পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা এই বালকই তখনকার উদীয়মান . কবি রাজকৃষ্ণ রায়। আজ বঙ্গ-সাহিত্যে র্তfহার যথেষ্ট খ্যাতি— তাহার রচিত নাটক এখনও কলিকাতার রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হয়।” ইহাদের বাড়ীতে “কাল-মৃগয়া” অভিনয়কালে রবিবাবু অন্ধ মুনি ও জ্যোতিবাবু দশরথের ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছিলেন। “বাল্মীকি প্রতিভা”য় জ্যোতিবাবু কোনও পাঠ গ্রহণ করেন মাই, তাহার উপর সঙ্গীত ও কনসার্টের ভার ছিল। অক্ষয় মজুমদার “বাল্মীকি প্রতিভা" ডাকাতের সর্দার সাজিতেন । তাহার অভিনয়ভঙ্গীতে লোক হাসিয়া গড়াগড়ি যাইত। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে অক্ষয় বাবুর ন্তায় হাস্তরসের অভিনেতা তখন আর কেহই ছিল না। সকল অভিনয়েই Comic অংশ তিনি গ্রহণ করিতেন। ইহার কিছু দিন পরে তদানীন্তন লাট সাহেবের পত্নী লেডী ল্য,ক্সডাউন (Lasndowne) is eëia, sitas Isis বাঙ্গালী ও সাহেবদিগকে জোড়াসাকো বাড়ীতে “বাল্মীকি প্রতিভা” অভিনয় দর্শনে নিমন্ত্রণ করা হয়। বাঙ্গালীদের মধ্যে প্রযুক্ত গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ও ( এখন স্তর ) ছিলেন। রবিবাবু নিজে বাল্মীকি এবং বালিকা প্রতিভাদেবী ( এখন মাননীয় বিচারপতি জীযুক্ত আশুতোষ চৌধুরী মূহাশয়ের পত্নী) সরস্বতী সাজিয়াছিলেন, ও বাড়ীর অন্তান্ত বালিকার বনদেবী সাজিয়াছিলেন। অভিনয় পারিপাট্যে ও গানে সকলেই প্রীত হইয়া ছিলেন। ঝড় বৃষ্টির একটা দৃপ্ত ছিল— জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি 隐 ●ፃg) সত্য সতাই ঝর থর করিয়া যখন জলধারা পড়িতে লাগিল তখন অনেকের তাহ। প্রকৃত বৃষ্টিধারা বলিয়া ভ্রম হইয়াছিল। লেডী ল্যান্স ডাউন অভিনয় দর্শন করিতে করিতে অক্ষয় মজুমদারকে লক্ষ্য করিয়া তাহার' পার্শ্বোপবিষ্ট একজন বন্ধুকে sfỡi#tfẽc*=ĩ, “He is my man” aề কথা শুনিয়া অক্ষয় বাবু পরে মনে মনে খুব গৌরব অনুভব করিয়াছিলেন। তিনি অনেক সময় রহস্ত করিয়া বলিতেন “লেডী ল্যান্সডাউন আমাকে my man বলিয়াছেন।” প্রথম যখন তাইাদের বাড়ীতে বাল্মীকিপ্রতিভা অভিনয় হয় তখন জ্যোতিবাবু নুতন গ্নকারী ; বন্দুক চালনা, প্রভৃতিতে তখন তার একান্ত কোক ; অভিনয় উপলক্ষে তিনি নিজেই শীকার করিতে বাহির হইলেন, সত্যিকার একটা পার্থী অভিনয়ে দেখাইবেন এই অভিপ্রায় । কিন্তু বিধাতার এমনি পরিহাস যে সারা দিন ঘুরিয়া ঘুরিয়া ক্লাস্ত হইয়া পড়িলেন, কিন্তু একটু পার্থীও মারিতে পারলেন না। শেষে সন্ধ্যার পর হতাশ হইয়া যখন বাড়ী ফিরিতেছিলেন তখন দেখিলেন যে এক ব্যক্তি কতকগুলি জীবন্ত বকু লইয়া যাইতেছে। তাহার নিকট হইতে তিনি দুইটি বক ক্রয় করিয়া মারিয়া আনেন—তাহাই অভিনয়ে প্রদর্শিত হইয়াছিল। আজ পর্য্যন্ত সকলেই জানে যে সেই ক্ৰৌঞ্চমিথুন জ্যোতিবাবু শীকার করিয়াই আনিয়াছিলেন। জ্যোতিবাবুর এ সময়ে শীকারের বোকটা খুবই প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল। প্রতি রবিবারে সদলবলে তিনি পীকারে -ஆ