পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७४१:बं, श्ष ग१५r। লোকে তাক লাগাচ্ছে যে এখানকার কারবারে কিছু টাকা ঢাললেই একেবারে রাতারাতি লাখোপতি হবে, সে সব একেবারে ঝুটো কথা ! কাজ-কারবারের ষে লোভ দেখাচ্ছে, সে একেবারে ভূয়ে । খালি ফাক আওয়াজ । কাজ-কারবার বলতে গেলে এখানে তার পাঠ মোটেই নেই। তা বলে খনি কি নেই ? আছে—কিন্তু তার ভিতর আর-কিছু নেই, —শুধু জঙ্গল—সাপ-খোপ বিস্তর মেলে। জমি যা, তাতে চাষ চলে না—চাষের যুগ্য করতে হলে সে জমির উপর আগে লাখোঁ-লাখো টাকা ঢাললে তবে জমি তোয়ের হতে পারে—তার পর চাষ-আবাদ ! বন আছে—কিন্তু সেখান থেকে কাঠ, আনতে হলে এরিয়োপ্লেনে চড়ে গাছ কাটতে হবে, না হলে সে অজগর বনে ঢোকবারই সাধ্য নেই। ঝর্ণ কতকগুলো আছে বটে—কিন্তু সে জল মুখে দিলে সদ্য বিকার হয় ! নদীতে ষ্টীমার একখানি নেই। আর রেল ? রেলের কথা তুললে এ-দেশের লোক হঁ। করে মুখের দিকে চেয়ে থাকে। তারা ভাবে, বুঝি কোনরকম ঠাট্টা করছি। "রেল” মানে এদেশের লোক কি বোঝে, জানেন ?— "টিকটিকি পুলিশ !” এই হল দেশ, আর এই ত সে দেশে কারবারের হাল! : 3. আসল কথা, দেশে খানকতক পুরানে তক্ত আর পাঁচ-ছ’ খানা ভাঙ্গা কুঁড়ে ঘর আছে । আপনি ভাবছেন, তবে কিসের জষ্ঠ নবাব ঐ সব বীজে কাগজ দেখে এত টীকা কোথায়ুই-ব ঢালছেন । এই পাঁচ মাস ধরে লোকেও ত শেয়ার কিনছে—এ কেন । *प्कि: cव क्मिप्इ, ७ ७धु नवम्बन्न नांत्र o नयांच ఫిఖి দেখে—এ কোম্পানির ডিরেক্টার নবাৰ নিজে—তাই তার নামে লোকে আজ বিশ্বাস করে টাকা ঢালছে। জানে না, এ টাকা তার! জলে কি কোথায় ঢালছে । যাই হোক, নবাবের নাম নিয়ে শয়ুতানরা এই যে টাকা-রোজগারের জন্ত এক জুরির কল পেতেছে—খালি বাজে ধাপ্পায় সকলকে ঠকিয়ে বেড়াচ্ছে, এ আর আমি ੋਣ नििछुि না। ওখানে ফিরেই নবাবকে সব আমি, সাফ খুলে বলবো, এদের ভূয়ে চাল ধরিয়ে দেব । নবাবকে এই সব ফলীবাজ চোরের হাত থেকে রক্ষা করব । আজ আর বেশী কথা থাক। শীঘ্রই ত ফিরছি। আপনার মেয়েদের কাছে আমার কথা বলবেন, তারা যেন আমার এ দীর্ঘ অনুপস্থিতি ক্ষমার চক্ষে, দেখেন । আপনার টেবিলের এককোণেযে ঠাইটুকু পেয়েছি, ফিরে গিয়ে শীঘ্রই তাতে আবার দাবী বসাবে-এ কথাটুকুও র্তাদের মনে রাখতে বলবেন । আজি তবে আসি । ইতি পল স্তে গেরি * । নবাবের প্রাসাদে এ দিকে অতিথি সমাগমের বিপুল ধুম বাধিয়া গিয়াছিল। সকাল হইতে সন্ধ্যা পর্য্যন্ত অতিথির আর বিরাম নাই। নানা আকারের, নানা বেশের লোক, সাগ্রহ চিত্তে নবাবের প্রাসাদে । প্রবেশ করিতেছে, আবার পূর্ণ পকেটে হৃষ্ট মনে, ফিরিয়া যাইতেছে। নৈরাষ্ঠে কাতর একখানি মুখেরও দেখা মিলে না। সকলেই যেন এক কল্পতরুর সন্ধান পাইয়া সাগ্রহে ছুটিয়া আদিতেছে—আবার আগ্রহ মিটাইয়া বাসনা পূর্ণ করিয়া ফিরিয়া চলিয়ছে। নবাবের