পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵեՀ অবশেষে সম্ভাবিত দিন আসিয়া উপস্থিত হইল। সমস্ত গ্রাম একখানি প্রকাও উৎসব-ভবনের মতই সজ্জিত মুন্দর রূপে ভরিয়া উঠিল । যেন কোন মুন্দরী নায়িক অপরূপ বেশে সাজিয়া নায়কের প্রতীক্ষা করিতেছে! পথের মোড়ে মোড়ে বিচিত্র তোরণ। তোরণের সম্মুখে অভিনব পট-মণ্ডপে নানা সুরে বাদ্য বাজিতেছে । পথের দুইধারে রঙি থামে পাতার ঝালর, ফুলের ঝাড়, নিশানের ঘট । সালু-মোড় রাস্তা। দেশের দারিদ্র্য যেন নবারের ঐশ্বৰ্য্যে ঢাকা পড়িয়াছে ! এ যেন স্বর্গের এক কোণ ছিড়িয়া আনিয়া মলিন মর্ত্যে নিপুণভাবে কে আঁটিয়া দিয়াছে ! সে কোণটুকু মর্ত্যের গারে বেমালুম বসিয়াছে—কোথাও এতটুকু জোড় দেখা যায় না । অপরাহ তিনটার সময় নবাবের মৰ্ম্মর প্রাসাদ হইতে আট ঘোড়ার প্রকাণ্ড গাড়ী ষ্টেশনাভিমুখে চলিল, পশ্চাতে অসংখ্য গাড়ীর শ্রেণী—সবগুলিই সুন্দর, ঘোড়াগুলা ঐশ্বৰ্য্যের মূৰ্ত্তিমান দম্ভের মতই ছুটিয়া চলিয়াছে ! চারিদিকে বাস্ত বাজিল, চারিদিকে জয়োল্লাস উঠিল, “জয় বের छम्न !” গাড়ী আসিয়া ষ্টেশনের ফটকে ঢুকিল। ষ্টেশনটি ছোট—তবু নবাবের ঐশ্বৰ্য্য তাহাকে রমণীয় বেশে অপুৰ্ব্ব ছাদে সাজাইয়া তুলিয়াছিল। প্ল্যাটফৰ্ম্মের কঠিন দেহু কার্পেটে মণ্ডিত ; দেওয়ালে ফুলের মালা চক্রাকারে ঝুলাইয়া দেওয়া হইয়াছে— ৰিচিত্র বর্ণের পতাকায় চারিধার ভূষিত। নবাব প্ল্যাটফৰ্ম্মে আসিয়া একটা নিশ্বাস डांब्रडी পৌষ, ১৩২১ ফেলিলেন। উত্তেজনায় তাহার সারা অঙ্গ কঁপিয়া উঠিতেছিল। মাথার মধ্যে দপ, দপ, করিতেছিল। ষ্টেশনের ঘরে ইলেকটক ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল । উৎকৃষ্ট বেশে সজ্জিত ষ্টেশন-মাষ্টার আসিয়া বলিলেন, “সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে । আর আট মিনিট পরে ট্রেন এসে পৌঁছুবে ।” জোয়ারের প্রথম টানে নদীর জলে যেমন একটা স্ফীতির সঞ্চার হয়, উপস্থিত সন্ত্রান্ত জন-সজ্যে তেমনই একটা চাঞ্চল্য ফুটিল । সকলেই বুকিয়৷ লাইনের দক্ষিণে চাহিয়া দেখিল । দীর্ঘ রেলওয়ে লাইন গিয়া দূরে ঐ একটা পাহাড়ের গায়ে মিশিয়াছে, সেখানে বঁাক । দেখিলে মনে হয়, পাহাড়টা যেন রেলওয়ে লাইনকে হুঁ করিয়া গিলিয়া ফেলিয়াছে। দলের একজন কহিয়া উঠিল, “আর ছ মিনিট-” আবার সকলে সেই পাহাড়ের দিকে চাহিয়া দেখিল—ও কি ! পাহাড়ের গা ঘেষিয়া গাঢ় কালে কালির মত কি ও আকাশটাকে ছাইয়া ফেলিয়াছে ! কালিট ক্রমে আকাশের সমস্ত তরল নীল রঙটুকুকে ও ঢাকিয়া দিতেছে ! ও যে মেঘ ! দৈত্যের মত বেগে সে ছুটিয়া চলিয়াছে—এখনই যেন সারা বিশ্বে কি একটা প্রলয় হানিবে । নবাবের বুকট हt९ कग्निम्न छेटैिण ! अशैौज्ञ अॉर्थ९ পুনঃপুনঃ তিনি ঐ পাহাড়ের কোলে লাইন গিয়া যেখানে মিশিয়াছে—সেই দিকে চাহিয়া দেখিতে লাগিলেন । এমন সময় দূরে একটা বংশীধ্বনি গুণ গেল। সকলে সোৎসুক্যে সেই দিকে ফিরিয়া চাহিল—ঐ যে দূরে কৃষ্ণ বিদ