পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゾ帥= পাহাড় হইতে পাহাড়ান্তবে,—বুঝি, তার করুণ-বর্ষণের জন্তই,—রস-পানের নিমিত্তই। তজ্ঞাহীন মণিপদম মুক নিয়তির মতে ঘুরিতেছেই , জীর্ণ ছিন্ন বস্ত্রীগ্রগুলি উড়িতেছেই। নিজে খুজিয়া পথ বাহির করিয়াছে, আননা কীৰ্ত্তনে দিগন্ত মুখরিত করিয়া সেই পথে সে চলিল । ७ब्रऊँौ পৌষ, ১৩২১ এক পাহাড় লোক পলক-হীন দৃষ্টিতে দেখিতে লাগিল,—ঐসঞ্চালনে...ঐ স্পননের প্রতি ধমনীতে গাঢ় সাত্বনা, বিমল প্রেমের পরিণতি, মিলন-মঙ্গলের উদ্ভাসিত দীপালোক পরিস্ফুট—গতির আবরণে স্থিতিকে সে রক্ষা করে, ভূতকাল হইতে ভাবীকে লীলায়িত করিয়া তুলে । শ্ৰীউপেন্দ্রনাথ মৈত্ৰেয় । আর্য্যভট্ট অঙ্কশাস্ত্রে প্রাচীন ভারত যে অনেক পরিমাণে জগতের শিক্ষণগুরু ছিল—এ কথা এখন অবিসম্বাণীরূপে গৃহীত হইয়াছে। Wolfo ettro ( Decimal system ) আবিষ্কার সর্বসম্মতি অনুসারে ভারিতে হইয়াছিল। সংখ্যালিখনের ' ( system of numeration ) পদ্ধতিও ভারতীয় আবিষ্কার। এই ১, ২, ৩, প্রভৃতি সংখ্যাগুলি আরবীয়গণ গ্রহণ করিলে পর তাহী ক্রমশঃ ইউরোপে গৃহীত হয়। প্রাচীন গ্ৰীসদেশের সহিত প্রাচীন ভারত জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু বলিয়া গৌরব করিতে পারে । জাৰ্য্যভট্ট, ব্ৰহ্মগুপ্ত, বরাহমিহির, ভাস্করাচার্য্যের অঙ্কশাস্ত্র ও জ্যোতিষ সম্বন্ধে গবেষণা শুধু ভারতের কেন, জগতের গৌরবের সামগ্ৰী। এই কয়জন মহাপুরুষের অগ্রণী আর্য্যভট্টের বিষয় এই প্রবন্ধে সংক্ষেপে আলোচনা করিবার ইচ্ছা আছে। আর্যভট্ট বা আধ্যভটের জীবন বৃত্তান্ত সম্বন্ধে খুব কমই জানা গিয়াছে। তাছার গ্রন্থপাঠে জানা যায় যে তিনি ৩৫৭৭ কলাব্দে বা ৩৯৮ শকে (৪৭৬ খৃঃ অঃ ) জন্মগ্রহণ করেন এবং ২৩ বৎসর বয়ঃক্রম কালে র্তাহার সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ “আৰ্য্যভটিম" বা “আৰ্য্যভট্টতন্ত্ৰ” রচনা করেন। তিনি গ্ৰীকদিগের নিকট অন্দুবেরিয়ুস বা অন্ধু বেরিয়স এবং আরবীয়গণের নিকট অর্জভর নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন। কুসুমপুর বা পাটলীপুত্র (আধুনিক পাটনা) তাহার বাসস্থান ছিল এবং এই স্থানেই তিনি “আৰ্য্যভটিয়” গ্রন্থ রচনা করেন । “আৰ্য্যভটিয়” গ্রন্থ। "আর্য্যভটিয়” গ্রন্থের পূৰ্ব্বেকার জ্যোতিষ শাস্ত্র বড়ই অনিশ্চিত, সেইজন্ত আৰ্য্যভট্টকে এক হিসাবে আধুনিক ভারতীয় জ্যোতিযের প্রতিষ্ঠাতা বল যাইতে পারে। তাছার পূৰ্ব্বে ব্রহ্মসিদ্ধান্ত, স্বৰ্য্যসিদ্ধান্ত, ব্যাসসিদ্ধান্ত প্রভৃতি • অনেকগুলি সিদ্ধান্ত ছিল বলিয়া পরবর্তী জ্যোতিষ গ্রন্থ সমূহে দেখা যায়, কিন্তু