পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা। পাগল ন হইয়া যায় !—লেtকে বলে, উন্মাদের জীবন সুদীর্ঘ হয়। হোক সুদীর্ঘ, তজু সে মৃত্যুর মত বিরাম দান করে ! শান্তি বহিয়া আনে । কিন্তু আমার কস্তা—এই শান্ত শিশু, অদৈরের কন্যা মেরি—হাসি, থেলী, গান লষ্টয়াই যে সে অাছে। অভাগিনী জানে না, তার মাথার উপর আজ কি বিপদ উদ্যত হইয়াছে ! বজের শিখার মত তার জীবনটী জীর্ণ, দীর্ণ হইয়া যাইবে—এ চিন্তাই যে আমার বক্ষপঞ্জরগুলাকে চূর্ণ করিয়া দিতেছে ! లి এথনে রাত্রি শেষ হয় নাই। চোখে নিদ্রা নাই! অন্ধকার কারাগৃহ, বহিরেও এতটুকু সাড়াশব্দ নাই ! এখন কি করিয়া সময় কাটাই ? রাত্রির এই শেষ দগুটুকু যে একান্ত দুঃসহ ! ঘরের কোণে একটা দীপ জ্বলিতেছিল। তাহা লইয়া দেয়ালের চারিপাশ দেখিতে লাগিলাম। কোথাও কি এতটুকু ছিদ্র নাই – বাহিরের স্নিগ্ধ বায়ু প্রবেশের জন্ত ছোট একটু পথ ! না ! দেয়ালে কত রকমের মূৰ্ত্তি আঁকা রহিয়াছে ! সে কত কথা, কত ভাষা, কোনটি খড়ির অক্ষর, কোনটী বা কয়লার ! আহ, আমেরি মত কত হতভাগ্য জীব মনের ব্যথা পাষাণের দেয়ালে লিথিয়া রাখিয়া গিয়াছে ! তার মৰ্ম্মের সমস্ত বন্ধন টুটিয়া গিয়াছে, তবু এ পাষাণ প্রাচীর সাম্বনীচ্ছলে একটী কথাও বলে নাই ! একটু ক্ষীণ প্রতিধ্বনিও নহে! মুক, নীরব পাষাণ এমনি দাড়াইয়া ছিল, তার V छब्रन-दनौ । 8t ব্যাকুল কণ্ঠের অৰ্বিস্বর সেই পাষাণের গtয় ঠেকিয় চূর্ণ হইয়া গিয়াছে ! - তাদের বেদনার কথা কি—তাই দেখিতে লাগিলাম! একটা কাজ জুটিয়া গেল ! তাদের এই অশ্রুমাখা বেদনার মালা গাথিয়া সময় কাটাইয় দিই ! তবু মৃত্যুর কথা দুদণ্ডের জঙ্গও ভুলিয়া থাকিব। ঠিক আমার শয্যার পাশ্বে দেয়ালের গায়ে তীরে-গtথা দুখানি শোণিতাক্ত হৃদয়—শিল্পী আপনার যেন হৃদয়-শোণিত দিয়াই তাহার মধ্যে লিখিয়া রাখিয়াছে—“প্রাণভর ভালবাসা ।” আহা বেচারা—এখানে বসিয়া সারা দিনরাত্রি তার ভালবাসার কথাই ভাবিয়াছে ! তাহারি পাশে কয়লার অক্ষরে কে লিখিয়াছে,"সম্রাটের জয় হোক!” কি আশা, আশ্বাসের কি মহান আকাঙ্ক্ষা, এই অক্ষরগুলিতে ! একধারে কে লিখিয়াছে, “আমি মাথিয়াকে ভালবাসি ।” অার একধারে ‘এ’ অক্ষরটি —সাদ খড়ির রেখা ! সেই অন্ধকারে রূপার অক্ষরের মত সেটি ফুটিয়া উঠিয়াছিল—‘এ’ বুঝি তার প্রাণের প্রিয়জন,এম কিম্বা এডিথ ! আহ, এই একটি অক্ষরে একখানি "ব্যথিত কাতর প্রাণের কতখানি দীর্ঘনিশ্বাস মিশানে রহিয়াছে ! আমি বসিয়া ভাবিতে লাগিলাম ! আমার এই নিঃসঙ্গ নির্জন মুহুর্বে পাযাণের দেয়াল যেন করুণা করিয়া জাগিয়া উঠিল । সে তার পাষাণ বক্ষে,এত মৰ্ম্মব্যথা, এত গোপন কথা লুকাইয়া রাখিয়াছিল । আজ কোথায় তারা, এই সব হতভাগ্যের দল ! আজি কোথায় তাদের মাথিয়া, এম, এডিথ ! তার কোন গোলাপকুঞ্জের আড়ালে; কিম্ব। কোন বাতায়নের ধারে বসির, আকাশের দিকে চাহিয়া