পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮৯ বর্ষ, দৰঙ্গ সংখ্যা नवकिटुभंग्नि cए। cह कब्रिब्र शनिग्न! বলিল—অদ্ভুত রীতি ত বুঝতে পারি আর না পারি ফার্স চাই ! এ রকম রোগ শুধু তোমাদের নয়, আমাদেরও আছে—আমরাও সংস্কৃত শ্লোক রচনা করে নেমস্তন্ন করি .........আচ্ছা আমরা সন্ধ্যে বেলা যাব । নবান্দি উঠিতে উঠিতে বলিল—বাব, শুনলাম, তুমি সব কি পাঠশালী করছ। যদি আসমতকে একটা কাজ দাও••••••••• নবকিশোর বলিল—ত বেশ ত । তোমাদের শীতলপুরে, নবিনগরে পাঠশালা হবে ; সেখানে বাড়ীতে থেকেই অসমৎ কাজ করতে পারবে। আসমত, তুমি কতদূর পড়েছিলে......ফষ্ট আর্টস পর্য্যন্ত পড়েছিলে Fil —আজ্ঞে । এগজামিনের আগে অমুখ হল বলে এগজামিন দেওয়া হয়নি। —তুমি সংস্কৃত না ফাপা পড়েছিলে! --সংস্কৃত। বাড়ীতে ফার্সাও অল্প পড়েছি। —তা বেশ। তুমি যদি কাজ নিতে রাজি থাক, তা হলে মাস তিনেক আমার কাছে এসে কি করে পাঠশালা চালাতে হবে সেটা শিখে নিতে হবে। নবান্দি বলিল – সাদি হয়ে গেলেই ওকে পাঠিয়ে দেবো বাবা। তুমি কোথাও ওর খfকবীর একটা বন্দোবস্ত করে দিয়ে । ও নিজেই রোধে খেতে পারে । নবকিশোর বলিল—কেন, আমাদের এই বাড়ীতেই থাকবে। আমাদের রান্না কি তোমরা খাও না ? -ভাত খাওয়াটা রেওয়াজ নেই...... cषॆ८ङब्र *ण bret নবকিশোর হো হো করিয়া হাসিয়া নিজের ছাত্রদের দিকে ফিরিয়া বলিল— শুনছ হে অভিরাম, তোমরা যেমন ম্লেচ্ছ বলে ঘৃণা করে ওঁদের ছোয়া খাও না, ওঁরাও তেমনি ঘৃণা করে কাফেরের ছোয়া খান না । তোমরাই যে নাক সিটিকে উচুতে বসে সকলকে দূৰ করে রেখেছ তা মনে কোরো না ; তোমাদেরও ঘৃণা করে’ দূরে ঠেলে রেখেছে দেশের বিদেশের সকলেই ......আচ্ছ, আসমত একবেলা ভাত রোধে খাবে ; একবেলা আমরা রুটি লুচি করে খাওয়াব । তাহলে হবে ত। কিন্তু এখানে মাংস টাংস খাওয়ার সুবিধা হবে না । আসমত বলিল—আমি কখনো মাংস খাইনে । নবকিশোর বলিল - তবে ত কোনো ল্যাঠাই নেই। আমি সব ঠিক করে দেবো । নবান্দি বলিল—বহুত মেহেরবানি বাবা, তোমার বহুত মেহেরবানি। এখন তবে আসি বাবা । — না, একটু বস কাকা, একটু জল খেয়ে যাও !—বলিয়া নবকিশোর বাড়ীর মধ্যে গিয়া মাকে বলিল—ম, নবান্দি মণ্ডল আর তার ছেলে আসমত এসেছে, কিছু জলখাবার দাও ত । নবকিশোরের মা দুখানি পাতার টুকরায় জলখাবার সাজাইতে লাগিলেন । নবকিশোর হাসিয়া বলিল—ম, গোবর মুখুয্যে এলে কিসে করে জলখাবার দিতে ? গোবৰ্দ্ধন মুখুয্যে নিবারণের পুত্র ; প্রসিদ্ধ দুশ্চরিত্র ও দুষ্কর্মী।