পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w): : যে গাছগুলির কাণ্ড শাখায় পরিণত না হইয়া উদ্ধ সীমা পৰ্য্যন্ত সোজা উঠিয়া যাইত, তাহাদিগকে “কাণ্ডিনীঃ” বলিত। উদ্ভিদ বিদ্যা-বিদেরা দেখিতে পাইতেছেন যে Deliquescent of Excurrent "so অনুবাদের জন্য কুইটি চমৎকার শব্দ পাওয়া গেল। আশা করি বাঙ্গলা ভাষায় রচিত উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ক গ্রন্থে এই শব্দ দুইটি নিশ্চয়ই গৃহীত হইবে। “কণ্ডিনী"র মধ্যে যে বৃক্ষগুলিতে নিম্ন হষ্টতে উদ্ধ পৰ্য্যন্ত অনেক শাখা থাকিত, তাহাদের নাম ছিল “বিশাখাঃ” । গাছে ফুল ফুটিলে গাছগুলিকে ‘পুষ্পবতীঃ’ বলিত বটে, কিন্তু যে সকল গাছে ফুল ফুটে অর্থাৎ যাহার flowering, তাহদের নাম ছিল “প্রসুবরীঃ” । হয় ত এখন এ অর্থে “সপুষ্পক” শব্ব চলিয়া গিয়াছে বলিয়া ইহার ব্যবহারের প্রয়োজন হইবে না ; কিন্তু এই শব্দটি ব্যবহৃত হইলে একটি বিশুদ্ধ শব্দের প্রচলন হয় । - ডাটা বাহির হইয়া যখন ডাটার উপর ফুল ফুটে, তখন একটি অসংবদ্ধ প্রণালীতে ফুল ফুটিলে ইউরোপীয় বিজ্ঞানের ভাষায় wfoto panicle «ço હરે panicleq¥ খাটি বৈদিক নাম “তুল”। শব্দটি এ কালের ব্যবহারে না লাগিলেও আমরা সে কালেব শব্দ সম্পদ দেখিয়া আনন্দ অনুভব করিতেছি। লতা অর্থে সাধারণ শব্দ ছিল “প্রতম্বতীঃ” ; এবং যে লতা গাছ বাহিয়া না উঠিলে বাড়িতে পারে না, তাহার নাম ছিল 'ব্রততি’ এবং যাহারা সাধারণতঃ মাটিতেই বিস্তার লাভ করে, তাছাদের নাম ছিল “অলসালা” । ভারতী কাৰ্ত্তিক, ১৩২০ আমরা এখন অৰ্ব্বাচীন সংস্কৃতের “লতা” শব্দই সকল গ্রাদেশিক ভাষাতেই ব্যবহার করিয়া থাকি ; কিন্তু বৈজ্ঞানিক প্রভেদ রক্ষা করিবার জন্ত climber অর্থে ‘ব্রততি’ এবং creeper অর্থে “অলসাল” ব্যবহৃত ইষ্টলে মন্দ হয় না। শেষোক্ত শব্দটি কঠোর মনে হইলে অর্থ রক্ষা করিয়া “অলসা” শব্দ ব্যবহার করিলে ক্ষতি কি ? কাঠ বুঝাইবার জন্ত “কমুক”, “কুমুক” এবং “দারু” শব্দ পাওয়া যায় । “পর্ণ” ভিন্ন পাতাব অন্ত কোন নাম পাওয়া যায় না । বাকৃলার নাম ছিল “বন্ধ”,—“বন্ধল” নহে। প্রাচীন প্রাকৃতে বর্ণব্যত্যয়ে “বন্ধ” “বকু” উচ্চারিত হুইত, এবং সংস্কৃত ভাষায় ঐ দুইটি শব্দের খিচুড়িতে “বহুল” শব্দ হইয়াছিল। গাছের আঠ, রস প্রভৃতি সকলেরই নাম ছিল “নিৰ্য্যাস”। এখন বর্ণমালাক্রমে বীরুধ এবং বনস্পতি দিগের নাম দিতেছি । (১) অজশূঙ্গী ( সম্ভবতঃ বাবলা ), (২) অপামার্গ (আপাঙ্গ, ঔষধে ব্যবহৃত ), (৩) অমলা ( আমূল, আমলকী ), (৪) অমূলা (গাছে ঝুলিত, শিকড় হইত না এবং শরের মুখ বিষাক্ত করিবার জন্ত উহার রস ব্যবহৃত হইত বলিয়া অথৰ্ব্ব বেদে উল্লিখিত আছে ; একজন ইংরেজ পণ্ডিত এই অমূলাকে বলিয়া পরিচয় fruttga), (a) NRF (Colosanthes Indica—ইহার কাঠে গাড়ির চাকার “ধুরো” প্রস্তুত হইত ), (৬) অরাটকী (সম্ভবতঃ অজ শৃঙ্গ হইতে অভিন্ন), (৭) অরুন্ধতী (હરે ༦བུ་[4 লতা বা ব্রততি বড় বড় গাছে Methonica Superba