অকাল সমাধি [ ইংরাজী হইতে ] প্রস্ফুট গোলাপের মত সুন্দরী এমি হাউয়ার্ড যাহাকে ভালবাসিত সে ছিল এক সৈনিক যুবা । ধনীর সন্তান সে, বিলাসলীলসার ক্রোড়ে প্রতিপালিত—তথাপি তাহার চরিত্রে উচ্ছ জ্বলতার কোনো লক্ষণ ছিল না। জীবনের সৌন্দৰ্য্যবিকশিত উদ্যানের মধ্যে সে উদ্দেগুবিহীন মৌমাছির মত উড়িয়া বেড়াইতেছিল, কোনো বিশেষ-কিছুর উপর তখনও সে স্থির হইয়া বসে নাই। এমনি সময় গ্রীষ্মের এক শুভরাত্রে পুষ্পশোভিত আনন্দনৰ্ত্তনের মধ্যে এমি তাহার চোখে সুন্দরতম কুমুমের সুষম লইয়া দেখা দিল । তাহার সুচারু দেহলতার উপর ছিল পবিত্র শুভ্র পরিচ্ছদ আর তাহীর মুখের উপর ছিল সরল নীল আঁখি। সেই আঁখির সহিত , আরও দুইট আঁখির মিলন হইল, চারি চোখের শুভ সম্মিলনে দুইটি প্রাণ পরম্পরের নিকট বঁধে পড়িয়া গেল । তারপর গ্রীষ্মের দিনরাত্রিগুলি যেন পাখা ধরিয়া পার্থীর বাকের মত এক মুহূর্তে উড়িয়া চলিয়া গেল। তরুণ তরুণীর জীবন, নদী তাহদের পৃথক প্রবাহপথ পরিত্যাগ করিয়া একই থাতে বহিয়া চলিল,—প্রেমের স্রোত উভয়ের হৃদয়ে গভীর দাগ কাটয় গেল, তথাপি কেহ প্রকাশ করিয়া কিছু বলিল ন সংসারের ס সহস্ৰ নরনারীর মধ্যে তাহরাও দুইজন নরনারী মাত্র ; তাহদের মধ্যে যে প্রেমের অন্তগূঢ় টান রহিয়াছে তাহ অন্তে দূরে থাকুক আত্মীয়মহিলারাও কেহ টের পাইল না । এমনি সময় ইউরোপের পূর্ব প্রান্তে ক্রিমিয়ায় রণভেরী বাজিয়া উঠিল। সেই তুর্য্যনিনাদ ইংলণ্ডের সহস্ৰ সহস্ৰ শান্তিকুটীরে পৌছিতে বেশি বিলম্ব হইল না। সেই ভেরী শুনিয়া মাত কঁাপিয়া উঠিল পুত্রের জন্ত, বোন কঁাপিয়া, উঠিল ভাইয়ের জষ্ঠ, স্ত্রী কঁাপিয়া উঠিল স্বামীর জন্ত । জীবনের মুখের আলো এক ফুৎকারে নিবিয়া গেল, গল্প হাসিগান উদ্বেগাশঙ্কার মধ্যে কখন যে বিলীন হইয়া গেল তাহ টেবও পাওয়া গেল না । যুবক ভাবিল —আর ত নীরব থাকা চলে না ; এই অtসন্ন বিচ্ছেদের দিনেও যদি চুপ করিয়া থাকি তবে যে এ জীবনে আর মরমের কথা . বলা হইবে নু । আবেগে, উদ্বেগে, লজ্জায়, আশঙ্কায় যুবক একদিন এমিকে ডাকিয়া বলিল —“এমি, ঙ্গেমায় আমি ভালবাসি !”. এমি একথার কি উত্তর দিবে ? ইহা যে সে বহুদিন হইতেই জানে। — এমি ও যে তাহার সমস্ত হৃদয়থানি তাহfবই চরণে নিবেদন করিয়া দিয়াছে । এই বিচ্ছেদ লেদনার মধ্যে ও তাহীদের মনে সাম্বন ছিল । এতদিনের এই দুইটি
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৪৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।