পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপ্রস্তুত ( মার্ক টোয়েন হইতে ) আমি ও বন্ধুবর হারিস তখন সুইজারলাণ্ডে । গ্রীষ্মে যাহার। সুইজাবলtণ্ড ভ্রমণে আসেন তাহদের অৰ্দ্ধেকই ইংরেজ - বাকীর • মধ্যে বেশীর ভাগই জৰ্ম্মান ও আমেরিকান – হোটেলের টেবিলের চারিদিকে ঘিবিয়া যখন নানা প্রকার পোষাক পরিধান করিয়া নানাদেশীয় লোক আহারে বসিতেন, আমি ও হ্যারিস তখন অনুমানে স্থিব করিতে চেষ্টা করিতাম তাহীদের মধ্যে কে কোন জাতি, কাহার কি নাম,—বয়স কত ইত্যাদি । অনেক ব্যক্তির জাতি কি তাহ সময় সময় স্থির করিতে পারলেও—নাম ঠিক করাটা বড় সহজ হইত না । একদিন আমি ও হারিস নিম্নলিখিত রূপ আলোচনা করিতেছিলাম— আমি । “ও রা দেখিতেছি আমেরিকান ৷” হারিস। “তা যেন স্বীকার করা গেল । কিন্তু তার আমেরিকার কোন ষ্টেটের তা যদি বলতে পার তবে ত বুঝি।” আমি একটা ষ্টেটের নাম করিলাম— হারিস বলিল অন্য একটা । কিছুতেই মীমাংস। হয় না । তবে একটা বিষয়ে আমরা উভয়েই একমত হইলাম।— ওদের সঙ্গের যুবতীট অপরূপ সুন্দরী, এবং তাহার পোষাক সুরুচির পরিচায়ক । —কিন্তু সুন্দরীর বয়স লইয়া আমাদের মধ্যে পুনরায় অনৈক্য হইল। আমি বলিলাম যুবতীর বয়স ১৬ পার হয় নাই,—

  • *

হারিস বলিল বিশেষ কম হইতেই পারে না। কিছুক্ষণ কলহের পর আমি গাম্ভীৰ্য্য অবলম্বন করিয়া বলিলাম—“আচ্ছ, এবিষয়ে মীমাংসার একটা উপায় আছে। আমি যাই যুবতীকেই জিজ্ঞাসা করে আসি ।” হারিস বিদ্রুপের ভান করিয়া বলিল— “অবিহি ; সেই ত ঠিক কথা । যাওনাজিজ্ঞাসা করে এল। বলো, আমি আমেরিকা হতে এসেছি । তা’হলেই তোমার সঙ্গে বেচে আলাপ করবে এখন। কোন চিন্তা নেই।” আমি বলিলাম--“আমি একটা কথার কথা বলছিলাম মাত্র ; যাবই যে তা ভেবে কথাটা বলিনি। কিন্তু তুমি দেখছি জানন, আমি মোটে ভীরু প্রকৃতির লোক নই । ভ্রমণে বেড়িয়েছে এমন কোনও স্ত্রীলোকের সঙ্গে আলাপ করতে আমার ८कांनs उग्र श्ब्र नl ! cधहे याई আমি ” আলাপ আরম্ভ করিবার একটা সহজ উপায়ও মনে মনে স্থির করিলাম । আমি গিয়া রমণীকে বেশ ভদ্রতার সহিত সম্বোধন করিয়া বলিব--তিনি আমার পরিচিত মনে করে তাহার সঙ্গে আলাপ করতে এসেছি যদি ভুল করে থাকি—তবে যেন ক্ষম করেন। মনে মনে এইরূপ স্থির করিয়া রমণীর নিকট গিয়া উপস্থিত হইলাম । তার পাশ্বে উপবিষ্ট ভদ্রলোকটকে নমস্কার জানাইয়া—যুবতীর দিকে ফিরিয়া কথা