সমুদ্রবক্ষেe সেদিন সংবাদপত্রে নিম্নলিখিত সংবাদটি পাঠ করিলাম,—
- (বলগনী সংবাদদাতার পত্র
“২২শে জানুয়ারি “একটা আকস্মিক ভয় অদ্য দুই বৎসর যাবৎ মৎস্তজীবিদিগের মধ্যে প্রবেশলাভ করিয়াছে। ক্যাপটেন জ্যাভেলের মৎস্ত ধরিবার জাহাজ খানি বন্দরে প্রবেশ করিবার সময়, কি করিয়া পশ্চিম দিকে চলিয়া গিয়া জেটর অদূরবর্তী পৰ্ব্বতগাত্রে আহত হইয়। শত খণ্ডে চূর্ণ হইয়া যায়। “লাইফ-বোট ও লাইফ-বয়ার সহায়তায় অন্তান্ত সকলে প্রাণ পাইলেও একটি বালক এবং চারিজন পুরুষকে খুজিয়া পাওয়া যায় নাই। এখনও পর্য্যন্ত জলবায়ুর যেরূপ ভীষণ প্রকোপ রহিয়াছে, তাহাতে এরূপ বিপদ আরও ঘটবার সম্ভাবনাও যথেষ্ট আছে।” এই ক্যাপটেন জ্যাভেলটি যে কে তাছ আমি ঠিক বুঝিতে পারিলাম না। একি সেই ছিন্ন-হস্ত মৎস্যজীবির ভ্রাতা ? ভূতভাগ্যের নিজের জাহাজখানি ভাঙ্গিয় গেল এখন সে বোধ হয় সমুদ্রের লোনা জলে হাবুডুবু খাইয়া জীবন রক্ষার শেষ চেষ্টা করিতেছে। এই জাহাজের জাল রক্ষার জন্ত তাহার ভ্রাতার হাতখানিকে ইতিপূৰ্ব্বে সে বলিদান দিতে সঙ্কোচ করে নাই। হাভগবান! এ বুঝি তাহার সেই কৰ্ম্ম ফলেরই প্রতিশোধ ! সে ঘটনাটি ঘটিয়াছিল ঠিক আঠার বৎসর পূৰ্ব্বে । । দুই ভ্রাতার মধ্যে জ্যেষ্ঠ জ্যাভেল তখন এক খালী জেলে-জাহাজের ক্যাপটেন ছিল। সকল প্রকার মৎস্য ধরিবার জাহাজের মধ্যে এই “জেলেজাহাজ” শ্রেষ্ঠ ; সকল প্রকার ঝড়-ঝাপট সহ করিবার উপযোগী করিয়া গঠিত। যেমন ঝড়ই হউক না কেন, এ-জাহাজ শোলাখণ্ডের ন্তায় উখাল সমুদ্র উদ্ধির উপর নাচিয় ফিরিত। মাথার উপর বায়ুশূন্ত পাইল, নিম্নে একখানা কড়ির মত মোট কাঠের সহিত দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ একখানি জাল । সমুদ্র মধ্যে যেকোন প্রাণীই থাকু না কেন, এ জালের হাত হইতে কাহারও পরিত্রাণ পাইবার উপায় ছিল না। জলমগ্ন পৰ্ব্বত গহবরের সুপ্ত প্রাণী, বালুকার উপরের রোহিত মৎস্য, তীক্ষু দাড়াসম্পন্ন কর্কট ও সুক্ষ্ম করাত্ত পরিহিত গলদ প্রভৃতি নানা প্রাণীকেই জাতি ও শ্রেণী নিৰ্ব্বিভেদে এই জালের মধ্যে প্রবেশ করিতে হইত। বাতাস যখন ফুরফুরে এবং সমুদ্র যখন শাস্ত সেই সময় এই জাহাজ মৎস্য ধরিতে যাত্রা করিত। জলট তখন সেই মোটা কাঠে বাধা ; আর দুই পাশে "fists wat 'n ons Guy De monpassant কর্তৃক রচিত এগল্পটি ইহার ইংরাজী অনুবাদ কী Mrs. Ada Galsworthygą Astafē Ngrită șterzitts অনুদিত --লেখক !