৩৮শ বর্ষ, নবম সংখ্যা দুই চারিটী বঁশের ঝাপি ও ইহাদের ব্যবহারোপযোগী শন বা পাটের মোটা বস্ত্র বুনিবার দুই একখানি তাত ব্যতীত বিশেষ কিছুই দেখা যায় না ; তবে প্রতি ঘরেই তীরধমুক ও দা স্বপ্রচুর। শস্তোৎপাদনের দিকে ইহাদের তেমন স্পৃহা নাট, শীকার করিতেই ইহার খুব মজবুত। বিশেষত কঙ্করময় প্রদেশে শস্ত।দি আশাকুরূপ উৎপন্ন হয় না বলিয়া লিমুগণ— ভালুক, চিতাবাঘ হরিণ প্রভৃতি শীকারে যে পরিমাণ যত্ন ও পরিশ্রম করিয়া থাকে, শস্তোৎপাদনের নিমিত্ত তাহার শতাংশের একাংশও করে না। কবে কাহার ভাই, বাবা, পিতামহ --বিশহত লম্বা বাঘ কিম্ব পাহাড়ের মত প্রকাগু ভালুক মারিয়াছিল সেই সকল আজগুবি গল্প করিয়া অগ্নিকুণ্ডের চারিদিকট ইহার বেশ সরগরম করিয়া তুলে, এবং পরদিন কি প্রকারে কোথায় শীকারে যাইবে তাহাও এই সান্ধ্য বৈঠকে ঠিক হইয়৷ যায়। শীকারের অস্ত্রশস্ত্রাদির মধ্যে তীরধনুক, দা এবং দুইটা হাতল বিশিষ্ট তরবারিই ইহাদের প্রধান সম্বল। বালকগণের দিগম্বর বেশ ঘুচিতে না ঘুচিতেই তাছার শীকারে বেশ পাক হইয় উঠে। পোষাক পরিচ্ছদ। পোষাক পরিচ্ছদ সম্বন্ধে ইহার তেমন উদাসিন নহে। পুরুষগণ লম্ব কোট, খাট পাজাম, চওড়া টুপি ও একরকম বিত্র জুতা মোজা পরে ; আবার গহনারও আদর পুরুষ গণের নিকটে নিতাস্ত কম নহে ! অন্তত পক্ষে গদি কড়ি বা ঘাসের এক এক গাছ মালা বা ণাণা প্রত্যেক পুরুষেরই চাই । লিম রমগীগণ লিসু ছোট কোট, সাড়ী, এবং মাথায় একখানি ছোট ওড়না পরিধান করে, তবে পুরুষগণের অপেক্ষ রমণীদিগের পোষাক অনেকটা রঙবেরঙ্গের । সাড়ী ও ওড়না নীল, ধুসর হলদে, প্রভৃতি নানা রঙ্গে রঞ্জিত থাকে এবং রৌপ্যের প্রকাও কর্ণ ভরণে ইহাদের কান দুটা সৰ্ব্বদাই ভারাক্র্যস্ত। স্ফটিক ও কড়ির মালা রমণীগণ অতি অাদরের সহিত পরে। এইরূপ অপূৰ্ব্ব বেশে সজ্জিত হয়৷ একখানি রৌপ্যের অৰ্দ্ধ চন্দ্রাকৃতি চটাল পাত গলার ঠিক নিম্নে কোর্তার উপর পরিতে পারিলেই ইহাদের বেশভূষা পরাকাষ্ঠী @il९४ श्ध्न । লিম জাতির উৎপত্তির বিবরণ বড়ই কৌতুহলপ্রদ। ইহার বলে যে :– সৰ্ব্বপ্রথম ভগবান যখন তাহার রাজ্যে মামুষ স্বষ্টি করিলেন—তখন মানুষ গুলি ভারী উচ্ছৃঙ্খল ছিল। তাহদের কার্য্য কলাপ দেখিয়া ভগবান তাহদের উপর অত্যন্ত চটিয়া গেলেন, কিন্তু চটিলে আর কি হইবে--তিনিই ত স্বষ্টি করিয়াছেন । তাই অনেক খোজ করিয়া অবশেষে পরমেশ্বর একজন লোককে বাছিয়া লইলেন ; —লোকটর ব্যবসা নাকি ছিল—“কছু” অর্থাৎ "লাউ” ফলান এবং বাজারে সেই কদু বিক্রী করা । ভগবান তাহাকে ডাকিয়া কয়েকট কছুর বীজ দিয়া বলিলেন—“ধর, এই নাও—এই বীজগুলি লইয়া বেশ ভাল জমীতে পুঠিয়া দাও, যতদিন ফল ন৷ হয় ততদিন খুব ভাল করিয়া গাছ গুলিকে রক্ষা করিও কারণ পরে আর তোমার অদৃষ্টে কছু ফলিবে না । tr२७
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।