পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y ৩৮শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা সরোজিনী যাত্র একবার জ্যোতিবাবুদের বাড়ীতেও হইয়াছিল। সরোজিনীর গান তখন সভায়, মজুলিশে, বৈঠকে সৰ্ব্বত্র গীত দুইত । . • . একদিন হাওড়ার একটা থিয়েটারে সরোজিনীর অভিনয় হয়, জ্যোতিবাবুও তাহাতে নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন । যে দৃপ্তে বিজয়সিংহ কর্তৃক সরোজিনীর উদ্ধার সাধিত হয় সেই দৃশ্যে কিয়ৎক্ষণের জন্ত সমগ্র রঙ্গালয় ঘনঘন মুখরিত করিয়া দর্শকগণ উচ্ছসিতকণ্ঠে চীৎকার করিয়াছিল, *Thanks, thanks to the young author”. জ্যোতিবাবু বলিলেন “সরোজিনী প্রকাশের পর হইতেই আমরা রবিকে আমাদের দলে প্রোমোশন দিয়া উঠাইয়। লইলাম। এখন হুইতে সঙ্গীত ও সাহিত্য চর্চাতে আমরা তিনজন হইলাম-আমি অক্ষয় (চৌধুরী), ও রবি। পরে জানকী বিলাত যাইৰার সময় আমার ভগিনী এখনকার ভারতী সম্পাদিক। আমাদের বাড়ীতে বাস করিতে আসায় সাহিত্য চর্চায় র্তাহাকেও আমাদের একজন সঙ্গীরূপে পাইলাম।” ভারতী প্রকাশের ইতিহাস এইরূপ । একদিন জ্যোতিবাবু র্তাহার তেতালার ঘরে বসিয়া পূৰ্ব্বোক্ত দুইজনের সহিত পরামর্শ করিয়া স্থির করিলেন যে সাহিত্যবিষয়ক একখানি মাসিক পত্র প্রকাশ করিতে হইবে। যেমন কথা অমনি কায। তৎক্ষণাৎ জ্যোতিবাবু দ্বিজেন্ত্রবাবুকে এ কথা জানানাইলেন। জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনস্থতি $$$ দ্বিজেন্দ্র বাবুও এ প্রস্তাবে মত দিলেন। ७श्वन ७ गtबङ्ग नांभ कि इहे८१, uहे সমস্তার সমাধানে সকলে যত্নবান হইলেন। দ্বিজেন্দ্র বাবু নাম বলিলেন “স্বপ্রভাত" কিন্তু এ নাম জ্যোতিবাবুদের মনোনীত হইল না, কারণ ইহাতে যেন একটু স্পৰ্দ্ধার ভাব আছে, অর্থাৎ এতদিনে যেন বঙ্গসাহিত্যের সুপ্রভাত হইল। স্বপ্রভাত নাম যখন গ্রাহ হইল না, তখন দ্বিজেন্দ্র বাবু আবার তাহার নাম রাখিলেন “ভারতী” । সেই ভারতী আজও পৰ্য্যন্ত র্তাহার ভগিনীদেবীর যত্নে দ্বিজেন্দ্রনাথ, জ্যোতিরিক্সনাথ, রবীন্দ্রনাথ ও অক্ষয়চন্দ্রের বাল্যস্মৃতিরক্ষা করিয়া আসিতেছে । ‘জ্যোতিবাবু বলিলেন, “ভারতী” প্রকাশ উপলক্ষে আমাদের আর একজন বন্ধু লাভ হইল। ইনি কবিবর শ্ৰীযুক্ত বিহারীলাল চক্রবর্তী। আগে তিনি বড়দাদার কাছে কখন কখনও আসিতেন কিন্তু আমার সঙ্গে তেমন আলাপ ছিল না । এখন “ভারতী”র জন্ত লেখা আদায় করিতে আমরা প্রায়ই র্তাহার বাড়ী যাইতাম, তিনিও আমাদের বাড়ী ঘন ঘন আসিতে লাগিলেন। তাহাকে দেখিলেই মনে হইত—একজন খাটি কবি । সৰ্ব্বদাই তিনি ভাবে বিভোর হইয়! থাকিতেন । একটা ডাব ই কা টানিতে টানিতে তিনি আমাদের সঙ্গে গল্প করিতেন । যখন কোনও সাহিত্য আলোচনা হইত অথবা কোনও বিষয় চিন্তা করিতেন, তখন তামাক টানিতে টানিতে চক্ষু দুইটি বুজিয়া তিনি ভাবে ভোর হইয়া যাইতেন। আমাদের বাড়ী যখনই