bras মারিয়াছেন—সুতরাং আপনি দেবতা, কিন্তু আপনার মুখখনি মলিন কেন, মনে এত দুঃখ কেন ?” ছোট ভাইট বলিল—“আমি পাতালে আসিয়াছি, ইহা আমার দেশ নহে, আমি মর্ত্যে থাকি ৷” কাঠবিড়ালগুলি বলিল “আচ্ছা ! আমরা আমাদের রাজাকে ডাকিয়া আনি, তিনি নিশ্চয় আপনাকে উপরে রাখিয়৷ আসিতে পারিলেন । আমরা সকলেই বেশ উড়িতে পারি দেখিতেছেন—সুতরাং আপনাকে উপরে রাখিয়া আসিতে আমাদের বিশেষ কষ্ট হইবে না। কিছুক্ষণ পরেক্ট কাঠবিড়ালদের রাজা আসিল । রাজাটর নয়ট লেজ, দেখিতে ভয়ানক শক্তিশালী । রাজা বলিলেন—“ই আমি তোমাকে উপরে রাখিয়া আসিতে পারি বটে, কিন্তু আমাকে. দেখিয়া ঠাট্ট করিতে পারিবে না, করিলে তোমার অমঙ্গল হইবে।” বিড়াল রাজার কথা শুনিয়া ছোট ভাইট বলিলেন--"তাওকি হয়! আপনাকে কি আমি ঠাট্টা করিতে পারি : আপনি হলেন পাতালের কর্তা ! আমি প্রতিজ্ঞ করিতেছি যে কিছুতেই হাসিব না।” ভারতী cशोष, १०२४ তখন যাত্রার আয়োজন হইল। বিড়ালরাজার পিঠে বসিয়া ছোট ভাইট সেই নয়টি লেজের মধ্যে একটকে খুব চাপিয়া ধরিয়া বসিলেন । বিড়ালরাজ বাতাসের মত ছুটু দিলেন । খানিক দূরে যাইয়া যেই সে মানবপুত্র একটু হাসিয়াছে, আর আমনি খুটু করিয়া তাহার হস্তধৃত লেজটা খসিয়া গেল-আর একটী লেজ ধরিয়া তখন সে রক্ষা পাইয়া ভাবিল—আর হাসিবে ন,–কিন্তু আবার কিছুদূর যাইতেই হাসি বাহির হইল এবং কাটবিড়ালের আর একটা লেজও এইরূপে খসিয়া পড়িল । এই প্রকারে বিড়াল রাজার আটট লেজ ক্রমে ক্রমে খসিয়া গেল, বাকী রছিল মাত্র একটী। সেইটী গেলেই আর তাহার মর্ত্যে যাওয়া হইবে না, সুতরাং ছোট ভাইট প্রাণপণে সেই একমাত্র লেজটকে আঁকড়াইয়া ধরিয়া মুথ গুজিয়া বসিয়া রহিল, ভয়ে তাহার রক্ত জল হইয়া গেল। কিন্তু এবার নির্বাধে সে মর্ত্যলোকে আসিয়৷ পৌছিল ! মর্ত্যে আসিয়া ছোট ভাইট দেখিল যে তাহার দাদার মৃত্যু হইয়াছে, তখন আপন পত্নীকে লইয়া মুখে স্বচ্ছন্দে বাস করিতে লাগিল। লিমুগণ ইহারই বংশধর । - ঐদেবেন্দ্রনাথ মহিন্ত ।
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।