৩৮শৰৰ, সপ্তম সংখ্যা সভ্যতার অধিকারী হইয়াছিল। এবং অন্ত भनौशैब्रl, अछ कब्रिखबांन cनांरकब्र, जमदग्न সময়ে আবিভূর্ত হইয়া এই সভ্যতাকে ক্রমাগত নুতনভাবে নুতন আকারে গঠিত করিয়াছিল। এই সম্মিলনের প্রথম পরিণাম ধৰ্ম্মের মধ্যেই পরিলক্ষিত হয় । সমস্ত প্রাচীন ধৰ্ম্ম, খৃষ্টধৰ্ম্ম প্রচারের পথ প্রস্তুত করিয়াছিল। গ্রীকৃ-নগরগুলির দেবতারা বিলীন হইয় একমাত্র জিহোভায়, একমাত্র হীরায়, একমাত্র হিরাক্লিসে পরিণত হইল। এই সকল দেবতা, রোমকদিগের সহিত, পরে ইজিপসীয় ও প্রাচ্যখণ্ডের দেবতাদিগের সহিত একীভূত হইয়াছিল; পরে, সকল দেবতাই জুপিতর দেবের অধীনে অtসিয়াছিল—আবার এই জুপিতরও ইজিপ্তীয়দিগের "আমন-রা-র মধ্যে বিলীন হইয়া যায়। সেই সঙ্গে পৌরাণিক উপকথাগুলি, সাংকেতিক বিগ্রহে পরিণত হইল। চারিত্রনীতি ও পরিশোধিত হইল। নিজ নিজ ক্রমবিকাশের পথ অনুসরণ করিয়া প্রত্যেক দেশের লোকই অসভ্য অবস্থা হইতে বিমুক্ত হইল। মনুষ্য,—পিতা পুত্র, পতি বন্ধু ও পৌরজন প্রভৃতির প্রতি কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে একটা উচ্চতম আদর্শের ধারণা করিল। এবং বিভিন্ন দেশের অধিবাসীর সহিত বাণিজ্য চলিতে থাকায়, এমন একটা বিশ্বজনীন চরিত্রনীতির উদ্ভব হইল, যাহাতে সকলেরই শ্ৰেষ্ঠগুণগুলি মিলিয়া মিলিয়া একটা সমন্বয় সাধন করিল। হিব্রুদিগের ঈশ্বরভক্তি ও সাম্য ভাব, রোমকদিগের রাষ্ট্রীক ও সামরিক গুণরাশি, ইজিপ্টের গুহ যোগধৰ্ম্ম, . আধুনিক ভারতের সভ্যতা ۹ون ভারতের তপশ্চর্য্য, গ্ৰীকৃদিগের দৈহিক ও নৈতিক সামঞ্জস্যের ধৰ্ম্ম—এই সমস্ত একত্র মিশিল । - এইরূপে, একটা বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মের সমন্বয়াত্মক রূপ গড়িয়া উঠিবার জন্ত পথ প্রস্তুত হইল। কিন্তু এই সমন্বয়ের মুলস্বত্রগুলি গোড়ায় খৃষ্টধৰ্ম্মই প্রবৰ্ত্তিত করে। খৃষ্টধৰ্ম্মই স্বাধীন নিৰ্ব্বাচনের শিক্ষা দিল । কোন প্রাচীন দর্শনশাস্ত্র তৎপূৰ্ব্বে, অদৃষ্টবাদ একেবারে প্রত্যাখ্যান করিতে পারে নাই, ঈশ্বর খামখেয়ালিভাবে যাহাতাহা করিতে পারেন —এই যে বিশ্বাস, ইহা কোন প্রাচীন ধৰ্ম্মই একেবারে ত্যাগ করিতে পারে নাই । খৃষ্টধৰ্ম্মের ধে নীতি তাহা, প্রকৃতভাবে মানবনীতি। কোন বিদ্বেষপূর্ণ ঈর্ষাপরায়ণ দেবত{ মানুষকে পাপে প্রবৃত্ত করেন না, পরস্তু পাপের জন্ত প্রথম-মনুষ্য নিজেই অপরাধী। এই বৈজিক পাপপ্রবণতা জয় করিবার জন্ত একটা অতিপ্রাকৃতিক প্রসাদ (grace) লাভ করা আবশ্যক ; কিন্তু এই প্রসাদ মানব দেহধারী ঈশ্বরপুত্র হইতেই মানুষ প্রাপ্ত হইয়া থাকে । তাছাড়া, কি গোড়ার পাপ, কি মুক্তিদাতার প্রসাদ-ইহার কোনটাই স্বাধীন নিৰ্ব্বাচনের বিরোধী নহে । খৃষ্টধৰ্ম্মের নীতি প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিনিষ্ঠ নীতি ছিল । এই নীতি কুল-গত ধৰ্ম্ম ও স্বদেশীয় ধৰ্ম্মকে রহিত করিয়া দেয় । নিজের মুক্তিসাধনের জন্য মানুষ স্বকীয় সামাজিক কৰ্ত্তব্যসকল লঙ্ঘন করিতে পারে,—ইহাই এই নীতি মানুষকে শিক্ষা দেয় । ( ২ ) (২) বৌদ্ধধর্মও একটি ব্যক্তিনিষ্ঠ ধৰ্ম্ম, কিন্তু ইহা কেবল ভিক্ষুদের জন্যই।
পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।