পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা আকৃতি ও প্রকৃতি পাইয় থাকে । সেই সঙ্গে পিতামাতার উপজ্জিত বা অন্তরূপে সংগৃহীত গুণাবলীও প্রাপ্ত হয়। এইজন্তই র ব্লকের ভারবাহী কোন একটি গর্দভের বাচ্ছা বংশগত আকৃতি ও পিতামাতার ভারবহন ক্ষমতা পাইয়া থাকে ; দুগ্ধবতী গাষ্ঠীর বৎস্ত উত্তর কালে মাতব দ্যায় দুগ্ধবতী হইতে পাবে । এই কাবণেই মাতালের ঔরসে মাতাল ও যক্ষ্মাকাশাদি বোগীর সন্তান পৈতৃক-রোগ ভোগ কবিয়া থাকে । ডারবিনের এই প্রতিনিধিমূলক মতবাদ ( Pangenesis দ্বীব। জাতিগত আকৃতি ও বংশগত পৈতৃক উপার্জিত গুণ এবং প্রকৃতি কিরূপে সন্তানে সংক্রমিত হয় তাহা অনেকটা বুঝিতে পাবা যায় বটে কিন্তু প্রশ্ন এই যে, কিরূপে কোরকাণু সমুহ এক কোষে উৎপন্ন হইয়া উৎপাদক কোষে গমন করে ? উপযুক্ত অনুপাতে যাওয়ারই বা কারণ কি ? আর পবে যখন বীজটি বৃদ্ধি পাইয়া ভ্রণে পরিণত হয় তখন কোরকগণু গুলি কি পৰ্য্যায়ক্রমে কার্য্য করে—না একসঙ্গে কার্য্য করিয়া থাকে ? ডারবিনের এই প্রতিনিধিমুলক মতবাদ সকলে স্বীকার করেন নাই । অনেকেই weisman এর মতবাদ অধিকতর সমীচীন বলিয়া মনে করেন। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি জীব ও উদ্ভিদের দেহ কতকগুলি কোষের সমষ্টিমাত্র । উহাদিগকে দেহকোষ বলা যায়। উহাদের কতকগুলি একত্র হইয়া স্বত্রণকারে পরিণত হয় ও বিশেষ বিশেষ কাৰ্য্য করিয়া থাকে । এইরূপে

  • >

Hypothes's ) পিতা মাতার সহিত সন্তানের সম্বন্ধ brశీలీ দলবদ্ধ কোষসমূহকে টিমু বলে। Weisman বলেন পিতামাত হইতে জীব ও উদ্ভিদের আকৃতি ও প্রকৃতিগত যে পার্থক্য দৃষ্ট হয় উহ! পাবিপাশ্বিকের প্রভাবে ঘটে না, ভিতর হইতেই উদ্ভূত হয়—শারীবর্যন্ত্র সমূহই এই পবিবর্তনের কণবণ । বীজকোষ (germcell) যাহা হইতে জীবের জন্ম হইয় থাকে, উহ টিম বা দেহ-কোষ হইতে উৎপন্ন হয় না । একটি মাত্র কোষবিশিষ্ট অতি প্রাচীন পূৰ্ব্বপুরুষ হইতে পুরুষপরম্পরায় জীব উহা প্রাপ্ত হইয় থাকে । উহা ‘নিত্য’ (immortal) পদার্থ—দেশকালাদি বাহিক কাবণের প্রভাবে উহার কোমরূপ পরিবর্তন হয় না । পিতামাত হইতে প্রাপ্ত হইয়। জীব আপনাপন সন্তানের জন্ত উহাকে ধকৃতাদি যন্ত্র, টিসু ও দেহকোষ সমূহ হইতে সম্পূর্ণ পৃথক্ অবস্থায় রক্ষা করে এবং যথাকলে পুত্রকন্তকে অবিকৃত অবস্থায় দান করিয়া থাকে । বীজপঙ্কের গঠন সম্বন্ধেও Weisman এর মত ডারবিনের মত হইতে সম্পূর্ণ পৃথক্ । তাহার মতে বীজপঙ্ক কোরকগণুর সমষ্টি নহে এবং কোরকাণু বিভক্ত হইয়া কোষও স্বষ্টি করে না। উহার রাসায়নিক এরূপ স্বতঃপ্রবৃত্তি থাকে যাহার ফলে উহা বিশেষ বিশেষ কোষ, টিমু ও যন্ত্র স্বষ্টি করিতে পারে। বীজ যখন পুষ্ট হইয়া ভ্রাণরূপে পরিণত হইতে আরম্ভ করে তখন উহার উপাদানের প্রকৃতির তারতম্যানুসারে টিস্থ ও হস্তপদাদির গঠন নিয়মিত হইয়া থাকে ;– কতকগুলি কোষ টিম প্রস্তুত করে, কতক গুলি হস্তপদ প্রভৃতি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গঠিত্ত