পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ দ্বাদশ সংথ্য যে জগতে এত নৌকা থাকতে পারে । সে কত ছোট, বড়, বোঝাই নৌকা কোন খান পালে যাচ্ছে-—কোন থান বা দাড় বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা মাছধব নৌকা যথেষ্ট দেখতে পেয়েছিলাম— ক্ষুধিত আঁখি নিয়ে সম্মুখে মাঝিরা তাদের শীকার সন্ধানে বসে আছে। ক্রমে আমরা বিশ্রামস্থলে উপস্থিত হলেম । বাহকের অামাদেয় অপেক্ষায় ছিল, সেখান থেকে বাধী রাস্ত ধরে আমরা মন্দির পথে চলতে লাগলেম । এখানে যেন সমস্ত জগতই উপাসনা কচ্ছে—ধনী, দরিদ্র কত প্রকারের রমণী কিন্তু এখানে সব সমান, ভেদ বিবাদ কিছু নেই। আমরা মন্দিরে প্রবেশ কবে বাতি জালিয়ে ধূপ ধুনো দিলাম, ভগবতী সহস্ৰভূজার দ্বাবে প্রণাম কবে তার কাছে নব বর্ষের জন্ত আমাদের সমস্ত পবিজনেব মঙ্গল প্রার্থনা করলেম । আমি দয়াময়ী দেবী কোয়াণ-ইনের কাছে গিয়ে তাকে ভক্তি ভাবে প্রণাম করলুম—তুমি জান তার কাছ আমি কত কৃভজ্ঞ—আরো আবে দেব দেবী প্রণাম • করলুম বটে কিন্তু কোয়াণ-ইন রমণীরই দেবতা–তার স্থান আমার হৃদয়ের সবট জুড়ে আছে। তিনিই আমায় পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তুমি বিদেশে বহু দূরে আছ তিনিই আমায় রক্ষা কচ্ছেন । সুৰ্য্যের আগমনে যেমন আকাশ থেকে চন্দ্র তারা সব দূরে যায় তমনিই তার কাছে গেলে আমার সমস্ত ८झुद्धि नृथु इम्न बाग्न, ६:९ नछ दिष्ट्र থাকে না— কত ভালবাসি আমি তাকে সেটা চীনরমণীব প্রেমপত্র ১২৯৭ বুঝাতে পারব না—তিনি যেন আমার কথা শুনে থাকেন- আমার কোন আকাঙ্ক্ষাই তার কাছে অপূর্ণ থাকে না । মন্দির ছেড়ে আসার সময় দেখলুম সেই প্রকাণ্ড আঁধাব কক্ষে জগতের আলো বুদ্ধদেব বসে আছেন, সে মূৰ্ত্তি কি সুন্দর—মন তাপন্ন হতেই ভক্তিতে নত হয়ে আসে। শাস্ত স্থির নিবাক, নিম্পন্দ—ধ্যানী বুদ্ধ— চারিদিকে সহস্ৰ আলো জলছে, ধূপের ধোয়ায় ঘরখানা আঁধার হয়ে গেছে। আমি ভাবলুম “তিনি সৰ্ব্বক্ষমতাসম্পন্ন—” । মন্দির দ্বার থেকে ‘পিঠে কিনে অমর। মাছগুলোকে সব বিতরণ করলুম। তার পর কিছু জলযোগ করে বাড়ীর দিকে রওনা হওয়া গেল ! তোমার মা ও তার বন্ধুগণ বহু বিষয়ের আলোচনা কছিলেন চন্দ্র, স্বৰ্য্য গ্রহ, নক্ষত্রের আলোচনা থেকে আধুনিক বালক বালিকা, শিক্ষণ প্রণালী, গৃহকাৰ্য্য দাস দাসী কোন কথাই বাদ যায় নি । আধুনিক শিক্ষার কথা উঠতেই তাদের বক্ততার চোট আরও বেড়ে উঠল, কারণ এটা তাদের সকলেরই চক্ষুশূল । ক্রমে আমরা বাড়ীর ঘাটে এসে উপস্থিত ই লেম, হঠাৎ যেন আমার আস্তর ব্যথিত হয়ে উঠলো—হায়, তুমি এখন আমার কাছে নাই —পথের পাশে লি-টির স্বামী তার জন্তে অপেক্ষা কচ্ছে—আমার অপেক্ষা করার কোন লোক নেই– আমার পক্ষে সব শূন্ত—! এতক্ষণ আনন্দে আত্মহারা হয়ে ছিলুম— আবার বিষাদে হৃদয় ভরে গেল । প্রিয়তম আমার,– তোমার ভালবাসারু “সেই”। ঐজ্ঞানেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।