পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిబి : আমি আর কিছু বলতে সাহস কলুম না, একবার সস্নেহ দৃষ্টিতে আমার মুখের পানে চেয়েই বাবা দরজা বন্ধ করে চাবি লাগিয়ে চলে গেলেন । যখন তার মনের মধ্যে ভয়ের খেয়াল বেশ হোত গেব্ৰিয়েল ও আমাকে তিনি এমনি চালি বন্ধ করে নিরাপদে রাখবার চেষ্টা করতেন। বব চলে গেলেন, সিঁড়িতে র্তার পায়েব শব্দ মিলিয়ে গেস, আমি সেইখানে বসে পড়লুম। তখন রাত্রি ১০টা, আমি উঠে ঘরের ভিতর পায়চাৰী করতে লাগলুম—যখন মাথাটা অনেকটা ঠিক হয়ে এলো—আস্তে আস্তে আলোটা মাথার কাছে এনে রাখলুম— কাপড় না ছেড়েই বিছানায় শুয়ে বাইবেল খান নিয়ে পড়তে লাগলুম। বোধ হয় আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলুম, হঠাৎ আমার কানে একটা জোর আওয়াজ এসে ঘুমটা ভাঙিয়ে দিলে। আশ্চৰ্য্য হয়ে বিছানায় উঠে বস্লুম—সব স্তব্ধ হয়ে গেছে । আলোটা মিট্‌ মিট করে জলছিল- ঘড়ীর দিকে চেয়ে দেখলুম—প্রায় মধ্যরাত্ৰি ! আমি তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে নেমে দাড়ালুম— আলোটা নিভে গেল, বাতি জলপার জন্তে দেশলাইট হাতে কবেচি হঠাৎ একটা শব্দ বেজে উঠল—এত কাছে “ যে মনে হোল আমার ঘরের মধ্যেই আওয়াজ হচ্চে ! আমার ঘর—তুমি জান—বাড়ীর সামনেই ;–মার আর গেব্রিয়েলের ঘর একেবারে শেষ প্রাস্তে । উঠে জানলার কাছে গেলুম—পর্দা সরিয়ে দিয়ে বাগানের দিকে দেখলুম, কাকড়ফেলা জ্যোৎস্নালোকিত পথে দাড়িয়ে তিনজন বিদেশী “লোক বাড়ীর দিকেই চেয়ে আছে । পাশাপাশি দাড়িয়ে উৰ্দ্ধমুখে চেয়ে ভারতী চৈত্র, ১৩২০ তার কি বলছিল—আর সেই সঙ্গে তাদের ছয়টি হাত ক্রমান্বয়ে উদ্ধে ও নিম্নে উত্তোলিত ও নিক্ষিপ্ত হচ্ছিল । হঠাৎ একটা মৰ্ম্মস্পশী তীক্ষ চীৎকাবের মত কি একটা কথা তব বলে উঠল—সেই ভীতিপূর্ণ চাংকারে আমার সমস্ত দেহ কণ্টকিত হয়ে গেল—শব্দ যেন স্তব্ধবাত্রের সমস্ত বিজনতাকে ভরিয়ে দিয়ে বায়ুমণ্ডলকেও পূর্ণ করে ফেলেছিল। আওয়াজটা যখন মিলিয়ে এলে তখন দরজা ধোলার শব্দ হোল । তাব পরই জ্যোৎস্নালোকে আমি দেখতে পেলুম আমার বাবা অাব করপোর্যাল সেখানে এলেন । তাদের মাথায় টুপী নেই—তারা যেন যন্ত্র চালিতের মতই চলছিলেন—ঘুমিয়ে কি জেগে তাও আমি বুঝতে পালুম না। বিদেশীরা তাদের স্পর্শ কল্লেনা-- কোন কথা বল্লেনা ;– বাগানের রাস্ত দিয়ে ঝোপের মধ্যদিয়ে তার ক্রমে ক্রমে মিলিয়ে গেল— বাবা আব করপোর্যাল তাদের অসুসবণ করে আমার চোথের উপর থেকে চিরদিনের জন্তেই মিশিয়ে গেলেন।” মুখে হাত ঢাকিয় মরডগু অনেকক্ষণ চুপ করিয়া রহিল । তাহার পর আবার আরম্ভ করিল— “এ সব হতে খুবই কম সময় লেগেছিল— পাচ মিনিটের বেশী সময় লাগেনি । আমি আমার শরীরের সমস্ত ক্ষমতা দিয়ে পাগলের মত দরজায় ধাক্ক দিতে লাগলুম, হঠাৎ তালাটা খুলে গেল--আমি বারাওয়ে এসে পড়লুম—প্রথমেই আমি ছুটে নীচে নেমে রাস্তায় এসে পড়লুম—ঝোপের ভিতর বাইরে ছুটাছুটি কলুম কোথাও কোন চিহ্ন