తes গুলিকে মাঝে মাঝে বাসা হইতে একটু দূরেও ফেলিয়া দেয় । তাহার পক্ষে এই কাৰ্য্য বিশেষ শ্রমদাধ্য নহে। এই প্রকারে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে বাগার অন্ত জিনিষ ७णि पूशैङ्ङ श्ना नि । अश्रु ख्रिभ ७ ছানা সবই অদৃগু হইয়া . পড়ে। তখন পালক পিতামাছা এই বলপূৰ্ব্বক অধিকারকারীর খাদ্য জোগাড় করিতে বিশেষু যত্ন সহকারে পরিশ্রম করে । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি কোকিলছানা আশ্চৰ্য্য ত্রুত গতিতে বাড়িতে থাকে। শীঘ্রই সে এত বলবান হইয়া উঠে যে পালক পিত মাতাকে আর দু’তিন দিন মাত্র কষ্ট করিতে হয়। কোকিলছানার ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্ত তাহাদিগকে বিশেষ চেষ্টা করিতে হয় । তিন দিনের দিন কোকিলছানার দেহের আয়তনে বাসাটি প্রায় জুড়িয়া যায়। সেই সময় ইহাকে দেখিতে বড়ই বিশ্ৰী, কয়লার মতন কাল ও প্রকা ও ই বিশিষ্ট। উহাকে একটু রাগাইয়া দিলেই ই। এত বাড়িয়া উঠে যে, মুখের ভিতরের প্রকাও লাল গৰ্ত্তটি পৰ্য্যন্ত দেখিতে পাওয়া যায়। পালক পিতামাতার প্রাণে দয়া মারী, না থাকিলে, তাহারা এই অপরিচিত অদ্ভুতাকৃতি ছোট প্রাণীটির আহার যোগাইতে এত কষ্ট স্বীকার করিবে কেন ? অতএব কোকিল এবং ঐ জাতীয় অপর দু’একটি পাখী ব্যতীত সকল পক্ষই সস্তানবৎসল ও স্নেহশীল । আমরা মোরগীকেও পাতিহাসের ছানার দলকে আহার দিতে ও লালনপালন করিতে দেখিয়াছি। প্রথম আট দিন কোকিলছানার মাংসই डाब्रडौ ಡಿಸಾ, ১৩২১ বাড়িতে থাকে ; তাহার পালক তত: বেশী, গজায় না। তখনও ইহা দেখিতে কোকিল-ছানার আহার কুৎসিত। কিন্তু শীঘ্রই সরু সরু পালক গজাইতে আরম্ভ হয়। দিন দুই বাদে, পালক এত ক্রত গতিতে বাহির হইতে থাকে যে, তখন তাহাকে দেখিতে বেশ সুন্দর হয়। এরূপ পালক-গজানো আমরা মাছরাঙ্গা "পার্থীতেও লক্ষ্য করিয়া থাকি । ইহার সব পালক বাহির হইলে, শরীরের ভারে বাসাটি নীচে পড়িয়া যাইবার সস্তাবনা হয়। • মাটীর উপর বাসা থাকিলে, সেখানে কোকিলছানা প্রথম উড়িবার কিছুদিন পূৰ্ব্বে বাসাটি শুষ্ঠ করিয়া দিয়া ঘাসের ভিতর গুড়িসুড়ি মারিয়া থাকে । জমির উপর যে সকল গরু ছাগল চরে তাহার নিকটবৰ্ত্তী হইলেই সে সতর্ক হইয়া ডান নাড়িতে থাকে এবং সৰ্পের ন্তায় হিসহিস শব্দ করে । তাহাতেই তাহারা অন্ত দিকে সরিয়া যায়। অন্ধকারে ভয়জনক চীৎকার করিয়া সে আপনাকে রক্ষা করে। এ চীৎকার তাহার স্বতন্ত্র ।
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৪৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।