পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা বিপিনের বীরের মতো দৃঢ়তা ও নারীর মতে কোমলতা দেখিয়া মালতীরও অন্তর প্রতিসরস কৃতজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। মালতী স্নিগ্ধ দৃষ্টিতে চাহিয়া নীরব ভাষায় বিপিনকে অভিননান করিল। ( २७ ) গিরি কর্তাকে পুত্রের প্রতিকূলতার সংবাদ দিবার জন্ত যখন অতিমাত্র ব্যস্ত হইয়া ঘব আর বাহির কবিতেছেন এবং কর্তাকে খাইতে আসিবার জন্য তাগাদ করিয়া যখন ডাকিতে লোকের উপর লোক পাঠাইতেছেন, ঠিক তখনই বিপিনের আনন্দচঞ্চল চটজুতার ফটর ফটর শব্দ তাহার কানে গেল। বিপিন ডাকিল—ম ! গিন্নি কোন উত্তর না দিয়া মুখখানি তোলে হাড়ির মeো ফুলাইয়া জানালার ধারে পুকুরের দিকে চাহিয়া দাড়াইয় রছিলেন । বিপিন ঘরে আসিয়া মাকে প্রণাম করিয়া পায়ের ধূলা মাথায় লইল। গিন্নি বিরক্ত জিজ্ঞাঙ্ক দৃষ্টিতে তাহার দিকে চাহিতেই বিপিন হাসিতে হাদিতে বলিল— মা, আমি পাশ হয়েছি। খুব ভালো পাশ হয়েছি । গিল্লির মনের মেঘ তৎক্ষণাৎ কাটিয়া গেল। মুখ উজ্জল হইয়া উঠিল। অভিমানের উপর মাতৃত্ব প্রবল হইয়া উঠিল। পুত্রের সকল অনাচার আতিশয্য তিনি ভুলিয়া গেলেন, উষ্ঠত অভিযোগ শাস্ত হইয়া গেল, চারিদিক আবার প্রশান্ত প্রসন্নতায় ভরির উঠিল । তিনি চীৎকার করিয়৷ বলিলেন—ঙলে ও ক্ষ্যাম, সঙ্কলকে ডেকে বল আমার বিপিন পাশ হয়েছে । ও জোতের স্কুল । ; : $ রোহিণী, রোহিণী, দুবেজিকে দশ টাকার বাতাসা আর পচিশ টাকার নাড়, আনিয়ে দিতে বল ; ঠাকুরের ভোগ দিয়ে হরির श्रृंप्ले श्रद । ७८गl ७ शंदांम बां, #fकूम ঘরে গিয়ে গোবৰ্দ্ধনকে বলগে যেন চলে না যায়...আজকে, ঠাকুরের ডবল ভোগ দিতে হবে । বাড়ীময় আনন্দ-কলরবের হৈ চৈ পড়িয়া গেল। সবাই চেচায়, সবাই সবাইকে খবর দেয়, সবাই একট-না-একটা ফরমাস করে । বিপিন হাসিতে হাসিতে বলিল—ম, গোবর পূজো করলে আমার কল্যাণ ন হয়ে অকল্যাণই হবে। —চুপ চুপ! অমন কথা বলতে আছে! বেরান্তন ! ••• — অমন ব্রাহ্মণের চেয়ে অটলামুচি ঢের ভালো মা । গোবর। আবার ব্রাহ্মণ । —চুপ চুপ! শুনতে পেলে ওর মনে কষ্ট হলে । আজকে আনন্দের দিনে করে। মনে কষ্ট দিতে নেই। —তবে মা, আজকে বাবাকে বল ভট্চায্যি জেঠ এসে পূজো করুন ; খুড়িমকে ঠাকুরঘরের ভার ফিরিয়ে দাওঁ । উৎসব যদি করতে হয়, এমনি করে প্রসন্ন আশীৰ্ব্বাদ দিয়ে উৎসব আরম্ভ হোক । সকল দিককার কালি ধুয়ে মুছে দাও। গিরি বলিলেন—ওরে কে আছিস যা ত ছোট-বেীকে ডেকে আনি ত। মালতীকেও ডেকে আনিস । বিপিন বলিল—খুড়িমাকে আমি ডেকে আনছি মা ।