পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৪৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা নগ্ন পদে বিদ্ধ হইয়া কষ্ট দায়ক হষ্টলেও মুক্ত প্রাস্তরের বিশুদ্ধ বায়ুতে প্রাণে অপুৰ্ব্ব সজীবতা প্রদান, করিতেছিল। প্রায় এক পোয় পথ অতিক্রমু করিয়া আমরা মনুষ্যাবাসের চিহ্ন স্বরূপ সদ্য বর্ধিত ভূমি ও আম্রপন্যাদা ফলবীন বৃক্ষসমূহ * uদখিতে পাইলাম। তাহার অল্প দূরেই একটা বৃহৎ বঁাশ ঝাড় অতিক্রম করিয়া একটি তৃণাচ্ছদিত বাটিতে উপস্থিত হইলাম । * বাটির প্রাঙ্গণে একটী কুপ কয়েকটি রক্তজবা ও করবী প্রভৃতি বৃক্ষ একটি বৃহৎ ংশ দণ্ডে লোহিত বর্ণের পতাকা উড়ডীয়মান । ইহাই বমুয়া কালীর মন্দির । অধিকারী বা সেবাইত সেখানে সপরিবারে বাস করেন। . অধিকারীপত্নী তৎকালে উদুখলে চাউল কুটিতে নিযুক্ত ছিল। আমাদের দেখিয়া আগমনের উদ্বেগু জিজ্ঞাসা করায় আমরা দেপী দর্শনের অভিপ্রায় জানাইলাম। সে তখন বাৰ্য্য বন্ধ করিয়া ব্যস্ততা সহকারে এক গাছি সম্মার্জনী হস্তে পাশ্বস্থ কুটিরে প্রবেশ করিল, আমরাও তদনুবত্তী ইষ্টয়া দেখিলাম সেই কুটিরেই মৃন্ময় কালিকা মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিতা । এক পাশ্বে একটি রুধির রঞ্জিত যুপ ক্যষ্ঠ ও খড়গ, অন্ত পাশ্বে একটি কাঠময় দীপাধার। অন্ত কোন পূজার সরঞ্জাম সে গৃহে নাই। পূজা অৰ্চনা দূরে থাকুক বোধ হয় একপক্ষ কাল সে গৃহে মনুষ্যের পদার্পণ ঘটে নাই। সম্মার্জনী দ্বারা আবর্জন রাশি পরিষ্কার করিতে করিতে অধিকারী পত্নী কৈফিয়ৎ দিল যে তাহদের অবস্থা নিতান্ত শোচনীয় সুতরাং প্রত্যহ পূজা অৰ্চনা করিতে অসমর্থ। গোট কতক یماہ aی জল্পেশ্বরে শিবরাত্রি >> ●● পুষ্প ও চন্দন দিয়া নিত্য পূজা করিতে আপত্তি কি জিজ্ঞাসা করায় সে দন্তে জিহা কাটিয়া বলিল “রক্ত না হলে কি কালাৰ পূজা হয়, যে দিন কেহ পাঠ বা পারাব ও দিয়া মানসিক পূজা দেয় সেইদিনই পূজা হয়। তাহা ছাড়া অধিকারীকে চাষ বাস কৰিতে ' হয় অতএব সময় কই ?: , সে স্থান হইতে দক্ষিণে পুৰ্ব্ব বর্ণিত পথে পৰ্য্যটন করিয়া ধৰ্ম্মপাল ও পাগলা কালী দুর্শন করিতে যাত্রা করিলাম। এ স্থানটি একেবারে রাজ পথের ধারে । চতুদিক খোণ, উপরে একটু টিনের আচ্ছাদন । এইখানে একটি প্রকাও পাষাণ বেদিকার উপর একটি ভঙ্গ প্রস্তব মূৰ্ত্তি তাহ তৈল ও সিন্দরে এরূপ অমুটি গু যে মুক্তিটি যে কিরূপ তাহা বুঝিবার যে নাই। তাহার নিকটেই আর একটি ভগ্ন স্ত্রী দেবতার মূৰ্ত্তি, ইহা যে কোথায় ছিল, কি রূপেই বা এথানে এরূপ ভগ্নাবস্থায় পতিত আছে তাই কেহ বলিতে পারিল না । মুক্তি গুলির উপর কিছু পুষ্প ও আতপ তণ্ডুল ছিটান। প্রণামী পয়সা কুড়াইবার জন্ত একটি লোক সেখানে বসিয়া আছৈ। প্রত্যাগমুনকালে এপার রাজপথের উপর দিয়া আসা গেল, পথে পাৰ্ব্বতা দেবী ও মহাকালের দুটি ক্ষুদ্র নুগুন ও মুগঠিত মন্দির, ভিতরে মুক্তিগুলি অভগ্ন এবং নিত্য পূজাদি হয়। পাৰ্ব্বতীদেবীর নিকট অসংখ্য বলিদান পড়িয়াছে। নিকটেই বহু সংখ্যক বৈষ্ণব ও বৈষ্ণবী আখড়া করিয়াছে, তাহার। খোল ও করতাল সহযোগে কীৰ্ত্তন