পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা আনিয়াছে। সে মুধু চিত্রকলার সম্বন্ধে নহে। জীবনের যাবতীয় বিষয়েই তার স্পর্শের এমনি সুফল সহজেই ফলিতে পারে ও ফলিবে । কেবল সে শুভ দিন দেখিতে বীচ চাই। সেইটিই এখন কেবল সমস্তার বিষয় দাড়াইয়াছে । চিত্রকলার অনেক উদ্দেশু। অনুকরণ স্পৃহা তার মধ্যে আদিম ও প্রধান । পুরাকালে একটি দ্রব্যের সাদৃশ্য লিখিয়াই সেই দ্রব্যটির কথা জানান হইত। ইহা হইতেই শেষে ভাষালিপির আবির্ভাব হইয়াছে। প্রাচীন মিসর দেশে ও আমেরিকাতে “পেরু” প্রভৃতি পুরাতন স্থানে এখনও এইরূপ লিখন প্রত্নতত্ত্বরূপে বিদ্যমান দেখা যায় । চিত্রকলার আর একটি উপকারিত তাহ হইতে পুরাকালের আচার ব্যবহার রীতিনীতির অনেক পরিচয় পা ওয়া যায় । এইরূপৃ পুরাতন চিত্র হইতেই মিশর প্রভৃতি দেশের প্রাক্কালের ইতিবৃত্ত ঞ্চি ত হইয়াছে, এবং আমাদের দেশেও মন্দিরে, প্রস্তর ফলকে ও পুবtণ চিত্রে এই সব দেখিতে পাওয়া যায় । কিন্তু মনুষ্য সমাজের সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এখন চিত্রকলার প্রধান ভাব ও Bois : utta--“To represent an ideal ; to represent what we carncstly dcsirc.” Rita1 cwifè t’Ef; 9 আঁকিতেছি তাহ অপেক্ষা ও আরও কিছু বুঝান,—অর্থাৎ প্রকৃত দ্রব্য হইতেও কল্পনা আরও উচ্চে উঠিতে পারে—এই ভাব দেখানই চিত্রের একটি প্রধান লক্ষণ। সুতরাং এই কয় হিসাবে চিত্রগুলি বিচাৰ্য্য। ১ সেই সময়কার রীতিনীতির পরিচয় । প্রাচ্য চিত্রকলা প্রদর্শনী । '& ২ উচ্চনীতি শিক্ষার উপযোগী । ৩ উচ্চ সৌন্দৰ্য্য কল্পনা শক্তির বিস্তার। এই তিন হিসাবেই আমাদের প্রাচ্য আলেখ্য গুলি চিত্তহারী । বালক রামলক্ষ্মণকে বশিষ্ঠমুনির ধনুৰ্ব্বিস্থা শিক্ষাদান ; হরপার্বতী-সংবাদ ; চোখবাধা রাণী গান্ধারী ; যশোদ ও গোপালের ছবি ; কচ ও দেবযানী ; ভারতমাতার ছবি ; শক্তিময়ীয় স্বপ্ন ; উমার খায়েমের রুবায়ত ; বিরহীযক্ষ ; বিরহিনী যক্ষপত্নী ; রুক্মিণীর প্রণয় কাহিনী ; তাজমহলের স্বপ্ন ; আরব্যোপহাস কথন ; মহাভারত লিখন ; প্রভৃতি সমস্ত ছবিগুলিই কি সুন্দর ৷ ইহার অনেকগুলিই পূৰ্ব্বে ভারতীতে প্রকাশ হইয়া গিয়াছে সুতরাং এস্থলে তাহার বিশদ বর্ণনা নিম্প্রয়োজন । তথাপি আমি এস্থলে দৃষ্টান্ত স্বরূপ যশোদা ও গোপালের ছবিখানি পুনরুদ্ধৃত করিলাম।—এমন পবিত্র ও মধুর ভাব—আর কোন সম্বন্ধে দেখা যায় - দ্য । খৃষ্টধর্মের ম্যাডোনা—ব খৃষ্টমাতার শিশুক্রোড়ে কল্পনাও বোধ হয়—ভারতের এই ভাবেরই অনুকরণ –কি মুনার মাতৃমূৰ্ত্তি ! আর একখানি বড় ছবি চিত্রশালায় উচ্চে টাঙ্গান আছে—সেখানির বিষয় গঙ্গার আগমন। উচ্চ পৰ্ব্বত শৃঙ্গ হইতে পবিত্র স্রোতস্বিনীকে প্রথম বহিয়া আসিতে দেখিলে —দেব মানব সকলেরই কি আনন্দ হইয়াছিল সে ভাব চিত্রিত । ইহাতে রং ও রেখার কিছুই অলৌকিক দেখিবে না। কেবল সুচিত ভাবই তাহার মহাপ্রাণ। পাশ্চাত্য চিত্র হইতে এই বিষয়েই তাহার মহা প্রভেদ। এই চিত্রে শরীর