পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দপ্তম সংখ্যা পানে চাহিয়া চাহিয়া নাবী দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ কবিল। বুকটা তাহাতে কতক যেন হাল্কা বোধ হইল । নাবী ভাবিল, হায় ঐ ঘব ! অমনি অ'লো-করা ছোট সে সৰ্ব্বময়ী ছিল । বুঝে নাই, তাই সে তাঙ্গ আসিয়াছে ! কিন্তু আদর-গোববে পবিপূর্ণ এমন ঘব কিসেব প্রলোভলে সে ত্যাগ কবিয়া আসিল । আলেয়ার আলোয় মজিয়া বিপথে পড়িয়া সৰ্ব্বস্ব সে আজ পোয়াইয়া বসিয়ছে । এখন আব তাহ ফিবিয়া পাইবার এতটুকু আশ। নাই, সম্ভাবনা কঠিন উপেক্ষাব বাণে সে আজ বিদ্ধ জর্জবি ত । মোহ-স্বপ্ন ভাঙ্গিয়া গিয়াছে ! শুধু কি তই ? সবা জীবনেব উপর দিয়া কি প্রচণ্ড ঝড় বঙ্কিয়া গিয়াছে। ঝড়েব শেষে আশ্রয়-চু্যতা পাপীৰ মতই সে আজ নীড়-হারা ! এত বড় পৃথিবী— তবু তাহার দাড়াইবাব জন্ত কোথাও আজ তিলমাত্র স্থান নাই । অতীতের কথা বিব জীব মনে পড়িল । এমনই আলো-করা ঘরে বিবাহেব পব তাঙ্গাব ফুলশয্যা হইয়াছিল। আজ কি দিলে সেই অতীত দিন, অতীত মুহূৰ্ত্ত ফিবিয়া আসে ! মদের নেশার মতই অতীত স্মৃতিব নেশায় তাহার মাথাটা রিম্ ঝিম্ বিম্ ঝিম্ কবিতে লাগিল। কিন্তু হায়, সে দিন ফিবিবাব নয়— কখনও কাহারও ভাগ্যে ফিরে নাই ! তাহার ও ভাগ্যে ফিরিবে না ! সেই ঘরের পানে চাহিয়াই বিবজার সারা রাত্রি কাটিয় গেল। ত{হার যেন ংজ্ঞা ছিল না। ভোরের পার্থী গাহিয়া ঘর,--- সে ঘবে সে ঘবে ব মর্যাদা সে ত্যাগ কবিয়া নাই । বিপথে Գեչ> উঠিতে তাহণব চমক ভাঙ্গিল । দিনের আলো দেখিয়া কি- এক দারুণ ভয়ে তাহাব বুকটা দুব-কুব কবিয়া কপিয়া উঠিল । সেখানে তাঙ্গাব অব দাড়াইয়া থাকিবার ও সাহস হইল না। যদি কেহ জিজ্ঞাসা কবে,-— কে তুই ? এধানে কেন , যদি তাড়াইয়া দেয় । ধীবে ধীবে সে দুবে সবিয়া গেল ; কিন্তু বেশ দুব যাইতে পাবিল না। মন্ত্র পৃষ্ট সৰ্পেব মতই সে সেই গৃত্বে আশে-পাশে ঘুরিয়া বেড়াইল । ক্রমে বেলা দশটা বাজিয়া গেল। তিনটি ছেলে গৃহ হইতে পথে বাৰ্চিব হইল। পশ্চাতে ভূত্যেব হাতে বইয়েব গেছে । ছেলেবা স্কুলে চলিয়াছে—বিবঙ্গ ছেলেদের পশ্চাতে চলিল । তিনটি ছেলে । উহাব মধ্যে যেটি বড়, তাহার মুখখানি—ষ্টা, ঠিক, কোন ভুল নাই। ও মুখে সেই মুখপানিই যেন কে বসাইয়। রাথিয়াছে ! এই মুথের ছায়া স্বপ্নে সে কতবার দেথিয়াছে— অস্পষ্ট ছয় দেখাইয়া স্বপ্ন মিলাইয়া গিয়াছে ! ভালো করিয়া দেখিবাব সুযোগ দেয় নাই ! প্রিজাব ইচ্ছা হইতেছিল, ছুটিয়া গিয়া ছেলেটিকে একবাব সে বুকে তুলিয়া লয়, বুকে চাপিয়া ধরে—কোমল মুখখানি স্নেহের অমৃতধারায় অভিসিঞ্চিত কবিয়া তুলে। তাহার ক্ষুব্ধ অস্তরের পাষাণ স্ত,প ভেদ কবিয়া আজ যেন উথলিয়া উঠিয়াছে। সে বিমল স্নিগ্ধ ধাধায় বিরজার প্রাণ জুড়াইয়। বঁচিল । সই স স্নেহের নিঝব ૨ ছেলেবা স্কুলে গেল ; বিরজ ফটকের কাছে দাড়াইয়া রহিল । যদি আর একবার দেখা মিলে। ঢঙ, টঙ করিয়া সাtড় দশটার