৩৮শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা বারংবার বিপিনের নামে নালিশ শুনিতে শুনিতে বিরক্তমনে হরিবিহারী অন্দরে আসিয়া শয়নকক্ষে পালঙ্কের উপর বসিলেন। গিন্নি আসিয়া একপাশে বসিলেন । হরিবিহারী বলিলেন-বিপিন নাকি মেয়েদের পাঠশালা করছে, দোতলায় আঁতুড় করছে ? গিন্নি মুখভার করিয়া বলিলেন—হঁ্যা ! বিপিন এবার কলকেত থেকে এসে অবধি কেমন উদাস উদাস, সদাই অন্তমনস্ক হয়ে থাকে। যেমন খিটখিটে তেমনি একগুঁয়ে হয়েছে, নিত্যি নতুন খেয়াল নিয়েই আছে। তারপর ঐ যে ঘরজালানি ছুড়ি মালতী এসেছে, ঐটে এসে অবধি ত বাড়ীতে একদিনের তরে শাস্তি নেই। একবার নবকিশোরকে নিয়ে কত কাণ্ডটাই করলে | এখন আবার বিপিনকে পেয়ে বসেছে ! সোমখ সব ছেলে, বিয়ে থা হয়নি, ಆಡತ ওদের মন চঞ্চল হতেই ত পারে। কিন্তু তুই বিধবা মানুষ, তোর কি অমন পুরুষঘ্যাস হওয়া উচিত ? হরিবিহানী স্তিমিতনেত্ৰে চিবাইয়া চিবাইয় বলিলেন—ত ঝাড়ে মূলে সব দূর করে দিলেই ত সব ল্যাঠা চুকে যায়। —বাপরে | তা কি বিপিনের প্রাণে সষ্টবে ? তার ত খুড়িম-অস্ত প্ৰাণ । তারপর ত আজকাল খুড়িমার খুঁটির জোর হয়েছে, বোনঝি অমনি বিপিনের চোখে tyi८५ किङ्ग८छ् । -अझl, ওদের তাড়াব। —কিন্তু বিপিমের একটি বিয়ে দেওয়া আমি বিপিনকে দিয়েই ম্রোতের ফুল ఏపిచి দরকার হয়েছে। ষেটের কোলে অতবড়টি হয়েছে, আর বিয়ে না হলে কি ভালো দেখায় ? -ह ! श्राष्झ कांशके अॉमि जब टैिक করে ফেলব। ঝিমুকপোতার জমিদার হরিশ চাটুয্যে তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেবার জন্তে অামায় চিঠি লিখেছে। হরিবিহারীর স্বভাব যেমন একদিকে বিষম নিক্রিয় ছিল, অন্ত দিকে আবার তেমনি একবার উদ্বুদ্ধ হইয় উঠিলে বিলম্ব করিতে জানিত না । বিপিনের বিয়ে দেওয়া দরকার, তা কালই ঠিক হইয়া যাইবে—হরিশ চাটুয্যের মেয়ে প্রস্তুত আছে । গিন্নি উৎফুল্ল হইয়া বলিলেন—তা হলে ত বেশ হয় ! ( २२ ) প্রাতঃকালে বিপিন লাইব্রেরীতে বসিয়া পড়িতেছে । গিন্নি আসিয়া ডাকিলেনবিপিন ! বিপিন তাড়াতাড়ি বই রাখিয়া উঠিয়া দাড়াইয়া বলিল—কেন মা ? গিন্নি হাসিয়া বলিলেন—সকাল বেলাই তোকে একটা মুখবর দিতে এসেছি। তোর বিয়ের সম্বন্ধ করছি। আজকে উনি সব পাকা করে চিঠি লিখবেন। বিপিন চিন্তিত হইয়া বলিল—কোথায় মা এ শুভকৰ্ম্ম স্থির করচ ? খুকিটি এসে বিনির থেলুড়ে হতে পারবে ত ? —ন না, তোর সকল তাতেই ঠাট্ট । তুই বেটের কোলে ডাগরটি হয়েছিল, তোর সঙ্গে কচি মেয়ের বিয়ে দেবো কেন ?
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৩৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।