७४* वर्ष, घनंग अ१९ji কৌতুহল হইল—তখনই তিনি পত্রখানি পাঠ করিলেন। পত্রের প্রতি ছত্রে গেরির তরুণ হৃদয়ের নিৰ্ম্মল সারল্য, তাহার সাধুতার অনাবিল উচ্ছসি স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার মতই যেন লুটাইয়া রহিয়াছে। গেরি ८कांन कथl छांकिब्र ब्रां८५ नाझे, गदসব কথা খুলিয়া লিখিয়াছে। নবাবের বিরুদ্ধে সারা নগরের এই বিপুল ষড়যন্ত্রনবাবের ঐশ্বর্ঘ্যের বিরুদ্ধে এই নিষ্ঠুর অভিযান, তাহার পুণ্য-নামের বিরুদ্ধে অপবাদ ७ लांश्नांज्ञ श्रृंज्ञcशृ°-जद कथी। cशृंग्नि খুলিয়া লিথিয়াছে—প্রমাণ অবধি বাকী রাখে নাই। রাক্ষসগুলার নাম পৰ্য্যন্ত সে ধরিয়া দিয়াছে। কোথা দিয়া কেমন করিয়া কোন পাষণ্ড আপনার কোন অভীষ্ট সাধনের মুযোগ খুজিতেছে, তাহাও গেরি নবাবের চক্ষে অঙ্গুলি দিয়া দেখাইতে ছাড়ে নাই । কলিকার কারবার একটা প্রকাও ধাপ্পা— খনি সার-হীন, দেশ জঙ্গলময়, লোকজন বৰ্ব্বর । নবাবকে কি করিয়া সকলে ফাদে ফেলিতেছে—সমস্ত বিষয়েরই গেরি পুঙ্খামুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়াছে। চিঠির শেষে গেরি লিথিয়াছে, “প্রমাণের সমস্ত কাগজ-পত্ৰ আমার ঘরের টেবিলের বা দিককার ডুয়ারে পাইবেন। সেগুলি এই চিঠির সঙ্গেই রাখিতে পারিতাম—কিন্তু রাখিলাম না, কারণ আপনার বাড়ীর একটা লোককেও আমি আর বিশ্বাস করি না—আপনার চাকর নিলকে অবধি না। আমার মনে হয়, আপনার বিরুদ্ধে সকলেই কি এক ষড়যন্ত্র করিতেছে। কাল ভোরেই আমি চলিয়া যাইব, श्नि कब्रिब्राहि । पुब्रांप्त्वब्र छवि श्रांगनां८क নবাব 総○載 দিয়া যাইব—তখন খুলিয়া সে সকল কাগজ পত্র দেখিবেন । কেন চলিয়া যাইতেছি, সে কথা জিজ্ঞাসা করিতে পারেন। আমার এখানে কোন অভাব ছিল না, কোন অমুযোগ নয় । তবু যে যাইতেছি জানিবেন, সে বড় মনের দুঃখে। আপনি আমার কে, তাহ বলিয়৷ বুঝাইবার নয়। তবু আমায় যাইতে হইতেছে । তাহার কারণ, আপনার কোন উপকারে লাগিতেছি না—আপনার খাইয়া, আপনার পরিয়া, দাড়াইয় আপনারই সৰ্ব্বনাশ দেখিব, সে শক্তি আমার নাই। আপনাকে যে এই সব রাক্ষসের হাত হইতে রক্ষা করিতে পারিতেছি না, এই দুঃখই কাটার মত বিধিতেছে। কিছু করিতে পারিতেছি না— এজন্ত আমার সমস্ত প্রাণ জলিয়া থাকৃ হইয়া যাইতেছে। হে আমার গুর, হে আমার বিধাতা, হে আমার সব, আপনাকে এ প্রাণের কৃতজ্ঞতা না জানাইয়াই তাই চলিয়া যাইতেছি, আমার সে অপরাধ ক্ষমা করিবেন। কিন্তু চারিদিকে ভীষণ চক্রান্ত, এই ভীষণ বিশ্বাসঘাতকতা দেখিয়া আমার ভয়ও হইতেছে—নিজের উপর ও ক্রমে বিশ্বাস হারাইতেছি। ভয় হয়, কোন দিন বা আমিও এই সব নিমকহারাম শয়তানের দলে মিশিয়া যাই! সেই ভয়ঙ্কর ছর্দিনের আশঙ্কায় আজ আমি বিদায় লইলাম। এ-সঙ্গে আর বেশী দিন থাকিলে, আমিও যে আপনার শত্রু হইয়া দাড়াইব না, তাহা কে বলিতে পারে ।” পত্রখানি ধীরে ধীরে নবাব পড়িয়া শেষ করিলেন । তাহার দুই চোখের
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৩১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।