৩৮শ বর্ধ, নবম সংখ্যা করিয়া সেই স্থানের ঘাস-সমেত কতটা মাটি কামড়াইয়ু ধরিল । “তার পর বঁাশে বাধ ও ঝুলাইয়া সেই মৃত বাঘটাকে আমাদের লোকজন হাল্লা করিয়া আমাদের কাছারি-গৃহে লইয়া আসিল । তখনও তার মুখে সেই ঘাস-সমেত-মাটি ছিল।” জ্যোতিবাবু কাছারি বাড়ীর হাতায় পৌঁছিয়া আর এক কাণ্ড দেখিলেন। তাহার লোকের বন হইতে একটা প্রকাও অজাগর সপ ধরিয়া আনিয়াছে। তাহার মাথায় লাঠী মারায় মাথাটা একটু থেংলিয়া গিয়াছিল । সে একটা গোট শেয়াল গিলিয়াছিল। লাঠীর আঘাতে অজগর সেই শেয়ালটা উগ্ৰবাইয়া ফেলিয়াছে। সেই অৰ্দ্ধপচিত শেয়ালের দুর্গন্ধে সেখানে তিষ্ঠনে ভার। এবার জ্যোতিবাবু কলিকাতায় ফিরিবার সময় সেই চিতাবাঘের স-মুণ্ড চৰ্ম্ম ও পিঞ্জরাবদ্ধ সেই জীবন্ত অজাগর—এই দুই ভীষণ হিংস্ৰ জীবের হতাবশেষ ও জীবন্ত নমুনা—শিকারের বিজয়নিদর্শনস্বরূপ সঙ্গে লইয়া গেলেন। যোড়ার্সাকে। বাটতে কিছুদিন রাখিয়া অবশেষে অজাগরকে কলিকাতার পশু-উদ্যানে উপহারস্বরূপ পাঠাইয়া দিলেন। পশু-উষ্ঠানের কর্তৃপক্ষগণ একটা ক্ষুদ্র মন্দিরাকার লোহ তারের পিঞ্জরে অজাগরকে সযত্নে রাখিয়৷ সেই মন্দিরের গায়ে উপহার-দাতার নাম লিখিয়া দিলেন। এই অজাগর অনেকদিন উদ্যানে ছিল। মধ্যে মধ্যে জ্যোতিবাবু তাহার অজাগৰকে দেখিতে যাইতেন। তার পর, একবার গিয়া দেখেন *गरे रमाब निबबणै७ नाह-cनहे अछाश्रब७ *१ । ७नि:णन, ८ण षघ्नाश्रश्व बलिङ्ग। ८छाडिब्रिजनां८५ब्र छौदनषूठि وخمهما গিয়াছে। আর একবার জ্যোতিবাবু হাতীর उँ%ज्ञ झस्निग्न रुष थिकोब्र रुब्रिाड क्लिोছিলেন । এই তার প্রথম হাতীর উপরে চড়িয়া ব্যাঘ্র-শিকারে যাত্র । একটা ঘন নিবিষ্ট দুর্ভেন্ত বঁাশ-বনের ভিতর বাঘট| আছে শুনিলেন। হাতী বড় বড় বঁাশঝাড় মড়মড়-শবে পদদলিত করিয়া সেই জুর্ভেগু বঁাশ-বনের মধ্য দিয়া একটা পথ করিয়া চলিতে লাগিল। যাইতে যাইতে হাতী ফোস করিয়া নিশ্বাস ছাড়িয়া একটু পিছু হটল। আর অমনি একটা বাঘ লম্ফ প্রদান পূৰ্ব্বক বঁাশ বন অতিক্রম করিয়া মাঠের দিকে দৌড়িয়। পলায়ন করিল। জ্যোতিবাবু হতাশ হইয়া ফিরিয়া গেলেন । এই প্রসঙ্গে তিনি আর একটা ঘটনার কথা বলিলেন । র্তাহাদের জমিদারীর হাতিটি শিকারী হাতী ছিল না । হাতী চড়িয়া শিকার করিতে হষ্টলে, অন্ত জমিদারের নিকট হইতে শিকারী হাতী ধার করিতে হইত। তিনি র্তাহীদের হাতিটকে শিক্ষা দিয়া শিকারী করিয়া তুলিবেন সঙ্কল্প করিলেন। প্রথমে তার পৃষ্ঠদেশ হইতে বন্দুকের আওয়াজ করিয়া তাহকে বন্দুকের আওয়াজে অভ্যস্ত করিতে হইবে। এই মনে করিয়া ভিলি একদিন হস্তিপৃষ্ঠে আরোহণ করিয়া বন্দুকর আওয়াজ করিলেন । হস্তীর শিকার শিক্ষায় এই প্রথম পাঠ। কিন্তু মূর্থ হস্তী তাহার নিজ হিত বুঝিল না—শিক্ষার মাহাত্ম্য বুঝিল নাসে বিদ্রোহী হইয়া উঠিল। এমন গা-দোলা দিতে লাগিল যে, জ্যোতিবাবুব সমুদ্র পীড়ার মত পীড়া উপস্থিত হইল। কপাল দিয়া ঘাম ছুটিতে লাগিল। জ্যোতিবাবু বলিলেন –
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।