৩৮শ বর্ষ, দশম সংখ্যা এবং যাহারা কোন এক উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছে, সেই প্রত্যেক উপনিবেশ তাহাদের মৰ্ম্মভাবটি রক্ষা করিতেছে।—হৌক তাহার “পুরিটান,” হৌক তাহারা নগরের “বুজোয়া” কিংবা কাঞ্চন-অম্বেষীর দল। महे প্রকার সমন্বয়ের প্রভাবেই এই জটিলতাপূর্ণ সাম্রাজ্য সংরক্ষিত হইতেছেও শ্ৰীবৃদ্ধি লাভ করিতে সমর্থ হইতেছে। কিন্তু ইংরাজের ওলন্দাজ- দিগের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে নাই। ইংরাজের দেশীয় লোকদিগকে সভ্য করিবার জন্ত প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছে, এবং ইংলণ্ডের উদার প্রতিষ্ঠানাদি দ্বারাই সভ্যতা বিস্তার করিতেছে। কলম্বস্ ভাস্কো-ডি গামা, লিজারে, ছুপ্লে ইহার যেরূপ কীৰ্ত্তিসমুজ্জল অপরিসীম সৌভাগ্যসম্পদ অর্জনের চেষ্টা করিয়াছিলেন, ইংলণ্ডের উপনিবেশ বিস্তারে সেরূপ সৌভাগ্যসম্পদ অর্জিত হইল না । রিশলিউর অথবা পিটর দি গ্রেটের কল্পিত দানপত্রে যে সকল ভাবী বিরাট সঙ্কল্প সমূহের বিবরণ দেখিতে পাওয়া যায়, ইংলণ্ডের উপনিবেশ বিস্তারে, সেরূপ কোন সঙ্কল্পের আভাস পাওয়া যায় না । এই উপনিবেশ বিস্তারের কাজ—“দিন খাটুনির” কাজ, প্রতি দিনের কাজ। দার্শনিক-দৃষ্টিতে বিচার করিলে, ইহার মধ্যে বহুল অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। কখন বা নৈরাপ্তের আবেশ, কখন বা উন্মত্ত ঔদ্ধত্য ; আজ বিশ্বমানব-প্রীতি, কাল পাশব নৃশংসতা ; কিন্তু এই আত্মচেতনাবিরহিত কাৰ্য্য প্রকৃতির কাৰ্য্যকলাপকে স্মরণ করাইয়া দেয়। এই অলঙ্গড়ির মধ্যেও বলের পরিচয়, সহজ আধুনিক ভারত ఉ8రి সংস্কারগত ধ্রুবত্বের পরিচয় পাওয়৷ १ोंध्र । अछाछ छांठिब्रl, अष्ट्रक बरगंब उitद, গৰ্ব্বের ভাবে, এমন কি, স্বকীয় রাষ্ট্রনৈতিক শক্তিবদ্ধনের অভিলাষে, স্বকীয় ভাষা ༦བྱ রীতিনীতির প্রত্নাব বিস্তারের অভিপ্রায়ে, উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছে। ইংরাজের পূর্বতন ফিনিসীয়দিগের দ্যায় উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছে ; কেননা, ইংলণ্ডের পক্ষে, অথবা প্রত্যেক দেশান্তর-যাত্রীর পক্ষে ইহা জীবন মহণের কথা ! দক্ষিণ আফ্রিকা ও এসিয়:র সমস্ত যুরোপীয় আবিষ্কৃত দেশ, পোটুগীদের দ্বার বিজিত হইয়াছিল। পরে, ওলন্দাজের পোটুগীদের নিকট হইতে ঐ সকল দেশ কাড়িয়া লয় ; তাহারা আবার ঐ সকল দেশ ইংরাজের হস্তে সমর্পণ করিতে বাধ্য হইয়াছিল। ফলতঃ এই তিন জাতির প্রণালীই উপনিবেশের তিন বৃহৎ প্রণালী। যথা :সামরিক বিজয়-সাধন, বাণিজ্যের দ্বারা কোন দেশের ধন শোষণ, এবং দেশশাসনের সুব্যবস্থা। এই সভ্যতা বেরূপ পরপর বিকাশ লাভ করিয়াছিল, এই তিন প্রণালী সেই বিকাশের অনুরূপ । এষ্টরূপে, যে ত্তিন বিভিন্ন জাতির প্রকৃতি এই তিন বিভিন্ন সভ্যতার প্রকৃষ্ট পরিচায়ক, সেই তিন জাতিই পৰ্য্যায়ক্রমে এসিয়া ও আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছে। ইংরেজই শেষে অন্তান্ত যুরোপীয় শক্তিকে পরাভূত করিয়া সমস্ত জয় করিল। ফলতঃ ইংলণ্ডই ভারতের সহিত একটা বিশেষ বন্ধন স্বত্রে আবদ্ধ হইল, তাহার জন্য আবণ্ডক
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৩২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।