স্রোতের ফুল ( × ) বহুকাল পরে সব কয়ট পাশের এগজামিন দিয়া বিপিন বাড়ী আসিতেছে। বাড়ীর সকলেই উৎসুক চিত্তে বিপিনের আগমন প্রতীক্ষা করিতেছে। গিল্লির মন আজ মাতৃগৰ্ব্বে প্রসন্ন ভরপুর। তিনি মনে মনে ভাবিতেছিলেন এই ফাল্গুন মাসের মধ্যেই প্রচুর উৎসবের আনন্দ-কোলাহলের মধ্যে র্তাহার বধুসহিত পুত্রকে বরণ করিয়া ঘরে তুলিবেন, আজিকার এ উৎসব তাহারই পূৰ্ব্বস্বচন । গিল্লির আনন্দে আজ সলাই আনন্দিত । রোহিণী আজ অকারণে চেচাইয়া হাট বাধাইতেছিল। বাড়ীর ীে-ঝিরাও অতিরিক্ত ঔৎস্থক্যে আপনাদের আগ্রহ দমন করিতে পারিতেছিল না । এই আনন্দ উল্লাসের মধ্যে দুটি লোকের भन विषाविङ श्हेब्र हिण–८न भूख्यिान्न ७ মালতীর । বিপিনের আগমনের আনন্দে র্তাহারা সকলের সহিত এক হইয়া যোগ দিবেন, কি একাস্তে থাকিবেন, তাহ! ঠিক বুঝিতে পারিতেছিলেন না। সকলের আননো যোগ দিতে গেলেই লোকের বিরক্তি উৎপাদন করিবেন, না, একাস্তে থাকিলেই লোকের অষ্ঠায় বোধ হইবে, ইছা তঁহার ঠিক করিতে পারিতেছিলেন না। খুড়িমা বিপিনকে পুত্রবৎ দেহ করেন। তাহার আগমনে খুড়িমার ধদয় আপন হইতেই চাহিতেছিল তাছাকে সকলের আগে আশীৰ্ব্বাদ করিবে—বিপিন তাহার অদিনে যে উপকার করিয়াছে তাহ ত ভুলিবার নহে। কিন্তু র্তাহার , সহজ আচরণের পথে অন্তরায় জুটিয়াছিল মালতী। তাহাকে লইয়া পাছে আবার নূতন গগুগোল হয় এই ভয়ে তিনি কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইতেছিলেন । মালতীকে লইয়া তিনি সকলের আনন্দে যোগ দিতে পারেন না, আবার মালতীকে সঙ্গে না লইয়া একাকী যাওয়াও ভালো দেখায় না-খুড়িমার পক্ষে ইহাই মছা সমস্ত হইয়া উঠিয়াছিল । মালতীর অন্তরে মুখ ও সঙ্কোচের দ্বন্দ্ব চলিতেছিল। নবকিশোর বলিয়াছিল বিপিন আসিলেই তাহার সকল দুঃখ যন্ত্রণা ঘুচিবে। সেই তাহার মুদুঃসহ-দুঃখ-ত্রাতা বন্ধু আজ আসিতেছে। তাছাকে দেখিবার দারুণ কৌতুহল মালতীকে পীড়া দিতেছিল । সে যে মনে মনে একটি কল্পিত মূৰ্ত্তি গড়িয়া রাখিয়াছে তাহার সহিত ধাস্তবকে মিলাইয়া দেখিতে সাধ হইতেছিল। কিন্তু তাহার ভয় হইতেছিল পাছে লোকে আবার কিছু বলে । অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া অবশেষে খুড়িম স্থির করিলেন মালতীকে সঙ্গে লইয়াই সকলের সহিত কিন্তু সকলের পশ্চাতে থাকিয়া বিপিনের অভ্যর্থনায় যোগ দিবেন এবং বিপিন বাড়ীতে প্রবেশ করিলে গোলমালের মধ্যে মালতীকে লইয়া তিনি সরিয়া আসিবেন। খুড়িমা মালতীকে বলিলেন—ওলো গুনচিল, চ নীচে ঘাট, বিপিন আগচে আৰ
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/১৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।