পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা দায়িত্ব আছে-শিক্ষিত ধনীর দায়িত্ব আরো বেশি। বিপিন নলকিশোরের কথার গুঢ় অর্থ বুঝিয়া বলিল—আমার যথাসাধ্য আমি করব। কিন্তু জান ত আমি কি রকম অলসপ্রকৃতির লোক, নিজে উদ্যোগী হয়ে কিছু করে তুলতে পারি নে। তুমি একটা জোগাড়যন্ত্র খাড় করে আমায় একটা কাজে লাগিয়ে দিয়ো । আমাকে থাটিয়ে নেবার ভার তোমাকেই নিতে হবে। নবকিশোর বলিল—আমি একটা মতলব ঠাওবেছি। —প্রথমত পাশাপাশি কতক গুলি গ্রাম ঠিক করে এক একটি মণ্ডল নির্দিষ্ট করতে হবে ; প্রত্যেক মণ্ডলে এক একটি পাঠশালা হবে ; সেখানে ছোট ছোট ছেলে মেয়ের একত্র পড়বে। পাঠ্যরূপে পুস্তক নির্দিষ্ট থাকবে না বল্লেই হয়—শিক্ষক মুখে মুখে ছবি, ম্যাপ প্রভৃতি দেখিয়ে সকল বিষয়ে শিক্ষা দিতে চেষ্টা করবেন ; স্কুলের বেতনও হবে নামমাত্র ; এতে গরিব লোকেও ছেলেমেয়ে স্কুলে পাঠাতে অসুবিধা বোধ করবে না। স্কুলে যেমন আয় থাকবে না তেমনি ব্যয়ও করা চলবে না—স্কুল-ঘর, চেয়ার, টেবিল কিছুরই হাঙ্গাম থাকবে না। কোনো শুকনে উচু ডাঙায় গাছের ছায়ায় স্কুল বসবে— সেকালের মতন মেঘ ডাকলেই অনধ্যায়। শিক্ষকের বাসাতেই একটু স্থান করে স্কুলের ই ম্যাপ প্রভৃতি সরঞ্জাম রাখতে হবে। শিক্ষকও আমাদেরই তৈরি করে নিতে হবে। इनि মধুরাপুরে বসে রশদ জোগাবে, আর শনি মণ্ডলে মণ্ডলে ঘুরে সমস্ত ব্যবস্থা 'রিদর্শন করে বেড়াৰ । একটু শিক্ষার ८ट्रांrउन्न फूल ዓ እ© প্রসার হলে তখন গায়ে গায়ে ছোট ছোট লাইব্রেরী স্থাপন করতে হবে এবং মথুরাপুরে একটি বৃহৎ কেন্দ্র লাইব্রেরী করে তার বাছা বাছা বই এক একবার সকল লাইব্রেরীকে ধার দিয়ে দিয়ে ঘুরিয়ে আনতে হবে। দেশের যেখানে যেখানে মাইনর কি ছাত্রবৃত্তি স্কুল আছে সেই গুলিকে পুষ্ট করবে অীমাণের প্রাথমিক পাঠশালাগুলি। ছেলেদের মতন মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জষ্ঠে স্থানে স্থানে পৃথক ছাত্রবৃত্তি বা মাইনর মেয়ে স্কুলও স্থাপন করতে হবে । লোকে শিক্ষার মর্য্যাদা একটু বুঝলে তখন সমবেত চেষ্টায় চাইকি স্থানে স্থানে এণ্টন্স স্কুলের সমকক্ষ পাঠশালা আমরা স্থাপন করতে পারব । এই কাজটাকে গ’ড়ে তুলতে পারলে তোমার অর্থ ও শিক্ষা ধষ্ঠ হবে । তারক দাত বাহির করিয়া বলিল, থিওরি আর প্রাকৃটিসে যথেষ্ট প্রভেদ আছে হে ভায়া ! কবিত্বের স্বপ্ন দেখা সোজী, কিন্তু কাজের ল্যাঠা বড় ভারি বোঝা ! নবকিশোর বলিল- নিশ্চয়ই ; জন্তেই ত কাজের মুল্য বেশি। বিপিন তারকের কথা লক্ষ) না করিয়াই নবকিশোরকে জিজ্ঞাসা করিল—এখন আমরা কাজটা মুরু করে দেবার মতে টাকা কোথায় পাব ? বাবা ত এসবের উপকারিতা বুঝবেন না। নবকিশোর বলিল—তুমি তিনবার পাশ করে তিনটে তালুক ধৌতুক পেয়েছ ; এবারে একটা পাবে। এইগুলির স্বত্ব তোমাকে ত্যাগ করতে হবে । বিপিন বলিল—কিন্তু গভমেণ্ট কি সেই