৩৮ল বধ, দ্বাদশ সংখ্য। তুলিয়। নিকটস্থ কোন দোকানে (ঐ স্থানে অনেক দোকান ছিল ) রাখিয়া বাট চলিয়৷ যাইতেন, আবার কেহ কেহ বা দাড়াইয়৷ তামাসা দেখিতেন, কিন্তু দীনবন্ধু অন্ত প্রকৃতির লোক ছিলেন। বিপদগ্ৰস্ত লোককে প্রাণপণে সাহায্য করিতেন। করিতেন বটে, কিন্তু তাহার একটী বিশেষ রোগ ছিল, বিপদ হইতে উদ্ধার করিয়া যদি উহাকে নাটকোপযোগী মনে করিতেন, তাছা হইলে কোন নাটকে সে চবিত্রট অঙ্কিত করিতেম। এই মাতাল বাবুই “সংবা একাদশীর “ভোলা” মাতাল। বঙ্কিমচন্দ্রের অনেক বন্ধু ছিল, দীনবন্ধুব অসংখ্য বন্ধু ছিল, কিন্তু ইহারা দুইজনে পরস্পরের প্রাণতুল্য বন্ধু ছিলেন। যখন বঙ্গদর্শন প্রকাশিতৃ হয় তখন বঙ্কিমচন্দ্র তাহার “সাহিত্যের সহায়" দীনবন্ধুব নিকট বিশেষ সাহায্য পাইবেন এমন ভরসা করিয়াছিলেন। কিন্তু বঙ্গদর্শন প্রকাশের অল্পকাল মধ্যেই তাহার মৃত্যু হইল। . এই সময়ে তাছার জন্ত বঙ্গসমাজের চারিদিক ছুইতে ক্রননিরোল উঠিল, কেহ বা সংবাদপত্রে, কেহ বা মাসিক পত্রিকাতে, কেহ શ কবিতাতে কঁাদিতে লাগলেন । কিন্তু বঙ্গদর্শন মৌনাবলম্বন করিয়া রহিল, ইহা অনেকে লক্ষ্য করিয়া অনেক কথা বলিয়ছিলেন, কিন্তু দীনবন্ধুর শোকে বঙ্গদর্শনের যে কণ্ঠরোধ হইয়াছিল তাহ কেহ বুঝিতে পারেন নাই। প্রায় তিন বৎসর পরে যখন বঙ্গদর্শন বিদায়ুগ্রহণ করিল তখন বঙ্কিমচন্দ্র ঐ বিদায়-প্রবন্ধে বঙ্গদর্শন-লেখকগণের নিকট কৃতজ্ঞতাস্বীকার করিতে গিয়া ৭।ক্কমচন্দ্র ও গণবন্ধু৷ است ات\چ 9چ দীনবন্ধুব কথা . উত্থাপন করেন। কিন্তু কিরূপ কাতরতার সহিত উথাপন করিয়াছিলেন তাহ নিম্নের কয়েকছুত্রে প্রকাশ পাইবে ঃ– “আর একজন আমার সহায় ছিলেন-- সাহিত্যে আমার সহায়, সংসারে আমার মুখদুঃখেৰ ভাণ্ডু-তাহার নাম উল্লেখ করিব মনে করিয়া ও উল্লেখ করিতে পারিতেছি? নু। এই বঙ্গদর্শনের বয়ঃক্ৰম অধিক হইতে না হইতেই দীনবন্ধু আমাকে পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছিলেন। র্তাহার জষ্ঠ তখন বঙ্গসমাজ রোদন করিতেছিল, কিন্তু এই বঙ্গদর্শনে তাহার নামোল্লেখও করি নাই। কেন, তাহ কেহ বুঝে না। আমার যে দুঃখ, কে তাহার ভাগী হইবে ? কাঙ্গর কাছে দীনবন্ধুত্ব জন্য কাধিলে প্রাণ জুড়াইবে ? অষ্ঠের কাছে দীনবন্ধু মুলেখক আমার কাছে প্রাণত্যুল্য বন্ধু—আমার नशै। সে শোকে পাঠকের সহৃদয়ত হইতে পারে না বলিয়, তখন ৪ কিছু বলি নাই, এখনও আর কিছু পশিলাম না।” বস্তুতঃ আমরা সকলেই লক্ষ্য করিতাম দীনবন্ধুব মৃত্যুর পর বঙ্কিমচন্দ্র তাঙ্গৰ কথা উত্থাপন করিতেন না। যদি কেহ দানবন্ধুৰ কথা বা তাহার-“রহস্ত পটুতার কথা কহিত, তখনই বঙ্কিমচন্দ্রের একটা পরিবর্তন লক্ষিত হষ্টত, তিনি মৌনাবলম্বন করিয়া থাকিতেন । ইহাতে আমরা বুঝিতাম যে তিনি দীনবন্ধুব শোক ভুলিতে পারেন নাই, দীনবন্ধুব স্মৃতি র্তাহার কষ্টকর হইয়াছিল। প্রায় ৮৯ বৎসর পরে “আনন্দ-মঠের" উৎসর্গ-পত্রে “কুমার সম্ভব” ट् छेtड़
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৫১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।