰ্ব্বস্ব সমর্পণ করে ডাকতে হবে।” “তিনি সবাইকেই ক্ষমা করেন ? আমি যে পাপ করেছি, আমাকেও ক্ষমা করবেন ? পরিপূর্ণ প্রাণে আমি তাকে ক্ষমা করেছি বাবা। তাতে আমি পতিত হয়েছি কি ?” সাৰ্ব্বভৌমমহাশয় তাহাব উদার দৃষ্টি সেই রজতজ্যোৎস্নামণ্ডিত৷ সন্ন্যাসিনীর প্রতি স্থির করিলেন । “ক্ষমার মত ধৰ্ম্ম নাই! ক্ষম छांब्रटौ ४ध्झ, ००२० করিয়া থাক ভালই করিয়াছ, বন্ধনভয় ঘুচিয়াছে। কমলা দুই হাতে র্তাহার পাছখানি জড়াইয় পদধূলি মাথায় তুলিয়া লইল । কমলা আর কথা কহিলনা, একনিমেষে এই সুপ্তঘামিনীব মধ্যষামে আপন ভুলিয়া সে আজ যাহা বলিবার, যাহা জানিবার সব বলিয়া, সব জানিয়া লইয়াছে। আর বলার বা শোনার কিছু বাকি নাই। এখন শুধু কঠোর তপস্যায় নিজেকে দগ্ধ করিয়া সিদ্ধি লাভ, আর তার পর মরণে শাস্তির আশা। এত বড় আশা আর কিছু নাই। সে পলকহীননেত্রে ঠোঁটে ঠোঁটে চাপিয়া গড়ামূৰ্ত্তির মত খদ্যোতিক ঝলমলায়মান পরপারের অন্ধকাব তরুশ্রেণী:ব পানে চাহিয়া রহিল । গভীর হতাশার পর নূতন আশার উন্মেষে মনের মধ্যেও শত নক্ষত্র ফুটিয়া উঠিতেছিল। “যাকে পেলে অব কারুকে পেতে হয় না সেই তাকে পাবার কামনা ভিন্ন অন্ত সকল কামনা র্তারি চরণে নিবেদন করে দিলাম, হে বিশ্বনাথ তুমি গ্রহণ করে।” ( c. 8) ত্রিপাদগ্রাসী সুর্য্যগ্রহণে গঙ্গাযাত্রী সমাগম হইয়াছিল। রাজপথে কেবল মাত্র নরমুণ্ডসারি। কমলা স্নান করিতে গিয়া অকস্মাৎ বিদ্ধ কুরঙ্গীর মত ছটফট করিয়া ফিরিয়া আসিল । ব্যাধ বাণভীত হরিণের মত প্রায় সে ছুটিয়া আসিয়া দুর্গাবাড়ীর গলির মধ্যে প্রবেশ করিল।. ধ্যানজপমন্ত্রতন্ত্র এক মুহূর্তে যেন সকলি কোথা কি বিশৃঙ্খল হইয়া গিয়াছিল । - भनिटङ्ग श्रांय भांकूरु नांझे ८कवण भांख বানরের রাজত্ব, সে ঘুরিয়া আসিয়া বসিয়া