aסלל ऊँनि ॰वंंभांश्** खनiभiझ श्रृङ्ग१ च्i८छ्।। 1* * * খেলা আরম্ভ হইলে দীনবন্ধু, সঞ্জীবচন্দ্র এবং র্তাহীদের দলভুক্ত অনেকেই এমন কি বঙ্কিমচন্দ্রও অনেক কৌশল করিতে লাগিলেন যাহাতে বন্দ্যোপাধ্যায় চোর হয় ; কিন্তু “ধৰ্ম্মস্ত স্বল্প গতি” দীববন্ধু সঞ্জীবচন্দ্রের মধ্যেই একজন চোর श्रे;णन । তখন বন্দ্যোপাধ্যায় মহানন্মে যুক্ত রজোড়াটা পায়ে দিয়া রূপচাদ পঞ্জীর একটা গীত ধরিয়া তাহদের সম্মুখে নাচিতে আরম্ভ করিলেন। নৃত্যগীত শেষ হইলে দীনবন্ধু তখন পূৰ্ব্বোক্ত উমেদার ব্রাহ্মণকে নিকটে বসাষ্টয় তাহার কথা শুনিতে লাগিলেন। ব্রাহ্মণ বড় গরীব, অনেকগুলি বিধবা, নাবালক, নাবালিকা, প্রতিপালন করিতে হয়, দিন চলে না, তাহার এক মাত্র পুত্র যদি একটা চাকুরী পায় তাহ হইলে অনেকগুলি ব্যক্তির জীবনরক্ষা হয়। দীনবন্ধু ব্রাহ্মণটিকে পুত্রের সহিত তাহার আফিসে যাইতে বলিলেন। কিছুদিন পরে শুনিলাম' ব্রাহ্মণ পুত্রের পোষ্ট আফিসে চাকুরীর জন্ত নাম রেজিষ্টারী হইয়াছে, খালি হইলেই পাইবে, কিন্তু খালি কবে হইবে তার ঠিক নাই, একমাস হইতে পারে ছয়মাসও হইতে পারে ; ইতিমধ্যে হুগলীর একটা ডেপুটী বঙ্কিমচন্দ্রের সহিত দেখা করিতে আসিলেন, তাহার অধীনে রোডশেশ ডিপার্টমেণ্টে একটী চাকুরী খালি ছিল, ব্রাহ্মণ-পুত্রকে বঙ্কিমচন্দ্র ঐ চাকুরী দেওয়াইলেন। আবার মাস দুই বাদে দীনবন্ধু উহাকে সাবপোষ্টমাষ্টারি পদে বাহাল করিয়া পরওয়ানা পাঠাইলেন । ঘটনাটি অতি সামান্ত, এইরূপ উপকার ভারতী ६फ़ज, १७२४ অনেকেই করিয়া থাকেন, কিন্তু এই ব্ৰাহ্মণের দারিদ্র্যের পরিচয় শুনিয়া দীনবন্ধু ও বঙ্কিমচন্দ্র তাহার কষ্ট সত্বর বিমোচন করিতে কিরূপ ব্যস্ত হইয়াছিলেন তাহার পরিচয় স্বরূপ উৎ এ স্থলে উল্লেখ করিলাম ! s আমি উপরে বলিয়া গিয়াছি যে নানা প্রকৃতির লোক বঙ্কিমচন্দ্রের নিকটে সৰ্ব্বদ যাতায়াত করিতেন। এখানুে আর একটা লোকের কথা বলিলে সেকালের পল্লীগ্রামের কবির পরিচয় পাইবেন । ইহার নিবাস আমাদের বাটীর অৰ্দ্ধক্রোশ পুৰ্ব্বে মাদ্রালগ্রামে, নাম কৃষ্ণমোহন মুখুয্যে। ইনি সম্পত্তিশালী ব্যক্তি ছিলেন বাটতে দোল দুর্গোৎসব হইত। ইনি একজন উপস্থিত কবি ছিলেন। এই কবি সৰ্ব্বদা বঙ্কিমচন্দ্র ও র্তাহার ভ্রাত্বগণের নিকট আসিতেন, সকলেই তাহাকে নুন প্রকার প্রশ্ন করিত, কিন্তু কেহই তাহাকে পরাস্ত করিতে পারিতেন না । বঙ্কিমচন্দ্র কখনও তাহাকে কোন প্রশ্ন করেন নাই। একদিন, কবি বঙ্কিমচন্দ্রকে বলিলেন, “আপনি কখনও আমায় প্রশ্ন করেন নাই, আমার ইচ্ছ। আপনার প্রশ্নের উত্তর দিই৷ ” বঙ্কিমচন্দ্র হাসিয়া বলিলেন, “আচ্ছা” । অল্পক্ষণ পরেই একটি প্রশ্ন করিলেন— “গগনেতে ডাকে শিব। ভূয়া হুয়া করে ।” এই প্রশ্নে সকলেই বিরক্ত হইয়। বলিলেন, “এ কি উদ্ভট প্রশ্ন ? ঘাই কখনও পৃথিবীতে ঘটে নাই, তাহার কবিতা কিরূপে হইবে? আকাশে কখনও কি শ্ৰেয়াল উঠেছে যে গগনেতে হুয়া হয়৷ করে ডাকুবে ?”
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৫১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।