পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা। চয়ন—শক্তি ও সাধন । S8% আলসে আয়ত আঁখি স্বপনেতে আছে যেন ভুলি, আনমনে দেখে যেন অস্তরের অনন্ত স্বপন । মানব ! চলেছ তুমি তপ্ত মাঠে, মধ্যাহ্ব-সময়ে, ও তব হৃদয়-পাত্র দুঃখে কিবা সুথে পরিপুর ! পলাও ! শূন্ত এ বিশ্ব, স্বৰ্য্য শোষে তৃষামত্ত হয়ে, দেহ যে ধরেছে হেথা দুঃখে মুখে সেই হ’বে চুর । কিন্তু, যদি পার তুমি হাসি আর অশ্রু বিবৰ্জ্জিতে, চঞ্চল জগত মাঝে যদি থাকে বিস্মৃতির সাধ, অভিশাপে বরলাভে তুল্য জান, ক্ষমায় শাস্তিতে আস্বাদিতে চাহ যদি মহান সে বিষঃ আহলাদ,— এস ! স্বৰ্য্য ডাকে তোম, শুনবে সে কাহিনী নুতন ; আপন দুৰ্জ্জয় তেজে নিঃশেষে তোমারে পান ক’রে,— শেষে ক্লিন্ন জনপদে লঘু করে করিবে বর্ষণ, মৰ্ম্ম তব সি ক্র করি সপ্তবার নিৰ্ব্বাণ-সাগরে । ঐসত্যেন্দ্রনাথ দত্ত । শক্তি ও সাধন । ( বল্লভদাস হইতে ) স্বকেশী কিশোরী কুমারী। তার মত রূপসী ও গুণবতী নারী সেকালে আর ছিল না । সুকেশী দরিদ্রের কন্ত । কিন্তু বিকশোম্মুখ নির্জন পুষ্পটির স্নিগ্ধসৌরুভ মুগ্ধ ভ্রমরকে যেমন আপনার দিকে টানিয়া আনে, তাহার রূপগুণের গৌরবটকুও তেমনি তাঁহাকে ছোট-বড় সকলেরই নিকট প্রিয় ও পরিচিত করিয়া তুলিয়াছিল, এবং দেশ দেশান্তর হইতে নানা মুগ্ধচিত্তকে আকৃষ্ট করিয়া নিকটে আনিয়াছিল। এই সকল আগন্তুকের মধ্যে রাজকুমার ও এক ব্রাহ্মণকুমারই সৰ্ব্বপ্রধান। একজন শক্তি, অপরজন সাধনা। উভয়েই কুমারীর অস্তরের অনুরাগটুকু আপনার ধন করিবার জন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হইয়া দাড়াইলেন । আমরা যে সময়ের কথা লিখিতেছি তখন স্বয়ম্বর প্রথা প্রচলিত ছিল। সুতরাং রাজকুমার ও ব্রাহ্মণকুমার উভয়েই নিঃসঙ্কোচে কিশোরীর অন্তরজয়ে প্রবৃত্ত হইলেন। রাজকুমার বিরোচন শক্তি ও সম্পদের মদগৰ্ব্বে স্ফীত। র্তাহার পিতা দৈত্যকুলতিলক প্ৰহলাদ । প্ৰহলাদের শক্তি ও সাম্রাজ্যের