৩৮শ বর্ষ, নবম সংখ্যা দেনা-পাওনায় নয়। যুবক নীল্লির সৌভাগ্যে মুখী হইলাম ; এইমাত্র । আমাদের স্বেীপার্জিত বিপুল সম্পত্তির সম্পূর্ণ স্বত্ত্ব নীল্লিকে উৎসর্গ করিয়া, চির-অপরাজিত৷ চেংট, তার প্রথম পরাজয়ের এইরূপ প্রতিশোধ তুলিয়া লইল।” জমিদারণী আপনার ইহ-জীবনের সকল বাক্যের এই শেষ পূর্ণচ্ছেদ দান করিয়া घूमाइब्रां कूबाहेब्र cश्रण । মাতৃহারা বালকের মতো – সদ্য-মাতৃহারা অনাথের মতো নীল্লি পাগলিনী ছুটিয়া গিয়া দিদির বুকের উপর পড়িয়া আৰ্ত্তনাদ করিয়া কাদিয়া উঠিল । একটা কৰ্ম্মময় জীবন, সে যে নিজে বাচিয়াও রক্ষা করিতে পারিল না,—আর তাহকে সে যে মাতৃহৃদয় ঢালিয়া দিয়া ভালবাসিত, ইহাই সর্পাঘাতের মতো তাহার বক্ষকে ক্ষত-বিক্ষত করিতে লাগিল । তাহার উপর, যে কয়টি লছম সে বঁাচিয়া ছিল, মীল্লিকে বাহুবেষ্টনে বুকে ধরিয়া যেন কত কথা কহিয়া গেল। নীল্লি যন্ত্রণা-পেষিত ক্রনীনে হৃদয়-জাল নিবারণের চেষ্ট পাইল। কিন্তু সাত্ত্বনা কি আছে ? নাই । তাছার সাত্বন নাই রে ! অশ্রুপাত করিতে করিতে মিৰ্ম্ম স্লীল্লিকে তুলিয়া কহিল, “আমাকে তুমি এই রাজদরবারে হত্যাপরাধে অভিযুক্ত কaেl,— ពិត្ត ។ রাজা । স্বচনায় এই রক্তপাত ! মন্ত্রী, সাক্ষী থাকে। मजौ । छैषा ७ नका ब्रख्मिहे झ्छ ८ङl, নি তবু চলিয়া যায়। $मन-भधू tyలిసే মন্ত্রী মংথোর দিকে চাহিয়া কহিল, “তার চন্দন। তিনি ঘর্ষণ করিতেছেন, সুরভি মধুতে আমোদিত হইবার জন্ত —আমরা যেন তাহাতে ব্যর্থ বাধা প্রদান না করি।” সকল প্রজাবৃন্দ যখন জানিল, ভোটান নৃপতি পিতৃব্যকে রাজ্যদান করিয়া জন্মশোধ চলিয়া যাইতেছেন, উচ্চৈঃস্বরে তাহারা প্রতিবাদ করিল ;~~বৃথা । অশ্রুপাতে দৃঢ়তা এতটুকুও বিচলিত হইল না। রাজা বেদনা-ক্লিষ্ট হৃদয়ে ডাকিলেন, “সন্ন্যাসী—প্রিয় বৎস, বংশমণি-স্নেহের দুলাল!” বাজা আর বলিতে পারিলেন না। ংথো, মিষ্মা, সেনাপতি, সৈন্তশ্রেণী, প্রজা সকলে স্তব্ধ হইয়া রহিল। নীল্লি সেখানে মিস্মার পাশে বসিয়া মুখ গুজিয়া কাদিতেছে। পাহাড় চাপ৷ দিয়াও বিদীর্ণ হৃদয়েব আবেগোচ্ছলিত রক্তোৎসকে কিছুতেই সে দমন করিতে পারিতেছিল না। সারা কালের জন্য এ ক্ষতি কি তাহার সামান্ত ? পরমায়ুর প্রতি পর্দায়, ভোগের প্রতি পরমাণুতে, মিলনের স্পন্ধিত কিরণ রঞ্জিত সেতুর উপর যখন চেংটির স্নেহ-স্নিগ্ধ-স্মৃতি-মাথা একখানি কালে ছায় আসিয়া তাহার দিকে চাহিয়া থাকিবেই, —সেই দুঃসহ পরমায়ুর অতৃপ্তি-উদ্দীপক ভোগে মিলনের শান্তিটুকু ছিপি-খোল শিশির কপূরের মতো উবিয়া যাইবে ; ভালোবাসার পরিণামে, চিরমেহের প্রতিদানে কী তীব্র অভিশাপ দিয়া গেল, তা’র উন্মাদিনী দিদি ! ছোট্ট মেঘখানির মতো লামা চলিল
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।