পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা চাপ রাখিবার জন্ত লোহার কাঠি, ছুইটী রসির সাহায্যে জাহাজের দুই পাশ্বের দুইটি রোলারের উপর দিয়া নিম্নে নামান । 贛 জাহাজের সম্মুখ ভাগে সমুদ্রউদ্ভিদ বিনষ্ট করিবার উপযোগী একখানা তীক্ষুধার ফলক সন্নিবিষ্ট। বেগে অগ্রসর হইবার সময় ইহা তাবৎ উদ্ভিদের মূলচ্ছেদ করিত ! • জ্যাভেলের সহিত চারিজন কৰ্ম্মচারী, তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা ও একজন বালক ছিল । মৎস্য ধরিবার জন্ত বেশ সহজ বাতাসেই সে সমুদ্র যাত্রা করিয়াছিল। শীঘ্রই কিন্তু বাতাস বেগে বহিতে লাগিল ; একটা ঝড়ের পূর্ব লক্ষণ প্রকাশ পাইলেও সে জাহাজ ফিরাইতে পারিল মা, তীর বেগে জাহাজ সম্মুখের দিকে ছুটিয়া চলিল। ইংরাজাধিকৃত তটের দিকে জাহাজ, চালাইলেও উন্মত্ত সাগরউৰ্ম্মি জলমগ্ন শিখরে আহত হইয়া এমনি ভীমবেগে আসিয়া জাহাজে বাধা দিতেছিল যে তখন কোন বন্দরে প্রবেশ করিবার চেষ্ট বাতুলত মাত্র। ক্ষুদ্র জাহাজখানি সেদিকে যাইবার সংকল্প ত্যাগ করিয়া ফরাসী অধিকৃত তটের দিকে চলিতে চাহিল ; কিন্তু উন্মত্ত সমুদ্র সেদিকে ও জেটর নিকট পৌঁছিতে দিল না ; নিকটবৰ্ত্তী সকল বন্দর ফেনিল সমুদ্রের বাপে অন্ধকার হইয় গেল ; একটা বিকট হুঙ্কার, প্রলয়ের বিশাল রব দিকে দিকে গর্জিয়া উঠিল। পৰ্ব্বত প্রমাণ ঢেউগুলি একবার আকাশের দিকে তুলিয়া পরমুহূর্বে পাতাল সমুদ্রবক্ষে راه ه ۵ গর্ভে নামাইয়া দিতে লাগিল । , এমন দুৰ্য্যোগেও জাহাজখানি ডুবিল না, দুইটি বন্দরের মধ্য স্থানে জোয়ারের মুখে কুটার স্তায় এপাশ ওপাশ করিয়া বেড়াইতে লাগিল । অবশেষে তীর কইতে বহুদূরে অবস্থিত হইয়া উখলি তরঙ্গ মুখে মৃত্য করিতে থাকিলেও ক্যাপটেন জাল নামাইতে আদেশ দিলেন। স্ববৃহৎ জালখনি নামাইবার জন্ত দুই পাশ্বে দুইজন করিয়া চারিঞ্জন লোক দাড়াইয়৷ সেই ভীষণ ভারযুক্ত লৌহ সমন্বিত জলখানি নামাইয়া দিল। ভারাকৃষ্ট হইয়া দ্রুতবেগে জালখানি নামিতে লাগিল, দুই পাশ্বের রোলারের উপর দিয়া দড়ি গুলি দ্রুত নামিতে লাগিল । এই সময় জালের একটা ঝাপটায় জাহাজখানি এক পাশ হইয় গেল ; ধারে দাড়াইয়৷ জ্যাভেলের কনিষ্ঠ ভ্রাত আত্মসম্বরণ করিতে না পারিয়া দড়িটা ধরিয়া ফেলিল । সঙ্গে সঙ্গে সেই ভারাকৃষ্ট বৃহৎ দড়ি ও রোলারের মধ্যে তাহার হাতখানি আটকাইয় গেল। জ্যাভেলের ভ্রাতা অপর হন্তে দড়িটা তুলিয়া ধরিতে চেষ্টা कब्रेिण কিন্তু পারিল না। সেই বিপুল ভারাক্রান্ত দড়ি তখন দারুণ বেগে নিম্নে নামিতে ছিল ক্ষুদ্র মানব একাকী তাহ সরাইতে পারিল না। যন্ত্রণায় অস্থির হইয়া সে সাহায্যের জন্ত চীৎকার করিয়া উঠিল । সকলে তাহার নিকট ছুটিয়া আসিল । সকলে মিলিয়া সেই কাছির:তল হইতে তাহার হস্ত মুক্ত করিতে চেষ্টা করিল কিন্তু পারিল না।