পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা বিশ্বাস—আমার উপরওয়ালা যেখানে আমায় দাড় কব ইয়া দিয়াছেন—তাহার আদেশ ব্যতীত সে স্থান ত্যাগ ক'বয়া যাইবাব অধিকার আমব নাই। মৃত্যুকে আমি আহবান কবেছি। শিখ যুদ্ধে সিপাঙ্গ যুদ্ধে অকুতোভয়ে তার সম্নে বুক পেতে দিয়েছি সে আমায় প্রত্যাখ্যান কবেচে, চোখের উপর বুকভর আশা ভালবাসা নিয়ে — যুবকের চলে গেছে। বৃদ্ধ আমি--অমাব জীবন অটুট—কেবল উপাধি অব মান্ত ! হায় মান্ত—হtয় ভাগ্য ! আমি বঁ অনেক তুঃখেব মধ্যে অমাব একমাত্র সুথ—অভাগিনী স্ত্রী ক্লার ! পূৰ্ব্বে সকল কথাই তাঙ্গকে খুলিয়া দলিয়াছি —জানিয়া শুনিয়া ও এই অভিশপ্ত হতভাগ্য সৈনিকেব পত্নী” স্বেচ্ছায় তিনি সম্মতি দিয়াছিলেন । তাৎপর দীর্ঘ চল্লিশ বৎসর ধরিয়া আম{ব দুঃখের ভার স্বন্ধে বহিয়া হাসি মুখে নিজেকে ক্ষয় কবিয়া আমার দুঃথেব জীবনে যথাসাধ্য সাস্তুনা দিয়া আসিয়াছেন । সুশীল পুত্রণ স্ত দুটিও তাঁহাদের সমস্ত ইদয়েব স্নেহ ভালবাসা দিয়া আমাকে সুপী কবিয়াছে ” ডায়ারি পাঠ শেষ হইয়া গেল । ও এসথার গভীর মনোযোগের সহিত শুনিতেছিল তাহদের দুইজনেব চক্ষু দিয়া জলধাবা গড়াইয়া পড়িতেছিল। তখন ভোর হইয়া আসিয়াছে। পা ধুব আকাশে নক্ষত্রগুলা নিবিবাব যোগাড় কবিতেছিল । ক্লোক ও টুপি তুলিয়া লইয়া মরডণ্ট ও আমি বাহির হইয় পড়িলাম । এসথ'ব নত জানু হইয়া যুক্ত করে উপাসনা করিতে লাগিল। বিবাহেব হইতে শাস্তি ও মরডণ্ট সোধ-রহস্ত రిచీ সোজা পথ ছাড়িয়া বাকী পথ ধরিয়াই চলিতেছিলাম— প্রত্যেক ঝোপঝাপ জঙ্গল প্রতি পদক্ষেপে অাশার জাগিয়া উঠিতে ছিল কি দেখিব—যদি সন্ধান মিলে—কি মিলিবে ? ফুলাবটনকে উঠাইয় তাহার কুকুবটাকে সঙ্গে লইলাম—সে ও স্বেচ্ছায় সঙ্গী হইল । কিন্তু অনেক অনুসন্ধানেও কোন ফল গৰ্ত্ত দেখিতেছিলাম । সহিত আশঙ্ক! 3 (5미 F1 || ষোড়শ পরিচ্ছেদ প্রায় তিন বৎসব পৰে –“ঞ্জাব অফ ইণ্ডিয়া” নামক ভাবতবৰ্ষীয় সংবাদ পত্রেব একটি সংবাদে আমায় আকৃষ্ট কবি’ল । সংবাদ স্তম্ভে “লালহুমি, শনৎসুন ও অহং নামক তিনজন পবিত্ৰাজক পৌদ্ধ সন্ন্যাসীর সম্বন্ধে লিখিত হইয়াছে—যে তাহাব সমস্ত ইউবোপ ভ্ৰমণ কবিয়া সম্প্রতি ডেনাক জাহাজে ফিরিয়া আসিয়াছেন । তাহাব সহিত একজন ইংরাজ সন্ন্যাসী ও আসিয়াছেন । প্রাচ্যের নিকট প্রতীচে্যুব শিক্ষাব ও যথেষ্ট আছে।” সংবাদটি সম্ভবতঃ অপর কাচাবও দৃষ্টি আকৃষ্ট করিতে পাবে নাই, মবডণ্ট ও আমার স্ত্রীব কাছে এ সংবাদ গোপনই রাথিয়াছিলাম । লালার সঙ্গিত পরামর্শ করিয়া উক্ত সংবাদপত্রের সম্পাদককে পত্র লিপিয়া জানিলাম, সংবাদদাতব কোন খবর তিনি জানেন না। প্রাপ্ত সংবাদ ছাপা হঠয়াছে এই পর্য্যস্ত । একদিন পাগলাগরিদ দেখতে গিয়া ক্লফাসেব সহিত আশ্চর্য্যভাবে সারাং হুইল । সে পাগল হইয়। গিয়াছিল, কোন কথাই বলিতে পারিল না। কর্তৃপক্ষ জানাইলেন,