পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা সবেমাত্র তন্ত্র আসিয়াছিল হঠাং কি একট। শব্দে ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল। চাহিয়া দেখিলাম দেশী পোষাক পরা একটি লোক আমার র্তাবুব দরজার ভিতর দাড়াইয়া আছে । সে যেন পাথবের পুতুলেব মত দাড়িয়েছিল ; কেবল তার উজ্জ্বল চোখের কঠোর দৃষ্টি আমার মুখের উপবে স্থির করিয়া রাখিয়াছিল। লোকটা হয়ত ধৰ্ম্মোন্মত্ত গাজী বা আফগান,— আমায় হত্যা করি বাব জন্ত গুপ্ত ভাবে আসিয়াছে। কথাটা মনে হইবামাত্র উঠবাব চেষ্টা করিলাম। কি আশ্চৰ্য্য ! উঠা ত পরের কথা, হাত পা নাড়িবাব সাধ্য ও আমার ছিল না ;–যদি আমার বুকের উপব ছুবি নামিতে দেখি তথাপি বাধা দিলাব ক্ষম ত৷ নাই –এমনি অসহায় আমি । সাপেক দৃষ্টিতে পার্থী যেমন অচল ভাবে তারই পানে চাহিয়া থাকে তেমনি ভাবেই আমিও তাব পানে চাহিয়া-রছিলাম। অমাব জ্ঞান সম্পূর্ণ সতেজ —কিন্তু দেহটা পক্ষাঘাতগ্রস্ত বেগীব মত অসাড় হইয়। গিয়ছে। সেই অদ্ভূত ব্যক্তিব অদ্ভুত স্থিব দৃষ্টি আমাৰ উপবেই সমুভাবে ন্তস্ত । অসহ–এ—অসহ । দেহ অক্ষম কিন্তু চেষ্টা • করিতে কণ্ঠে স্বব বাহির হইল। আমি জিজ্ঞাসা কবিলাম “কে সে ? কি চায়, কেন এসেচে ?” গম্ভীব স্ববে অত্যন্ত ধীর ভাবে লোকটা উত্তর দিলে, “লেফটেনাণ্ট হিদাবষ্টণ,—যে কাজ তুমি আজ কধেচ, জগতে তাব তুল্য মহাপাতক আর নাই, মানুষে এমন কাজ কখনও করিতে পারে না । ভগবানের প্রিয় সন্তান, প্রগাঢ় বিশ্বপ্রেমিক, মদীম শাস্ত্রজ্ঞানী, নিৰ্ব্বিবোধী, সংসারভ্যাগী চীরধারী সন্ন্যাসী, পরমপুজ্য

সৌধ-রহস্ত צמיכאל গুরুদেবকে বিনা অপরাধে তুমি হত্য করিয়াছ । তোমার জীবনের সংখ্যা যত তদপেক্ষ বহু তব বৎসব তিনি এই নিৰ্জ্জন গুহায় মহাযোগে সাধন পথে অবস্থিত ছিলেন। ভক্তি যখন তাকে মুক্তির দ্বারে লইয়া আসিয়াছে, মোক্ষ যখন তাহার করতলেব নিকটে, পাপিষ্ঠ সাধুতাকারী তখন তুমি তাৰ মহাসাধনেব বিঘ্ন রূপে আবিভূতি হয়ে তাকে হত্য করে চ । দীর্ঘ জীবন লাভ বিনা এ বিদ্যা এ জ্ঞান —ভগবৎ সাযুজ্য অসম্ভব ! তাই পবমজ্ঞানী মহাত্মাবা প্রাকৃতিক নিয়মাবলীব নিয়মিত পালনে কঠোব ব্রহ্মচর্য্যে—যোগৈশ্বৰ্য্যলাভে আত্মকে অমরা স্থায় পরিণত করিতে চাহেন । নতুবা দেহ বক্ষয় তাহদের প্রয়োজনই বা কি ? ঘট ভঙ্গ হইলে ঘট মধ্যস্থ আকাশ যেমন আকাশই থাকে তদ্রুপ দেহ নষ্ট হইলে ও জ্ঞানীর আত্মা নষ্ট হয় ন!—ব্রহ্মজ্ঞানী ব্রহ্মেই যুক্ত থাকেন। কিন্তু আমবt যাহা হাবালেম — এ জীবনে জীবনাস্তে কোটি কোটি জন্ম জন্ম স্তবে—আর তাহা ফিবিয়া পাইব না । যে মহাপুরুষেব রক্তে নিজেব হস্ত কলঙ্কিত করিয়াছ তাহাতে ইহজীবনে তোমাব মুক্তি নাই ! মনে কর কি ঠিথবষ্টণ, এ অপবাধেব ক্ষমা আছে ? শাস্ত্রেব আদেশ—ধৰ্ম্মদ্বেষী সাধু হত্যাকfরীব তুষানলে প্রাণত্যাগই প্রায়শ্চিত্ত । এ নিয়ম ধনী নির্ধন সবল টুৰ্ব্বল সকলকারই জন্ত । রাজবি সাধ্য নষ্ট তোম{য় রক্ষণ করেন। তুমি দেবতার কোপে পতিত হইয়াছ। তুমি যোদ্ধা, সাধাবণ মৃত্যু দ গু তোমার পক্ষে ঠিক নয়। তুমি হিন্দু নও—হিন্দু সন্ন্যাসীর প্রতি অন্যায়ীচরণ পাপ বলিয়া তোমার মনে হয়ন—