পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবার্ট ব্রাউনিং প্রায় একশত বৎসর পূর্বে ইংলগুের একজন ব্যাঙ্ক-কেরাণীর গৃহে রবার্ট ব্রাউনিং জন্ম গ্রহণ করেন। এই ছেলেটি ভবিষ্যতে কিরূপ বিখ্যাত ও বিশ্ববিদিত হইবে তাহা গোড়া হইতে কেহ বলিতে না পারিলেও, ইহার শৈশবের কার্য্য প্রণালী দর্শনে ইনি যে ঠিক সাধারণ ছেলে নহেন তাহ বেশ বোঝা গিয়াছিল। ব্রাউনিংয়ের মাতা ছেলেকে বিছানায় শোয়াইয় গীতবাদ্যে নিযুক্ত হইলে ইনি ধীরে ধীরে শষ্যা হষ্টতে উঠিয়া “আহো গাও, আবে গাও!” শব্দে মায়ের কোলে ঝাপাষ্টয়া পড়িতেন । ইহার যে শিক্ষালাভ তাহা র্তাহার পিতামাতার নিকট হটতেই হইয়াছিল। পারিবারিক গণ্ডীর মধ্য হইতেই তাহার হৃদয় বিকশিত হইয়া উঠিয়াছিল। ঠিক বলা যায় না, কিন্তু মনে হয় যে, স্কুলের বাধা-ধর নিয়ম অপেক্ষা ব্রাউনিংয়ের পক্ষে গৃহশিক্ষাই বেশী উপযোগী হইয়াছিল। ব্রাউনিং তাহার পিতামাতার নিকট হইতে কেবল যে উপদেশ ও শিক্ষা পাইতেন তাহা নহে, তিনি অত্যন্ত আদরও পাষ্টতেন। তিনি পিতামাতার বড় আদরের ছেলে ছিলেন। কিন্তু সে আদবে ব্রাউনিংয়ের কোন ক্ষতি করা দূরে থাকুক, তাহাতে র্তাগর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করিয়া তুলিয়াছিল। ব্রাউনিং জননীকে অত্যন্ত ভালবাসিতেন, শ্রদ্ধা করিহেন । তিনি র্তাহার মাতাকে “স্বৰ্গরাজ্যের ধৰ্মী বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। ব্রাউনিংয়ের

মাতা যখন বাগানে যাইতেন তখন প্রজাপতিগুলি উড়িয়া আসিয়া তাহার সর্বাঙ্গে বসিত ; বাড়ীর পোষ পাখী এবং অন্তান্ত প্রাণীরা তাহাকে তাদের মায়ের মতনই ভালবাসিত । তিনি তাহার বাগানের বৃক্ষ, লতা, পুষ্প, কীটপতঙ্গ ও পশুপক্ষীগুলিকে জননী-স্নেহে প্রতিপালন করিতেন । যখন ফ্লোবেসে ব্রাউনিংয়ের নিকট র্তাহার মাতার মৃত্যুসংবাদ যায়-ভখন মাতার যত্নপালিত এই উদ্যানের স্থতিই ব্রাউনিংয়ের মনকে বিশেষভাবে কাতর করিয়া তুলিয়াছিল ; – এই বাগানে তাহার মায়ের সমগ্র স্নেহটুকু যেন জড়ানে ছিল । তাহার অভাবে সে বাগানের এখন কি দশা । ব্রাউনিংয়ের পত্নী র্তাহার কোন বন্ধুর কাছে লিখিয়াছিলেন,~~ “তিনি মাকে যেমন ভালবাসিতেন, তেমন ভালবাসা আমি কোথাও দেখি নাই। মাতার মৃত্যুতে শোকে তিনি শিশুর দ্যায় অধীর হইয়া পড়িয়াছেন। এখনও কোন সময়ে অল্পক্ষণেৰ জন্ত আমি বাহিরে গেলে ফিরিয়া আসিয়া দেখি তাহার চক্ষু অশ্রুপূর্ণ। আমি প্রায়ই র্তাহাকে স্থানপরিবর্তনের জন্থ বলি-কিন্তু তিনি বলেন কোথায় ঘাই ? ইংলণ্ড এখন তাহার নিকট দুঃসহ বোধ হয় । তিনি বলেন, ইংলণ্ডে গেলে তাহার বুক ফাটিয়া যাইবে, তাহার মাতার উদ্যানের সেই সুন্দর গোলপ ফুলগুলি তিনি চক্ষে দেখিতে পরিবেন না ।” এলিজাবেথ ব্যারেট এবং রবার্ট ব্রাষ্ট্রনিং