পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৬৩

>○> R তাই পলে পলে মৃত্যু যন্ত্রণ ভোগ কবিয়া যোদ্ধার ঈপ্তি ও মৃত্যু লাভ না কবই তোমার দণ্ড স্থির হইয়াছে । আজ তইতে যত কালষ্ট তুমি জীবিত থাক এই ঘণ্টা প্রতিনিয়ত তোমাকে তোমাব শাস্তির কথা স্মবণ ক বাইয়। দিলে। তোমাব গৰ্ব্বান্ধ পাপিষ্ঠ ভূ iট যে সন্ন্যাসীকে আহত দেখিয়াও প্রস্তাব কবিয়াছে সে ও বুঝিবে যে এ জগতে বাহুবল ও পদগেীব ব ছাড়া অন্ত শক্তি ও আছে। ৫ই অক্টোবব--তোমাদেব মহাপাতকে ব প্রায়শ্চিত্তের শেষদিন জানিও—আলাব তোমার শেষ দিনে দেখা হইবে।” কঠোব তীব্র ভৎ সনাব দৃষ্টিপাত করিয়া মূৰ্ত্তি বাহিবে মিলাইয়া গেল।—সহসা আমার জড়ত্ব ঘুচিল—আশ্চর্য আমি কি এতক্ষণ নিদ্রিত ছিলাম ! ছুটিয়া বাহিবে আসিলাম । যে শান্ত্রি তখনও পাহারায় জাগিয়াছিল— সে কিছুই জানে না, সে বলিল “এক ঘণ্টার মধ্যে তাহাব পাহাবাব কালে তাবুব মধ্যে কেহ প্রবেশ কবে নাই বাহিবেও যায় নাই”। তাহাব মুখের ভাব ও চোখেব দৃষ্টি দেখিয়া মনে হইতেছিল সে অামাব প্রকৃতিস্থতায় সন্দিহান হইয়াছে । অশ্চির্য্য ও লজ্জিত হইয়। ফিরিয়া আসিয়া বিছানায় বসিলাম । ন স্বপ্ন নহে সল সত্য—অামাব মাথাব উপর বা তাসে ঘণ্টার শব্দ স্মবণ করা হয়। দিল সব সত্য। আমার পবিচিত ভাব তবর্ষেব দেবমন্দিবের পুঞ্জাবীরা পূজাকালে এইরূপ ঘণ্টার শব্দ করিয়া থাকেন আমি কতদিন শুনিয়াছি। উঠিয়া তাবুর ভিতর বাহির তন্ন তন্ন করিয়া খ জিলাম, কিছুই নাই কেহই নাই। সকালে ঘুম ভাঙ্গলে সব ঘটনাকে স্বপ্ন ভারতী চৈত্র, ১৩২০ বলিয়া মনে হষ্টতেছিল, কিন্তু আবার সেই বোমাঞ্চনকাৰী ঘণ্টা ধবনি ! সন্ধা!— গোলন্দাজ স্মিথের সঙ্গে কথাবাৰ্ত্ত হুইল —তাহাব অবস্থাও ঠিক আমারই হ্যায়। সেও ঘণ্টার আওয়াজ শুনেছে । মাথায় আগুণ জলচে । ঈশ্বব আমাদের রক্ষা করুন--”। ডায়াবির সঙ্গে অাব এক থানি আলাদা কাগজ আঁটি ছিল লেখ! দেখিয়া মনে হয় তাহা অল্পদিন পূৰ্ব্বে লিখিত হইয়াছে। লেখাটি এই – “সেই হইতে আজ পর্য্যস্ত দীর্ঘ অতিদীর্ঘ চল্লিশ বৎসবের প্রত্যেক দিন প্রতিবাত্রি সেই নিঠুব ঘণ্টাধ্বনি তেমনি করিয়াই আমাব বুকের উপর হাতুড়ীব ঘা মারিয়া মাথার উপব বজ্রের মত বাজিয়া আসিয়াছে। রক্তেব তেজ কমিয়া গিয়াছে, শক্তি অপহৃত, দেহ জরাক্রান্ত ; ভয় বাড়িয়াই চলিতেছে—ভয়—কী সে ভয় ? অর্ণব দহ হয় না—অসহ-ও ঈশ্বব আমার জ্ঞান আমাব স্মৃতি লুপ্ত কবিয়া দাও। অামাব দেখমন ভাঙ্গিয়া গিয়াছে যে শব্দ মৃত্যুর ভেরীনিনাদের চেয়েও ভয়ানক তাহাও দিলানিশি শুনিবাব জন্ত উৎকর্ণ হইয়া থাকি । বন্ধু নাই, লোকের সহি ত মিশিবাব সাহস নাই, কাহার ও সঙ্গিত দাড়াইয়া কথা কহিতে পাবি না— মৃত্যুর পূর্ব পর্য্যন্ত কোন আশা নাই। তবু আজিও আমি অহঙ্কারের স'হত বলিতে পারি আমি আত্মহত্যা করি ना३-३ध्झ আমার শক্তিশালী শাস্তিদাতাদের হাত আমি অনায়াসে ছড়াইয়া যাইতে পারিতাম তবু যাই নাই। আমার করিলে