পিপীলিক ( পূৰ্ব্বানুবৃত্তি ) হুবার একবার রুফেসিন জাতীয় (F. Rufescene) কয়েকটা পিপীলিকাকে একস্থানে আবদ্ধ করিয়া-কতকগুলি গুটী কীট, ( lava, pupa ) এবং প্রচুর খাদ্য সেস্থানে রাখিয়া দিলেন। আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, গুটী ও কীটগুলির তত্ত্বাবধান করা দুরের কথা, নিজেদেরই খাদ্য মুখে তুলিয়৷ থাইতে না পারায় অনেকগুলি পিপীলিকা অনাহারে মৃত্যুমুখে পতিত হইল। অতঃপর তিনি কতকগুলি দাস-পিপীলিকা সে স্থানে ছাড়িয়া দিলেন ; উহার তৎক্ষণাৎ মৃতপ্রায় প্রভূদিগকে খাদ্যাদি প্রদান করিল এবং গুটী ও কীটগুলির প্রতিপালনের প্রতি মনোনিবেশ করিল। মাটী খুড়িয়া উহাদের জন্ত কয়েকট প্রকোষ্ঠও নিৰ্ম্মাণ করিল । অন্ত একজন বৈজ্ঞানিক (১) এই জাতীয় একটা পিপীলিকাগৃহের নিকট একটুকরা শর্কর রাখিয়া দেন ; শীঘ্রই এই সুমিষ্ট খাদ্য একটা দাস-পিপীলিকার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় সে তাহার রসন পরিতৃপ্ত করিয়া গৃহে প্রত্যাবর্তন করিল। আরও কয়েকটা দামপিপীলিকা সন্ধান পাইয়। সেখানে আসিয়া আহারে মনোনিবেশ করিল। অতঃপর কয়েকজন প্রভু আসিয়া ভূতাদের পী টানিয়া তাহাদের স্মরণ করাইয়া দিলেন, তোহারা তাহাদের কৰ্ত্তব্য ভুলিয়া গিয়াছে। তিরস্কৃত ভূত্যেরা তৎক্ষণাৎ নিজেদের কার্য্যে লজ্জিতহইয়াই যেন, প্রভূদিগকে খাদ্য পরিবেষণ করিতে লাগিল। এই পরীক্ষার সভ্যতা ফেরেলও সমর্থন করিয়াছেন । F. Sanguinea-জাতীয়েরা সাধারণতঃ I Fusea-জাতীয় পিপীলিকাকেই দাস কুরিতে চাহে। কারণ ইহার স্বভাবতই শান্তিপ্রিয় ও নিরীহ ; সহজেই ইহার ধরা দেয় ও পরাধীনতা স্বীকার করে । কিন্তু F. Flavaদের ধৃত করা বড় সহজ ব্যাপার নয়-অতি কঠোর সংগ্রাম ব্যতীত উহাদের পরাস্ত করা যায় না । তাই ইহাদের কাছে F. Sanguineas! সহজে ঘেসে না । কীট দেখিয়৷ এই বিপরীত জাতীয় পিপীলিকার পার্থক্য ইংরে। নির্ণয় করিতে পারে কি না ডারুইন তাহ পরীক্ষা করেন। তিনি দেখিলেন, F. fusca দের কীট ইহারা অতি আগ্রন্থের সহিত গ্রহণ করিল, কিন্তু F. Flavaর কীট দেখিতে পাইয়া সশঙ্কিত হইয়া দূরে সরিয়া পালাইল । (1) Les Pes.
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।