পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা । ন তোমাকেও যেতে হবে তুমি আমার স্ত্রী আমার আদেশ পালনে তুমি সম্পূর্ণ বাধ্য। আমার হুকুম তোমার এখান থেকে সন্ধ্যার সময়েই যেতে হবে । প্রস্তুত হয়ে থেকে ৷”— “श्रांछि, ७षनि ? अभिाग्न ७कपूं नमब्र मा ७, জ্যেঠামশাইকে একবার ? জ্যেঠামশাই তোমায় রক্ষা করতে পাৰ্ব্বেন না, সে চেষ্টা করতে যেও না, মিথ্য তাতে অনর্থ বাড়াবে, এ জেনে রেখো! এবাড়ির সঙ্গে আমাদের দেনাপাওনা মিটে গ্যাছে। না, আমি আর কিছু শুনতে চাইনা ।”—শাস্তিকে কথা কহিবার অবকাশ মাত্র না দিয়া সে ঘর ছাড়িয়া বাহির হইয়া গেল । সন্ধ্যা ন হইলেও মেঘান্ধকার ঘেরা বারান্দ। ইহারি মধ্যে ঘনায়মান হইয়া আসিয়াছিল, খোলা জানলাটার ঠিক বাহিরে ছাদের নলের মধ্য দিয়া মোটা একট। স্ফটিক ধারার মতন বৃষ্টির জল পড়িতেছিল । ড্রেনের মধ্য দিয়া কলকল শব্দে সেই জল ছুটিয়া চলিয়াছে, বৃষ্টির আর শেষ নাই । হেমেন্দ্র সম্মুখেই এক অপরিচিত রমণী মূৰ্ত্তি দেখিয়া পাশ কাটাইল্প: চলিয়া যাইতে উদ্যত হইল, সে জানালীর দিকে পশ্চাৎ ফিরিয়া তাহার ঘরের সম্মুখেই দাড়াইয়া ছিল । কিন্তু সন্মুখবৰ্ত্তিনী সে সুযোগ দিল না, অসঙ্কুচিতভাবে তাহার নিকট আসিয়া দাড়াইল ; ধীরস্বরে কছিল"ঠাকুরপে একটু দাড়াও একটা কথা আছে।” অচেনা স্ত্রীলোকের এই সঙ্কোচহীন ব্যবহার ছেমেন্দ্রকে ঈষং বিস্মিত করিল। এই রমণীর বিদ্যুৎ তীক্ষ, অভেদ্য অথচ অচঞ্চলসৃষ্টি তাহার নিকট সম্পূর্ণ নুতন নূতন ঠেকিল। যদিও আনাঞ্জে সে এই ঠাকুরপো সম্বোধন কারিণীকে চিনিয়াছিল তথাপি আকস্মিক পোষ্যপুত্র । ১ ০৯ একটা কৌতুহলপূর্ণ বিস্ময়ে তাহীর মুখ হইতে বাহির হইয়া গেল “কে ?” রমণী তাছার কৃষ্ণতারকোজ্জল বিশালনেত্র নিভীকভাবে প্রশ্নকারীর মুখে স্থাপন করিয়া ধীর অথচ সদৃঢ়স্ববে উত্তর করিল "আমি অমূরি-ম, তোমার বড় ভাজ ! শুনলেম তুমি আমার সঙ্গে এক বাড়িতে থাকতে ইচ্ছা করোনা, সত্য কি ? তা যদি হয় তবে তুমি ষেওন, বলে। আমিই আমার সেই বনবাসে ফিরে যাই।” হেমেন্দ্রের ললাট হইতে কর্ণমূল পর্যস্ত সমুদয় মুখখান অপরাহ্লের পশ্চিমাকাশের মতন আরক্ত হইয়া উঠিল, তীক্ষু শ্লেষপূর্ণ বিদ্রুপের হাসি হাসিয়া সে বলিয়া উঠিল “ আপনার এ অভিনয় খুব চমৎকার হচ্চে, কিন্তু আমার কাছে এসব কেন ? নিৰ্ব্বোধ শান্তিকে মুগ্ধ করে রেখেছেন সেই ভাল।” হেমেন্দ্র চাহিয়া দেখিল না;—সেই মুহূর্তে ঘন মেঘের মধ্য দিয়া অশনি ভরা বিদ্যুৎ করালিনীর লোলজিহব। বিকম্পিত হইয়া উঠিল, শিবানীর দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মুখে তাহার ছায়াপাত হইল । সে আজ অনেক কথা ভাবিয়া অনেকখানি গড়িয়া লইয়া তবে হেমেন্দ্রের সম্মুখীন হইয়াছিল। শিবানীর পক্ষে সহসা একজন অজানা লোকের সম্মুখে আসিয়া দাড়ান যে কতোখানি কঠিন ব্যাপার তাহা বোধ হয় বলিবার আবশ্যক করেন । কিন্তু প্রয়োজন হইলে নিজের দুর্বলতাকে ঠেকাইয় রাখাও তাহার পক্ষে তেমনি সহজ । সে দেখিল এমন করিয়া দূরে দাড়াইয়৷ থাকিলে আর চলে না, যে অভিনয় চলিতেছে ইহার মধ্যে আসিয়া ন দাড়াইলে শেষে হয়তো ইহা করুণ রসাত্মক হইয়া দাড়াইবে ।