পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮ শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা বঙ্গে অক্টাল বাৰ্দ্ধক্য bow) পরিবর্তন অর্থব্যয় সাপেক্ষ। যাহার অর্থ থাকিলে বাড়ীর কর্তা—অর্থাৎ যিনি মস্তিষ্ক কম আছে তিনি ধার করুন। শাস্ত্রে লেখা আছে “খণং কৃত্ব্য ঘৃতং পিবেৎ” বিংশ শতাব্দীতে আর বিশুদ্ধ ঘৃত মিলে না, তাই কলিকালে এখন "ঋণং কৃত্বা বায়ুং পিবেৎ এই মন্ত্র বলিবে। এইরূপে মানসিক বল সংগ্ৰহ করিতে হইবে। আগে বল সংগৃহীত না হইলে খরচ করিবে কি ? আমার চতুর্থ ও শেষ মুষ্টিযোগ সকল মুষ্টিযোগ অপেক্ষ উপাদেয়—প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর আহারের ব্যবস্থা। মনে করিবেন না আমি এখানে হাইজিনের তর্ক উপস্থিত করিতেছি। সকলেই বুঝিতে পারি এক দেশের বা জাতির পক্ষে যে খাদ্য পুষ্টিকর অপর দেশের বা জাতির পক্ষে তাহী নহে । মন্ত মাংস বিলাতের শীতবায়ুর উপযুক্ত পুষ্টিকর খাদ্য হইতে পারে, বাঙ্গালার জলহাওয়ায় উহা উপযোগী নহে। বাঙ্গালীর পুষ্টিকর খাদ্য ডাল, মাছ, ঘি, দুধ । কিন্তু কথা হইতেছে বিশুদ্ধ ঘি, দুধ পাই কোথা ? मlछ्s ऊ ७ग्नि झुठ्छ छिनिन् झ्हेब्र দাড়াইতেছে। পুষ্টকর আহারের যদি এইরূপ অপ্রাপ্তি ঘটিতে থাকে বাঙ্গালীর জাতীয় জীবনীশক্তিরও হ্রাস হইতে থাকিবে তাহাতে বিচিত্র কি ? মেচনিকফ সাহেব বলেন ঘোল খাও-বুড়া হইবে না। কথাটা ঠিক, পল্লীগ্রামের লোকেরা মেলেরিয়ার प्रंभिशं७ श्रु, महे, cषांश थाहेब ठानक দিন বাচিত, এখন ত সেই পল্লীগ্রামেই *सोब इब cनब नरब७ निर्जग श्र মিলে না। বাটতে চারপাঁচটি শিশু চালনা করিয়া সংসার চালাইতেছেন-দুধ, ঘির মুখও দেখিতে পান না । মাছের ঝোলের বাটীর ভিতর একটুকরা মাছ আছে কি না অনেক সময় দূরবীক্ষণ যন্ত্র ন হইলে দেখা অসম্ভব। বাস্তবিক . এই মাছ ও দুধের অভাব একটা জাতীয় সমস্যায় পরিণত হইয়াছে । ইহার একমাত্র প্রতিকার আছে—দ্বিতীয় প্রতিকার নাই । শিক্ষিত ভদ্রলোকের ছেলেরা যদি মাছের চাষ ও ব্যবসা করেন আর ডায়েরী ফারম খোলেন তাহা হইলেই দেশে দুধ, খির অভাব ঘুচিবে, মাছ মিলিবে । যে দেশের লোকেরা গাভীকে ভগবতী বলিয়া পূজা করে সেই দেশে বিলাতী ডিনের মিল্ক থাইল্প শতকরা পঞ্চাশ বা ততোধিক শিশু মানুষ হইতেছে ইহা অপেক্ষা লজ্জার কথা আর কি হইতে পারে ? শিশুকে বাচাইতে হইবে, যুবকের মস্তিষ্ক সবল এবং বৃদ্ধের জীবনী শক্তি অটুট রাখিতে হইবে-এ হেন সমস্যার সমাধান কল্পে যেন আমরা সকলেই চিন্তা করি। এটা কাহাকেও বুঝাইতে হয় না— বয়লারে জল না থাকিলে কল চলিবে না, সেইরূপ প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর আহারের সাহায্য না পাইলে মস্তিষ্কই বা ক্রিয়াশীল থাকে কিরূপে ? আমার বক্তব্য শেষ হইয়াছে। আমাদের দেশ অস্বাস্থ্যকর বলিয়া হাহুতাশ করিয়া কোনও লাভ নাই ; জীবন ংগ্রামে আমাদিগকে বাচিতে হইবে, জয়ী হইতে হইবে। দেশের চিন্তাশীল মস্তিষ্কোপজীবী মামুৰ গুলিকে বাচাইতে হইবে, কারণ