৩৮শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা দোকান ) কোনটির নাম জুতা পটি, এইরূপে কাপড় পটি, বাসন পটি, ঘোড়াতাটি, গরু হাটি, কুকুর হাটি ইত্যাদি। এই মেলায় প্রায় ২.৩ লক্ষ টাকার মাল আমদানি,ও বিক্রয় হইয়া থাকে। গো মহিষাদির আড় নদীর ধারে। পূৰ্ব্বে এই মেলায় হস্তি পৰ্য্যন্ত ক্রয় বিক্রয় হইত। তাহার পর রাত্রিকালে পূজা কুরিতে যাওয়া হইল। এক্ষণে জনতা বৃদ্ধ প্রাপ্ত হইয় এমন আকার ধারণ করিয়াছে ষে গাড়ি পালকি দূরে থাক মানুষের যাতায়াতও কষ্টসাধ্য। আমরা আত্মীয় পুরুষগণের বেষ্টনের মধ্যবৰ্ত্তী হইয়া বহু আয়াসে মন্দিরের নিকটবৰ্ত্তী হইলাম। মন্দিরের পূর্ব ও পশ্চিমে দুইটি দ্বার। আমরা পশ্চিম দ্বার দিয়া প্রবেশ করিলাম। দ্বার হইতে প্রায় ৮১• হাত নিম্নে ভূগর্ভে দেব মূৰ্ত্তি, এখানে এইরূপ নিয়মেই মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়া থাকে। পাথরের অপ্রশস্ত সিড়ি গুলি সমস্ত দিন সিক্ত বস্ত্রে সমাগত ব্যক্তিবর্গের বস্ত্রচু্যত জলে এবং পদচ্যুত কৰ্দমে ভয়ানক পিচ্ছিল হইয়াছে। প্রতিপদে পদস্খলনের আশঙ্ক, অতি সাবধানে নিম্নে অবতরণ করিয়া দেখাগেল মন্দিরটি বেশ বৃহৎমেঝিয়া, শুভ্ৰ মৰ্ম্মর নিৰ্ম্মিত । ধূপ ধুনীর গন্ধে আমোদিত ভিত্তি গাত্রে ছোট ছোট কুলঙ্গি, তাহাতে দেবমূৰ্ত্তি—তাঃার পাদ দেশে ঘূত প্রদীপ জলিতেছে। মন্দিরের মধ্য স্থলে একটি কুণ্ড তাহার মধ্যে জল্পেশ্বর লিঙ্গ বিরাজিত। মন্দিরের অৰ্দ্ধাংশ পুষ্প বিল্বপত্র কদলী প্রভূতিতে পরিপূর্ণ। উপরের গম্বুজ ভাঙ্গিয়৷ জল্লেখরে শিবরাত্রি రీ পড়িয়াছে। অগণ্য তারক রাজি সমন্বিত নীলাকাশ দেবাদদেবের মন্দিরের চন্দ্ৰাতপ স্বরূপ হইয়াছে। পূৰ্ব্ব দ্বারের সন্মুখে প্রস্তর নিৰ্ম্মিত ষণ্ড বা নন্দিকেশ্বর ! তাহার পার্শ্বে ভিত্তি গাত্রে মন্দিরের উপরে উঠিবার সিঁড়ি আছে। এমন বিশাল মন্দির সমস্তই, প্রায় ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে। উপরের গম্বুজ চুড়া সহ ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ভূমিসাৎ হয়। চূড়াটি প্রায় আধমাইল দূরে পতিত হইয়াছিল এবং অস্থাপি সেইখানে পড়িয়া আছে। চুড়ার নামানুসারে ঐ স্থানটির নাম হইয়াছে “চুড়া ভাণ্ডারণী ।” শোনা যায় প্রথমত কামরূপের বক্ষ্মণরাজ বংশীয় জলপেশ্বর নামে রাজা স্বীয় নামামুসারে এই মূৰ্ত্তি স্থাপন করেন। মহম্মদ শীর কামরূপ আক্রমণের সময় তাহার সৈন্তগণ কর্তৃক এই মন্দির বিধ্বস্ত হয়। তাহার পর অনেক দিন এ রাজ্য নেপাল রাজের শাসনাধীন ছিল । নেপালীগণ বৌদ্ধ ধৰ্ম্মাবলম্বী—এই কারণে এই শিবমন্দির অযত্নে স্মৃত্তিক স্তপে পরিণত ও ভীষণ অরণ্যে সমাবৃত হইয়া যায় । পরে কোচ বিহারের রাজ্যের বর্তমান রাঞ্জবংশের দ্বিতীয় পুরুষ মহারাজ বিশ্ব नेिश् এ প্রদেশকে স্বাধিকারভুক্ত করিয়া লন। র্তাহার অধস্তন চতুর্থ পুরুষ মহারাজ প্রাণনারায়ণ এই অরণ্যে মৃগয়া করিতে আসিয়া ঘটনা ক্রমে এই মূৰ্ত্তি আবিষ্কার করেন। তিনি বিপুল অর্থ ব্যয়ে বর্তমান মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইতে আরম্ভ করিয়৷ সমাপ্ত হইবার পূর্বেই ইহলোক ত্যাগ कङ्गांव्र ॐाशङ्ग शूज मशबाण cमांगनांब्रांब्र१
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৪৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।